ফুলে ফুলে শোভিত খুবি ক্যাম্পাস



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: মানজারুল ইসলাম

ছবি: মানজারুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ষপঞ্জির হিসেবে আজ মাঘের ১০ তারিখ। চারিদিকে শুকনো পাতার মড়মড় শব্দ আর রুক্ষতা। প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রম চিত্র। শীত-কুয়াশা ডিঙ্গিয়ে ফুলে ফুলে নতুন সাজে সেজেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাস। বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ ক্যাম্পাস জুড়ে। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা গোটা ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো বটেই সাথে প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকেও ঘুরতে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238376984.gif

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে লাল শাপলা, হলুদ গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, লাল গাদা, আকাশি স্নোবল, বিভিন্ন প্রজাতির পাতা বাহার, গোলাপি বর্ণের ফুল, সাদা স্নোবল, সালভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, দায়েনথাঁচ, ফ্লোগর্স, ইন্টালিয়াম, স্ন্যাকড্রাগন, পেনজি, কারিয়াফছি, ভারবিনা, পিটুনিয়া, স্টার গোল্ড, মৌচন্ডা, পানচাটিয়া, অ্যালমন্ডা, তালপাম্প, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাদা, চায়নিজ গাদা, জাম্বুস গাদা, মোরগ ঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা, রঙ্গনসহ আরও নানা রকমের ফুল ফুটেছে। পুরো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় অর্ধশতাধিক রকমের ফুল ফুটেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238764970.gif

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের ফুলের বাগান। বিশেষত উপাচার্যের বাস ভবনের আশপাশে, প্রশাসনিক ভবনের সামনে, শহীদ মিনারের সামনে, কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, অনিকেত প্রান্তর, আবাসিক হলসমূহের সামনে, একাডেমিক ভবনসমূহের সামনেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে এ ফুলের বাগান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238542316.gif

খুবি’র শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শীতের এ সময়টাতে ক্যাম্পাস নতুন সাজে সেজেছে। পুরো ক্যাম্পাস যেন ফুলের বাগান। চারিদিকে কত রঙ বেরঙের ফুল। ফুলের গন্ধ যেন ক্যাম্পাসকে মাতিয়ে রেখেছে। এর মাঝে ক্যাম্পাসে ঘুরতে খুব ভালো লাগে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238411735.gif

প্রতিদিনই খুবি’র প্রকৃতির সুশোভিত সবুজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে সব বয়সের দর্শনার্থীরা। একটু অবসর পেলেই খুলনা নগরের মানুষ বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে এ ক্যাম্পাসে। এর মাঝে নিজেকে ক্যামেরায় বন্দী করেন অনেকে। চারদিক থেকে ভেসে আসে ক্যামেরার ক্লিক, ক্লিক শব্দ। পরিবার পরিজন নিয়ে ছবি ও সেলফি তোলায় ব্যস্ত সবাই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরতে আসা মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে খুবি ক্যাম্পাস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238432643.gif

পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা সৈয়দ সালমান জামান রাজ বলেন, 'আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। ক্যাম্পাসে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রায়ই ঘুরতে আসি। অবসর পেলেই ফুলের বাগানে ঘেরা ক্যাম্পাসে আসতে ভুল করি না। ফুলের জন্য ক্যাম্পাসটা অনেক সুন্দর লাগে।'

জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নিজের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে ফুল চাষ করা হয়। প্রতিবছরই তিনি ফুলের বাগান তৈরি ও নতুন নতুন ফুল চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট (সম্পত্তি) শাখা ফুলের এ চাষ দেখাশোনা করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548238450802.gif

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রতিবছরই শীতের এ সময়টাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর করে সাজাতে আমরা চেষ্টা করি। ফুলে ফুলে সুশোভিত ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়। সবুজ এ ক্যাম্পাসে ফুলে সেজে থাকায় সবাই মুগ্ধ হন। অনেকে ছবি তোলেন পরিবার পরিজন নিয়ে। স্নিগ্ধতায় মোড়ানো ক্যাম্পাসে এ সময়টায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।'

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে নির্দেশনা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট-এ আগামী ২৭ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও বহিরাগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য: গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

;

সন্ধ্যা নামতেই শুরু কেনাবেচা

চবির আবাসিক হলে মাদক কারবার



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন বুকে নিয়ে দুঃখিনী মা ও পরিশ্রমী বাবার প্রত্যাশাগুলোকে বাস্তবে রূপদান করতে হাজারও শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে আসেন।

মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎ সঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই কেউ কেউ যুক্ত হয়ে যান মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। এই অন্ধকার জগত থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী! ভেস্তে যায়, কত কত বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা!

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীদের অনেকেই অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন হলে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার অছাত্র কিংবা বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যা নামতেই চবি ক্যাম্পাসে বসে মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর। শুরু হয়, মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিভিন্ন স্থান থেকে চালান নিয়ে এসে মদের ব্যবসাও করেন। সরবরাহ করেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীর।

সম্প্রতি, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। এজন্য তিনি রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালান মাদক ব্যবসা। তার দাবি, তিনি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী। থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্যসঙ্গী। এর কাউকে কাউকে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা গেছে।

এ ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায়। এরপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) কক্ষটি সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ বিষয়ে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সবচেয়ে বেশি মদ, গাঁজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরাই।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শোনেনি। ফলে, তার সঙ্গে আমাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে বিষয়টির সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সবাই জানে যে, জয় পুরোপুরি মাদকাসক্ত। সে অনেকদিন ধরেই মদ, ইয়াবা সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও এগুলো ছাড়েনি সে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কেন জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেন। তবে মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন তিনি। পাশে রাখা আছে আরো দুটি বোতল।

এছাড়াও ওই হলে থাকা শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের অনুসারী কয়েকজনের মাধ্যমে আরো বেশ কয়েকজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, যারা মাদক গ্রহণ এবং হল জুড়ে মাতলামির জন্য পরিচিত। তাদের নাম, বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের একটি তালিকা বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার হাউস টিউটরসহ আমরা কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। কক্ষটি আপাতত সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো, তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মাদক কারবারের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।

 

 

;