প্রকাশ্যে আজান দিয়ে খোলা মাঠে নামাজ ইতালিতে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিতে প্রকাশ্যে আজান দিয়ে খোলা মাঠে নামাজ আদায় করেছেন মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

ইতালিতে প্রকাশ্যে আজান দিয়ে খোলা মাঠে নামাজ আদায় করেছেন মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইতালির মুসল্লিরা। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ মার্চ) প্রকাশ্যে খোলা মাঠে আজান দিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন তারা।

বাংলাদেশ সমিতি ইতালির আয়োজনে লার্গো প্রেনেসতিনা নামক খোলা মাঠে এ উপলক্ষে বাদ জুমা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এতে রোম প্রবাসী মুসলিমরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

খুতবার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, মাদরাসাতুর রোমের প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি হাসানুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সায়মনসহ রোমের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

মসজিদে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রবাসীরা বলেন, ‘আমরা মুসলমান শান্তিপ্রিয় জাতি। আমাদের হত্যা করে কেউ নামাজ বন্ধ করতে কেউ পারবে না। আমাদের মনোবল এত দুর্বল নয়। ধর্মীয় পরীক্ষায় যুগ যুগ ধরে পরীক্ষিত আমরা।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘যারা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের এখনই রুখে দেওয়ার সময়। জঙ্গি বা সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম নেই, কোনো জাত নেই। সন্ত্রাসীরা সবসময় সন্ত্রাসীই। জুমার নামাজ শেষে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামরা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর সৃখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিও কামনা করা হয়।

গত ৫০ বছরে ইতালির মুসলমানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতালিতে ১৯৭০ সালে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার। ২০১৫ সালের জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইতালিতে অভিবাসীদের অব্যাহত আগমনের ফলে এই দেশে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ইতালিতে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পর মুসলমানরাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ।

আরেকটি মজার তথ্য হলো- ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন ইউরোপের সর্ববৃহৎ ইতালির রোম মসজিদ। এটি মস্কো দি রোমা নামেও পরিচিত। বিশাল এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। তিন লাখ বিশ হাজার বর্গফুটের মসজিদে একত্রে ১২ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন।