অনিয়ম প্রমাণিত হলে হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল: ধর্মমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।

তিনি বলেছেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া হাজীদের হজ নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সিগুলোর অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর তদারকির কারণে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে গমন করা হাজীরা নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পেরেছেন।

বিজ্ঞাপন

উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, তাদের (বেসরকারকারি হাজী) বিমান ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ফলে ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সকল হজযাত্রীই হতে যেতে সক্ষম হন।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এম, আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে বিকাল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

সরকার দলীয় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, হজ অফিস এবং হাবের কঠোর তদারকির পরও চলতি বছরে হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত যেসব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এবং পাওয়া যাবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালার ৩২(২) অনুচ্ছেদে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এসব শাস্তির মধ্যে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, অর্থদন্ড ও জরিমানা এবং তিরস্কার ও সতর্ক করা। একই সঙ্গে পর পর তিন বছর কোন এজেন্সির বিরুদ্ধে তিরস্কার ও সতর্ক করে নোর্টিশ দেওয়া হলে সংশ্লিস্ট হজ ও ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কোন ধরণের কারণ দর্শানোর নোর্টিশ ছাড়াই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ও হজ প্যাকেজকে আরো যুগোপযোগী করা হবে। এছাড়া হাজীদের হজ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংরক্ষিত সাংসদ সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজে পাঠানো শুরু হয়। গত পাঁচ বছরে এ ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৩৩৮জন নাগরিক হজ পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৪জন, ২০১৫ সালে ২৬৬জন, ২০১৬ সালে ২৮৮জন, ২০১৭ সালে ৩২০জন এবং ২০১৮ অর্থাৎ চলতি বছরে ৩৪০জনসহ মোট ১৩৩৮জন হজ পালন করেছেন। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হজ পালন করেছেন ময়মনসিংহ জেলার ২৪৬জন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঢাকা জেলায় ১৬১জন রয়েছে।