হ্যাটট্রিকের আনন্দে উড়ছেন এনামুল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়েছেন এনামুল

হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়েছেন এনামুল

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল তার। টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র। যদিও তার ক্যারিয়ারটা শেষ পর্যন্ত আক্ষেপের অন্য নাম হয়েই থেকেছে। সেই ২০১৩ সালের পর থেকেই নেই জাতীয় দলে।

তবে হাল ছাড়েন নি এনামুল। এই স্পিনার খেলে যাচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে। সেখানে সাফল্যটাও মন্দ না। এই যেমন বুধবার হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

১২০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৩৪তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন এনামুল। তার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান ৩৪বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আরেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ডে রাজ্জাকের সঙ্গে তার লড়াইটা বেশ জমেছে।

এনামুলের স্পিনে বড় লিড নিতে পারেনি ঢাকা বিভাগ। ৩৪৬ রানে অলআউট তারা। সিলেট ১ম ইনিংসে করেছিল ২৩৮ রান। এরপর ২য় ইনিংসে নেমে বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নিজের সবশেষ ইনিংসে রাজিন সালেহ অপরাজিত আছেন ৪০ রানে। এখনো ঢাকার সংগ্রহ স্পর্শ করতে ৬ রান চাই তাদের। এই হিসাবটাই বলে দিচ্ছে চাপে রয়েছে সিলেট।

ঢাকার ইনিংসের ৭৬তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইবুর রহমানকে বোল্ড করে বুধবার হ্যাটট্রিক অভিযান শুুরু করেন এনামুল। পরের বলেই তুলে নেন আব্দুল মজিদের উইকেট। ১০৪ রানে ফিরেন তিনি। ওভারের শেষ বলে নাজমুল হাসান মিলনকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন এই স্পিনার। ৩৩ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

সিলেট ১ম ইনিংস: ২৩৮/১০
ঢাকা ১ম ইনিংস: ১১৪.৫ ওভারে ৩৪৬ (মজিদ ১০৪, তাইবুর ১৫, নাদিফ ২৮, মোশাররফ ৫০, মাহবুবুল ২, শাহাদাত ৩৪*; ইমরান ১/৪২, নাবিল ১/৫৪, ইবাদত ২/৫৯, এনামুল জুনিয়র ৫/৮৭, শাহানুর ১/৯৭)

সিলেট ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১০২/৪ (ইমতিয়াজ ৮, শানাজ ১২, রাজিন ৪০*, কাপালি ৩৯, এনামুল জুনিয়র ২*; শাহাদাত ২/১৯, তাইবুর ১/২৮, শুভাগত ১/২৬)

   

লিভারপুলের হতাশার ড্রয়ে উত্তাপ ছড়াল ক্লপ-সালাহর ঝগড়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ সালাহ মাঠে নামার ঠিক আগে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা গেল এক বিচিত্র দৃশ্য। বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত সালাহ। বাকবিতণ্ডা এতটাই চরমে পৌঁছে যে এক পর্যায়ে ডারউইন নুনিয়েজ এবং জো গোমেজ সালাহকে নিবৃত্ত করেন। লিভারপুলের মাঠের দুর্যোগের একটা প্রতীকী দৃশ্য হিসেবেই ধরা দেয় সালাহ-ক্লপের এই বচসার ঘটনা। শিরোপার দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়া লিভারপুল আজ ড্র করেছে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে, ২-২ গোলে।

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে প্রথমার্ধটা পিছিয়ে থেকেই শেষ করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। ৪০ মিনিটে লুইস দিয়াজ ওয়েস্ট হ্যামের পোস্ট কাঁপানোর মিনিট তিনেক পরেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। লুকাস পাকেতার নেয়া শর্ট কর্নার থেকে বল আয়ত্তে নিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান মোহাম্মদ কুদুস। সে ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে এগিয়ে দেন জ্যারড বোয়েন।

সে গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল বিরতির পরপরই সমতা ফেরায়। দারুণ একটা আক্রমণ থেকে রবার্টসনের উদ্দেশে বল বাড়ান দিয়াজ। দ্রুততার সঙ্গে শট নিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরান স্কটিশ ফুলব্যাক রবার্টসন।

৬৫ মিনিটে লন্ডন স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর ভলি শট ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডার অ্যাঞ্জেলো ওগবনার গায়ে লেগে গোলের দিকে চলে যায়। গোলকিপার আলফসে আরিওলা সেটা ঠেকাতে গিয়েও পারেননি।

তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি হেডারে ৭৭ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যামকে সমতায় ফেরান মিখাইল আন্টোনিও। শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই সমতা বজায় থাকলে হতাশা নিয়েই লন্ডন থেকে ফিরতে হয় ক্লপের লিভারপুলকে।

এই ড্রয়ের ফলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (৭৭) চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লিভারপুল (৭৫)। আর দুইয়ে লিভারপুলের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি (৭৬)।

;

স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ জন পেলেন শিক্ষাবৃত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর দুয়েক আগে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয় প্রাইম ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় এবারও বিসিবির স্কুল ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিভাবান ১৫ ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তি তুলে দিয়েছে তারা।

আজ (শনিবার) ২০২২-২৩ মৌসুমের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী। বৃত্ত প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।

স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য প্রাইম ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। আমরা তাদেরকে তুলে এনে পরিচর্যা করি। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। এছাড়া বাকিরা কিন্তু বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।' 

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় পরিসরের আয়োজন স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দেশের প্রায় ১২ হাজার শিশু-কিশোর ক্রিকেটারকে নিয়ে আয়োজিত হয় স্কুল ক্রিকেট।

;

বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে রানপাহাড়ে দিল্লি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে রানের ফোয়ারা ছুটছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে কিছুদিন আগেও দুইশ রানকে বড়সড় সংগ্রহ ভাবা হত, সেই দুইশ রান বা তারও বেশি আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরও এখন হাতে মোয়া। গত রাতেই যেমন টি-টোয়েন্টিতে ২৬২ রানের বিশ্বরেকর্ড রানতাড়ার কীর্তি দেখাল পাঞ্জাব কিংস। এবার নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল দিল্লি। ঘরের মাঠে বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।

দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে দিল্লীর দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও অভিষেক পোরেল। দুজনের মধ্যে মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর বেশি চড়াও হন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লুক উডকেই ছাতু বানিয়ে ১৯ রান তোলেন তিনি।

মাত্র ১৫ বলেই অর্ধশত রানের মাইলফলকে পৌঁছান। তার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৯২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দিল্লি।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক যখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন তিন অঙ্কের দিকে, তখন তার সামনে অভিজ্ঞ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তার গুগলিতে ডিপ মিডউইকেটে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ফেরার আগে ২৭ বলে ১১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৮৪ রান আসে তার ব্যাটে।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সাজঘরের পথ ধরার পর কিছুটা শ্লথ হয় দিল্লীর রান তোলার গতি। নবীর করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে স্টাম্পড হন অন্য ওপেনার অভিষেক (৩৬)।

তবে তিনে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপের ব্যাটে আবার ছন্দ খুঁজে পায় তারা। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় দিল্লীর সংগ্রহ। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নবী, জশপ্রীত বুমরা, পীযুষ এবং লুক উড।

;

বেয়ারস্টো-নারাইনদের মহাকাব্যিক দ্বৈরথে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলটা রীতিমত রান উৎসবের খেলায় পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড। ২৬০ এর বেশি রান হচ্ছে নিয়মিতই। এবার শুরু হয়েছে আড়াইশর বেশি রান তাড়ার মহড়া। পাঞ্জাব দেখালো ২৬১ রানও তাড়া করা সম্ভব। তাও আবার ৮ বল হাতে রেখে। কলকাতার বিপক্ষে পাঞ্জাবের এই রান তাড়ার ঘটনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার মাইলফলক।

কলকাতা এবং পাঞ্জাব দুই দল মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৪২টা। যেটা টি-টোয়েন্টি একম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ। আগে ছিলো ৩৮টা।

এই রান তাড়ার পথে পাঞ্জাব ছক্কা মেরেছে ২৪ টা। যেটা টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২৬ ছক্কা মেরে এক নম্বরে রয়েছে নেপাল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে দুই দলের চার ওপেনারের চারজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কেকেআরের হয়ে ফিল সল্ট ৭৫ এবং সুনীল নারিন করেন ৭১ রান। পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসিমরান করেন ৫৪ আর জনি বেয়ারস্টো অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।

এই চারজন ছাড়াও ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শশাঙ্ক সিং। পাঁচ ব্যাটারের প্রত্যেকেই ফিফটি করেছেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম।

এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো দুইশো প্লাস স্কোর চেজ করেছে পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে যেটা সর্বাধিক।

;