হলে ভোটকেন্দ্র চায় ছাত্রলীগ, দ্বিমত অন্যদের



ঢাবি করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে আবাসিক হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র না রাখার বিষয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো একমত। ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে করার দাবি জানায় ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় মতবিনিময় সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদ। সভায় ছাত্র সংগঠনগুলো এ দাবি কথা জানান।

সভায় ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপত্বি করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভা শেষে উপাচার্য আখতারুজ্জামান ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জানা যায়, আলোচনা সভায় ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের দাবিসসমূহ প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেন। এসময় ভোট কেন্দ্র নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি ওঠে। ভোট কেন্দ্র হলের বাইরে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে করার দাবি জানায় ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা ভোটের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবিও জানান। তবে ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগ হলের মধ্যেই কেন্দ্র করার দাবি জানায়।

সভা শেষে উপাচার্য আখতারুজ্জামান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সভায় গঠনতন্ত্র ও আচরণ বিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গঠনতন্ত্র নিয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা সিন্ডিকেট সভায় উঠবে। সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

আচরণ বিধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সে বিষয়টি দেখবেন।'

তফসিলের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তফসিল দেওয়া হবে। আমরা ও সিন্ডিকেট সদস্যরা একটা বিষয়ে একমত যে, যারা ভোট দিতে পারবে তারা প্রার্থী হতে পারবে। আমরা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ৩১ মার্চকে সামনে রেখেই এগোচ্ছি।'

এর আগে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদলসহ সকল ছাত্র সংগঠনের পক্ষে থেকে মধুর ক্যান্টিন, আবাসিক হলগুলোতে সহাবস্থানের দাবি করা হয়েছে। ভোটার এবং প্রার্থিতার ক্ষেত্রে যারা ডাকসুর ফি প্রদান করে সবাইক সুযোগ দিতে হবে। এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না। ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরের জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্য করার দাবি জানানো হয়েছে।’

ডাকসুর সভাপতির (ভিসি) ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীয় করার দাবিও জানান তিনি।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতারা ক্যাম্পাসে আসলে আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নসময় মারধর করে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে ছাত্রদল নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে যেতে চায়।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এখন ডিজিটাল যুগে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম হল কেন্দ্রীক। তাই ভোট কেন্দ্র হলের মধ্যে করা হোক। ডাকসু নির্বাচনে নিয়মের বাইরে দুর্নীতি করে কোনো কিছু করার সম্ভাবনা নেই।'

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। কিন্তু ছাত্রদলকে ইতিবাচক ধারায় আসতে হবে। তাহলে তারা সহাবস্থান করতে পারবেন। ছাত্রদল অন্তর্কোন্দলের কারণে ক্যাম্পাস ছেড়েছে। তাদের মধ্যে যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী তারা প্রভোস্টের মাধ্যমে হলে থাকলে আমাদের সমস্যা নেই।'

বয়স নিয়ে রাব্বানী বলেন, ‘যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। তবে তাদের বয়সসীমা ত্রিশ করতে হবে।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘ভোট কেন্দ্র ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন দাবি জানিয়েছেন। আমরাও একই দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে যারা ডাকসু ও হল সংসদের জন্য ফি দেন তাদেরকে ভোটার ও প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়েছে।'

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে ভোট কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছি। যাতে সবার জন্য সহাবস্থান থাকে।'

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আচরণবিধি কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি যারা এই দুই কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছেন তারা সবাই একটা দলের। আমরা চাই সকল সংগঠনের নেতাদের পরামার্শ নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হোক।’

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দুই গ্রুপ, জাসদ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র আন্দোলনসহ ১৪টি ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্র।

এবছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুবি ক্যাম্পাসসহ নয়টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ১০,১৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

উপকেন্দ্রগুলো হলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (কোটবাড়ি), গভ. ল্যাবরেটরী হাইস্কুল (কোটবাড়ি), বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল (বিজিবি সদর সপ্তর, কুমিল্লা), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি, কোটবাড়ি), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ (শাকতলা, কুমিল্লা) এবং বার্ড হাইস্কুল (কোটবাড়ি)।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। এদিন নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফৌজদারি অপরাধ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। গরমে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম থাকবে।'

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অন্যবারের মতোই ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সবার সাথে সমন্বয় করে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। আশা করি অন্যান্যবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;