নিজেরা গরিব, তবুও ইফতার বিতরণ করেন তারা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির মুসলমানরা ইফতার বিতরণ করছেন, ছবি: সংগৃহীত

হাইতির মুসলমানরা ইফতার বিতরণ করছেন, ছবি: সংগৃহীত

হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে দেশটি গঠিত। দ্বীপের বাকী অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র। ১৮০৪ সালে হাইতি ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটি দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিলো। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে। পোর্ট অ প্রিন্স দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।

হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণি, যারা বেশিরভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে আছে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণি, যাদের কোনো ক্ষমতা নেই।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অভাবের কারণে অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। হাইতির জনগণের ১ শতাংশ মুসলমান। পোর্ট অ প্রিন্সে অবস্থিত আত তাওহিদ মসজিদকে ঘিরে মুসলমানদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সংখ্যায় কম হলেও হাইতির মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বেশ মজবুত। এমনই দৃশ্য দেখা গেল চলতি রমজানে। নিজেরা গরিব হলেও রমজানের বরকত লাভের জন্য ইফতার বিতরণ করতে ভুলেন না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558269509162.jpg

বিজ্ঞাপন

রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্সের মুসলিমরা চলতি রমজানের শুরুতেই স্থানীয় মসজিদ আত তাওহিদ চত্বরে সেখানকার রোজাদারদের জন্য খাবার বিতরণ করেন। এসময় স্থানীয় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও খাবার বিতরণ করা হয়।

বস্তুত রমজান মাস হলো, সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। এটা সেই মাস যে মাসে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দে্ওয়া হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তা তার জন্য গোনাহ মাফের এবং দোজখের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। এছাড়া তার সওয়াব হবে রোজাদার ব্যক্তির সমান। অথচ রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব কমবে না। সহায়-সম্পদে কম হলেও হাইতির মুসলমানরা এ শিক্ষা ভুলে যায়নি। রমজানের ইফতার বিতরণের দৃ্শ্য দেখে এটাই মনে হয়।

বস্তুত রমজান হলো- ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সৌহার্দ্যরে মাস। এতে মানুষ নিজের ইবাদতে গতি আনয়ন করে। দানের হাত সম্প্রসারিত হয়। গরীব-দঃখীতে সাধ্যমতো দান-খয়রাত করেন প্রায় সব মুসলিমই। আর রোজাদারকে সেহেরি বা ইফতার দেওয়া নিজেদের ঐতিহ্যের অংশ বানিয়ে ফেলেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব প্রান্তের মুসলিমরাই অন্যকে খাওয়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বিতরণ করেন খাবার। যার উদাহরণ হাইতি।