প্রশাসনের ট্রাম্প কার্ড জাকসু, নির্বাচনহীন ২৬ বছর



রুদ্র আজাদ, জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে জাকসুর এই ভবনটি, ছবি: বার্তা২৪

নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে জাকসুর এই ভবনটি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার গল্প শুনিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতায় কবির প্রেমিকা বরুণা কথা রাখেনি, ফলে অভিমানী কবি বিলাপ করে বলেছিলেন, ‘কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি!’ ঠিক তেমনই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ক্ষেত্রেও।

গত ২৬ বছর কথা রাখেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ফলে সাধারণ ছাত্রদের দাবি দাওয়া অধিকার নিয়ে কথা বলার মতো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি এখানে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বিরাজ করছে ক্ষমতাসীন সরকারের ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্য। ভিন্নমতাবলম্বীদের মতামতের কোনো মূল্য থাকছে না বলে অভিযোগ রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

জাকসুর গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে ‘জাকসুর লক্ষ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্য সাংস্কৃতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিগত সহযোগিতা বাড়ানো, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে সর্বাধিক পরিমাণে লেখাপড়া এবং এর বাইরের সুযোগ সুবিধা অর্জন করা, প্রকৃত নাগরিক রূপে ছাত্রদের গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্য নেতৃত্বের উন্মেষ ঘটানো।’ কিন্তু গত ২৬ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসুর কার্যক্রমের অনুপস্থিতে ছাত্রসংশ্লিষ্ট এসব কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ছে।

শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ভুলতে বসেছেন। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপে সৃষ্টি হচ্ছে সহিংসতা। রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে নেই কোনো সহাবস্থান। এদিকে জাকসুর সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে তৈরি হচ্ছে না যোগ্য ছাত্র নেতৃত্ব। বিভিন্ন সময়ে জাকসুকে সচল করার দাবি উঠলেও আজ পর্যন্ত তার কোনো সুরাহা হয়নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ডাকসু নির্বাচনের জন্য ঢাবি প্রশাসনকে সমর্থন দিলেও জাকসু’র ব্যাপারে নীরব জাবির প্রশাসন।

বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে জাকসু কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া দীর্ঘ ২২ বছর পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচনের পূর্বেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সিনেট নির্বাচনের পরেই জাকসু’র আয়োজন করবেন। এরপর একবছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে এখনও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি তিনি।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালেই গঠিত হয় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (জাকসু)। একই বছর প্রথম জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার ভিপি নির্বাচিত হন গোলাম মোর্শেদ এবং জিএস রোকন উদ্দিন। এরপর ৭৪, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮৯, ৯০, ৯১ ও ৯২ সালসহ ৯ বার জাকসু নির্বাচন হয়। সর্বশেষ ১৯৯২ সালের নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন মাসুম হাসান তালুকদার লিটন এবং জিএস শামসুল তাবরিজ।

তবে এক ছাত্রের বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধলে তৎকালীন প্রশাসন জাকসু ও হল সংসদ বাতিল করে। এরপর ২৬ বছর পার হলেও আলোর মুখ দেখেনি জাকসু।

১৯৭৩ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১৯ (২) ধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল নির্বাচনে জাকসু থেকে পাঁচজন নির্বাচিত প্রতিনিধির ভোটাধিকার আছে। কিন্তু জাকসু সচল না থাকায় এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে জাকসু কার্যকর না থাকায় এবং প্রশাসনের অবহেলায় জাকসু ভবনের ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ সময় তালাবন্ধ থাকে এই ভবনটি।

কিন্তু দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি উঠলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো তেমন দাবি উঠেনি।

কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে হলগুলোতে সর্বদা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য থাকে। ফলে হলগুলোতে বিরোধীদলীয় ছাত্র সংগঠন তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে তাদের নিয়মিত কর্মসূচি সচল রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল দলের সহাবস্থান নিশ্চিত না করে তাহলে এ নির্বাচনে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নিশ্চিত জয় হবে বলে মনে করছে ছাত্র নেতারা।

এ বিষয়ে জাবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই মুহূর্তে জাকসু নির্বাচন করার মত পরিবেশ নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। আমরা মনে করি জাকসু নির্বাচন আয়োজন করার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখার লক্ষ্য জাকসু’র নির্বাচনের বিকল্প নেই। এই লক্ষ্য বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বরাবরের মত দাবি জানিয়ে এসেছে। জাকসুর ব্যাপারে আমদের চিন্তা ভাবনা জনসংযোগ এবং বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা শিক্ষার্থীদের মধ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজ সর্বদা জারি আছে। কিন্তু আমাদের আশঙ্কার যায়গাও আছে। জাতীয় নির্বাচনে যে পরিস্থিতি ঘটেছে সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যে অন্যান্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কি? সেই নিশ্চয়তার লক্ষ্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করে যাব।‘

জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যে কোন আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের কাতারে এস দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনে তাদের দাবি আদায়ের জন্য আমরা জাকসু চাই। জাকসু  আমাদের প্রাণের দাবি। অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জাকসু আয়োজনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই এবং তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে গণতান্ত্রিক উপায়ে একটি নেতৃত্ব আসুক।‘

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার প্রথম থেকে আশা ছিল জাকসুর নির্বাচন দিব। কারণ ছাত্র সংসদ ছাড়া বিবিধ নেতৃত্বের বিকাশ হয় না। আমি আগেও বলেছিলাম সিনেট ইলেকশনের পর জাকসু নির্বাচন দিবো কিন্তু সিনেট ইলেকশনের পরের অবস্থা দুঃখজনক পর্যায়ে গেছে। সিনেট ইলেকশনের পর বিভিন্ন বাঁধা পাচ্ছি এমনকি আইনগত বাঁধাও পাচ্ছি। এমনঅবস্থায় আমরা যদি জাকসুর আয়োজন করি সেক্ষেত্রে আমরা কিভাবে ভোটার এবং প্রার্থী তৈরি করবো সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

এছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে জাকসু নির্বাচন হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্র।

এবছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুবি ক্যাম্পাসসহ নয়টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ১০,১৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

উপকেন্দ্রগুলো হলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (কোটবাড়ি), গভ. ল্যাবরেটরী হাইস্কুল (কোটবাড়ি), বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল (বিজিবি সদর সপ্তর, কুমিল্লা), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি, কোটবাড়ি), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ (শাকতলা, কুমিল্লা) এবং বার্ড হাইস্কুল (কোটবাড়ি)।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। এদিন নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফৌজদারি অপরাধ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। গরমে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম থাকবে।'

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অন্যবারের মতোই ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সবার সাথে সমন্বয় করে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। আশা করি অন্যান্যবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;