রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন করবেন যেভাবে



সাইফুল্লাহ সাইফ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে আবেদন প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। চলবে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আগামী ২০-২২ অক্টোবর এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (http://admission.ru.ac.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের এ আবেদন করতে হবে।

অনলাইনে যে প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক আবেদনটি করতে হবে তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ওয়েবসাইটের হোম পেজে Start Preliminary Application-লেখা অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। এরপর সেখানে প্রার্থীকে তার এসএসসি বা সমমান ও এইসএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষার রোল, শিক্ষাবোর্ড ও পাশের বছর দিতে হবে। একই সঙ্গে পেজে প্রদত্ত একটি ছবিতে দৃশ্যমান সংখ্যা ও অক্ষর যথাস্থানে ইনপুট দিতে হবে।

আরও পড়ুন: রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু

তবে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাবোর্ডের স্থলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে echnical Vocational অথবা Technical-HBM/DIC অথবা Business Management দিতে হবে। জিসিই (এ লেভেল ও লেভেল) ও বিএফএ’র শিক্ষার্থীরা বোর্ডের স্থলে Others GCE-A Level/BFA-সিলেক্ট করতে হবে।

সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে Submit-অপশনে ক্লিক করলে প্রার্থীর মোবাইল নম্বর প্রদানের পেজ পাওয়া যাবে। কোনো আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ডাটাবেজে না পাওয়া গেলে Complain Box-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে।

প্রাথমিক আবেদনের প্রক্রিয়া

আবেদন প্রক্রিয়ার শুরুতেই প্রার্থীর মোবাইল নম্বরটি নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল নম্বরটি অবশ্যই প্রার্থীর নিজের অথবা অভিভাবকের হতে হবে। একই মোবাইল নম্বর একাধিক প্রার্থীর জন্য ব্যবহার করা যাবে না। সঠিক নম্বর প্রদানের পর Submit-এ ক্লিক করলে প্রদত্ত মোবাইল ফোনে চার ডিজিটের একট পিন নম্বর যাবে। প্রাপ্ত পিন নম্বরটি নির্ধারিত বক্সে লিখে ‘ভেরিফাই পিন’এ ক্লিক করলে মোবাইল নম্বরটি নিশ্চিত হবে। মোবাইল নম্বর ভুল হলে এডিট মোবাইল নম্বর লিংকে গেলে নম্বরটি সংশোধন করতে হবে।

প্রাথমিক আবেদনে ইউনিট সিলেকশন

মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করলে প্রার্থীর এসএসসি বা সমমান এবং এইসএসসি বা সমমান পরীক্ষার তথ্যসহ প্রাথমিক আবেদনযোগ্য ইউনিট সমূহের তালিকা প্রদর্শিত হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে মিলিয়ে নিতে হবে। কোনো প্রকর গরমিল দেখা গেলে ‘এক্সিট’ এ ক্লিক করে তা সংশোধন করে নিতে হবে। আবেদনকারী যে যে ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন করতে ইচ্ছুক তাদের পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে Submit-এ ক্লিক করতে হবে।

ছবি আপলোড

আবেদনকারীকে সদ্য তোলা ৩০০*৪০০ পিক্সেল সাইজের স্পষ্ট রঙিন জেপিজি ফরমেটের ছবি আপলোড করতে হবে। ছবির ফাইল সাইজ ১০০ কিলোবাইটের মধ্যে রাখতে হবে। ছবির পেছনে এক রঙের হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো প্রকার গাছপালা, প্রাকৃতিক দৃশ্য ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য হবে না। স্কুল বা কলেজ ড্রেস পরিহিত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। আবেদনের সময় প্রদত্ত ছবিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ব্যবহার করা হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো রকম ইফেক্ট দেওয়া ছবি গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রাথমিক আবেদনের সময় ছবি সংক্রান্ত কোনো সংশোধন করা যাবে না।

কোটার তথ্য প্রদান

সঠিকভাবে ছবি আপলোডের পর আবেদনকারী যদি কোটার সুবিধা নিতে আগ্রহী হয় তাহলে তার ‘ঈন্সিত কোটা’ বা কোটা সমূহ সিলেক্ট করতে হবে। ‘এফএফকিউ’র আবেদনকারীকে অতিরিক্ত দুটি অপশন পুত্র বা কন্যা বা নাতি বা নাতনির একটি অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে। যে কোটায় আবেদন করতে ইচ্ছুক তার পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের দুই মেগাবাইটের স্ক্যান কপি একটি মাত্র জেপিজি অথবা পিডিএফ ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে। এছাড়া ‘এফএফকিউ’র ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র এবং প্রার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক প্রয়োজনীয় জন্মসনদপত্র একটি ফাইল জেপিজি বা পিডিএফ’র মাধ্যমে আপলোড করতে হবে। অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে।

আবেদনের তথ্য প্রদান সম্পন্নকরণ

প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সঠিকভাবে প্রদানের পর Next অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে আবেদনকারীর তথ্যাবলী প্রদর্শিত হবে। কোনো তথ্য ভুল থাকলে Back অপশনে ক্লিক করলে প্রার্থীর প্রাথমিক আবেদনের তথ্যাদি প্রদান সম্পন্ন হবে এবং একটি স্লিপ দেওয়া হবে। প্রাপ্ত স্লিপে আবেদনকারীর Application ID, Bill Number এবং ফি’র পরিমাণ ৫৫ টাকা মুদ্রিত থাকবে। স্লিপটির নিচের দিকে অবস্থিত Download Payslip-অপশনে ক্লিক করে স্লিপটি প্রিন্ট বা সংরক্ষণ করা যাবে। এরপর ok অপশনে ক্লিক করলে প্রক্রিয়াটি শেষ হবে। পরে প্রাপ্ত বিল নম্বর ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি দিতে হবে।

পরে প্রাথমিক আবেদনকারীদের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটের জন্য অনধিক ৩২ হাজার আবেদনকারী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীকে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের গিয়ে চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

ফি প্রদান পদ্ধতি ও প্রাথমিক আবেদন নিশ্চিতকরণ

স্লিপে প্রদত্ত বিল নম্বর ব্যবহার করে রকেট বা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদনের জন্য সার্ভিসচাজসহ ৫৫টাকা দিয়ে প্রাথমিক আবেদন নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ প্রার্থীদের আবেদন পদ্ধতি

জিসিই A লেভেল, O লেভেল বিএফএ’র আবেদনকারীদের ওয়েবসাইটের হোম পেজে Start Preliminary Application-অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে প্রবেশ করতে হবে। এরপর পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্যসহ এইচএসসি ও এসএসসি এর সমমান পরীক্ষার মার্কশিটের Scan Copy-আপলোড করতে হবে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনকারীর প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে আবেদনের যোগ্যতার বিষয়টি অবহিত করা হবে। এর পর আবেদনকারীকে অন্যান্য আবেদনকারীদের মতো আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্র।

এবছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুবি ক্যাম্পাসসহ নয়টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ১০,১৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

উপকেন্দ্রগুলো হলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (কোটবাড়ি), গভ. ল্যাবরেটরী হাইস্কুল (কোটবাড়ি), বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল (বিজিবি সদর সপ্তর, কুমিল্লা), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি, কোটবাড়ি), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ (শাকতলা, কুমিল্লা) এবং বার্ড হাইস্কুল (কোটবাড়ি)।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। এদিন নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফৌজদারি অপরাধ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। গরমে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম থাকবে।'

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অন্যবারের মতোই ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সবার সাথে সমন্বয় করে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। আশা করি অন্যান্যবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;