ইসলামি অর্থনীতিতে চৌদ্দতম বাংলাদেশ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামি অর্থনীতিতে চৌদ্দতম বাংলাদেশ, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি অর্থনীতিতে চৌদ্দতম বাংলাদেশ, ছবি: সংগৃহীত

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, সেবার মান, উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারমুখী পণ্য ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক মানদণ্ডের বিভিন্ন সূচকে দেশের ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবস্থান বেশ ভালো। প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পণ্য প্রচারণায় ইসলামিক ব্যাংকিং পণ্য এখন অনেক বেশি বাজারভিত্তিক ও গ্রাহক নন্দিত। ইতোমধ্যেই দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় ইসলামি ব্যাংকিং কাঠামোয় মজবুত ভিত্তি রচিত হয়েছে।

প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে এখন পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা। মুসলিম দেশ তো বটেই, অনেক অমুসলিম দেশেও এর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখন সবচেয়ে আস্থার প্রায়োগীক ব্যবসায়িক মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী ইসলামি অর্থনৈতিক সূচকে (জিআইইআই) ১৪তম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের ইসলামি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে এই সূচক। সূচকটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা টমসন রয়টার্স (Thomson Reuters)।

তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, দ্বিতীয় অবস্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তৃতীয় বাহরাইন এবং সৌদি আরবের অবস্থান চতুর্থ। ওমান, জর্ডান, কাতার, পাকিস্তান ও কুয়েত রয়েছে যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম স্থানে। এর পরের রয়েছে ইন্দোনেশিয়া।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ব্রুনাই, সুদান, ইরান ও বাংলাদেশ রয়েছে যথাক্রমে ১১তম, ১২তম, ১৩তম এবং ১৪তম স্থানে। তালিকার ১৫তম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক।

গত বছরে ১০ম স্থানে থাকা জর্ডান এবার উঠে এসেছে ছয় নম্বরে। শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে জর্ডান এবং ইন্দোনেশিয়া ইসলামি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

মূলতঃ ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা একটি উন্নততর আর্থিক ধারা চালু করতে সক্ষম হয়েছে, যা গোটা বিশ্বে অনুকরণীয় হচ্ছে। টমসন রয়টার্সের এই প্রতিবেদন তারই প্রমাণ।