ডাকসু নির্বাচন
ফের পুনঃনির্বাচনের দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের
গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ফের পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ'।
রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ সময় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাশেদ খান ও ফারুক হোসেনসহ সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফারুক হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা একটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট। তাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত ও দাবির আলোকে গত ১১ মার্চের বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ রইল।'
পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন নুর। তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি এই নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। ২৮ বছর পর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা সুষ্ঠু হয়নি। বরং এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কালিমা লেপে দেওয়া হয়েছে। তাই পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে।'
এ সময়, নির্বাচনে অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিও জানান নুর।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান নবনির্বাচিত ডাকসুর এ ভিপি।
পুনঃনির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, 'গত ১২ মার্চ দুপুরে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ বাদে অন্য পদগুলোর পুনঃনির্বাচনের যে দাবি জানিয়েছিলাম সেটি ছিল আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য। কারণ, আমরা মনে করেছিলাম এতো কারচুপির পরেও এই দুটি পদে তারা ব্যালেন্স করতে পারেনি। তাই আমাদের দুইজনকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু এর পরে যখন আমি দেখলাম, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবগুলো পদেই পুনঃনির্বাচন চায়, তখন আমিও তাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে সবগুলো পদে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম।'
তিনি এখনো তার দাবিতে অনড় আছেন এবং সর্বদা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেই থাকবেন বলেও জানান নুর।