এজেন্সি পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন হজযাত্রীরা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

মক্কা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধনের মধ্যেই এজেন্সি পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে এ জন্য হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধন করা এজেন্সিকে ২ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দেওয়ার নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হজ অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি সব হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক ও চেয়ারম্যানকে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়- ২০১৯ সালে ঘোষিত হজ প্যাকেজের ৩ দশমিক ৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো হজযাত্রী লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এজেন্সি পরিবর্তন করতে চাইলে প্রাক-নিবন্ধিত এজেন্সি বরাবর ২ হাজার টাকা স্থানান্তর কিংবা সার্ভিস চার্জ প্রদান করে স্থানান্তরিত হতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

সে পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ঘোষিত হজ প্যাকেজের নীতিমালা অনুসারে হজযাত্রীদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্থানান্তরিত হতে সহযোগিতার জন্য সব এজেন্সিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এজেন্সি পরিবর্তনে মাত্র ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করায় এজেন্সি মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হজ এজেন্সি বলেন, একজন হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধনসহ যাবতীয় কাজ করতে এজেন্সিকে যথেষ্ট পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়। এ জন্য কেউ হজযাত্রী ছাড়তে চায় না। বিগত বছরগুলোতে এজেন্সি পরিবর্তন করতে হলে হজযাত্রী ও এজেন্সি নিজেরা বসে একটি খরচ ঠিক করে নিতেন। কিন্তু এবার মাত্র দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করায় এজেন্সি মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় কেউ হজযাত্রী ছাড়তে চাচ্ছেন না। এ কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। হজযাত্রী ট্রান্সফারে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত বলেও মত দেন এ হাব নেতা।

২০১৯ সালের হজে গমনের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত ২২ হাজার ৭৬৪ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিবন্ধন করতে পারবেন।

একইভাবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ পর্যন্ত সিরিয়ালের মধ্যে থাকা প্রাক-নিবন্ধিতদের ১০ মার্চ পর্যন্ত শেষ সময় দেওয়া হয়েছে।

এ বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন এক লাখ ২০ হাজার জন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সিরিয়ালের প্রাক-নিবন্ধিতরা চূড়ান্ত নিবন্ধন না করলে তাদেরকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। কোটা খালি থাকলে সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সিরিয়ালের ব্যক্তিদের সুযোগ দেওয়া হবে।

**বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন