লিগ সেরা বোলিং মাশরাফির, আবাহনীর জয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন উচ্চতায় মাশরাফি

ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন উচ্চতায় মাশরাফি

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ৪ ম্যাচে খেলেছিলেন কিন্তু তেমন প্রভাব বোঝা যাচ্ছিলো না। সেই অভাব মিটিয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা লিগে নিজের পঞ্চম ম্যাচে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আবাহনী এই ম্যাচ জিতলো ২৯ রানে। মাশরাফি প্রভাব দেখালেন ৪৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করে। চলতি লিগে এক ম্যাচে এটাই যে কোন বোলারের সেরা বোলিং রেকর্ড।

সাভারে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সাধারত প্রায় সব ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখান। এই ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরাই দাপট দেখাচ্ছিলেন। আবাহনীর ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান। জবাবি ইনিংসে গাজী ক্রিকেটার্সের ইমরুল কায়েস লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। তবে ম্যাচের শেষবেলায় ৬ উইকেট শিকার করে নিজের বোলিং কৃতিত্বকেই শিরোনাম করে রাখলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আবাহনীর ২৮৬ রানের জবাবে গাজীর ইনিংস থেমে যায় ২৫৭ রানে। শেষ ৩৬ বলে ম্যাচ জিততে গাজীর প্রয়োজন দাড়ায় ৬২ রান। হাতে বাকি ছিলো ৪ উইকেট। তৌহিদ তারেক খেলছিলেন ২৪ রান নিয়ে। সাজ্জাদুলের রান তখন ১৪। দুজনে উইকেটে বেশ ভালো জমেও গেছেন। টি-টুয়েন্টি মেজাজে খেলতে শুরু করলে শেষের জন্য এই রান তেমন বড় কোন স্কোর নয়। কিন্তু সাইফুদ্দিন ও মাশরাফি যে নিজেদের শেষের বোলিংয়ে আরও বড় বীরত্ব দেখান।

শুরু, মাঝে এবং শেষ-ম্যাচের তিন স্তরেই মাশরাফির বোলিংয়ের সামনে উড়ে যায় গাজী ক্রিকেটার্সের সব প্রতিরোধ। গাজীর প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই মাশরাফির! মাঝের স্পেলে একটি উইকেট এবং নিজের শেষ ওভারে আরো দুই উইকেট। অর্থাৎ তিন স্পেলে যখনই বল হাতে নিলেন তখনই উইকেট!

৮ ওভারে ৩০ রানে ৪ উইকেট শিকার করা মাশরাফি যখন তার শেষ দুই ওভার করতে আসেন তখনো গাজী ক্রিকেটার্স ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। মাশরাফির ৯ নম্বর ওভারটা একটু খরুচেই গেলো। এক ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে সেই ওভারে তার ব্যয় হলো ১৪ রান। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে তৈাহিদ তারেক ও কামরুল ইসলাম রাব্বীকে ফিরিয়ে দিয়ে আবাহনীকে ম্যাচ জেতান মাশরাফি।

জহুরুলের ১৩৮ বলে ১৩০, ইমরুলের ১৫ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১১৮ বলে ১২৬ রান বা আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৭৬ বলে ৭১ রানের ইনিংস নেহাতই পার্শ্ব গল্প হয়ে রইলো মাশরাফির ৪৬ রানের ৬ উইকেটের ম্যাচে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আবাহনী ২৮৬/৬ (৫০ ওভারে, জহুরুল ১৩০, মোসাদ্দেক ৭১, নাসুম ২/৪৭, কামরুল ২/৭০)। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ২৫৭/১০ (৪৮.৪ ওভারে, ইমরুল কায়েস ১২৬, তৈাহিদ তারেক  ৩৯, মাশরাফি ৬/৪৬, সাইফুদ্দিন ২/৬৩)। ফল: আবাহনী ২৯ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: মাশরাফি বিন মর্তুজা।

   

৫৮ বলে ম্যাচ জিতে সানরাইজার্সের ইতিহাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয়- আইপিএলের চলতি মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং দেখে আপনার মুখ দিয়ে নিশ্চয়ই এই শব্দগুলোই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। হবে না-ই বা কেন! যেভাবে ব্যাট হাতে একের পর এক কীর্তি গড়ছেন ট্র্যাভিস হেড-অভিষেক শর্মারা। চলতি মৌসুমে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি তো এরই মধ্যে গড়েছে হায়দরাবাদ। এবার সবচেয়ে কম বল খেলে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়ার রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে তারা।

লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য মোটে ৯.২ ওভার বা ৫৮ বলের মধ্যে স্পর্শ করেছে হায়দরাবাদ। পুরুষদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি আর কারো নেই।

হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লক্ষ্ণৌ। ভুবনেশ্বর কুমারদের দাপটে শুরুর ১০ ওভারে সুবিধা করতে পারেনি তারা। এই সময়ে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩ উইকেটে ৫৭ রান। তবে ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগে ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদোনির ৯৯ রানের ঝোড়ো জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। ২০ ওভারে তাদের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৫।

আয়ুশ ৩০ বলে ৯ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন, পুরানের ব্যাটে আসে ২৬ বলে ৪৮* রান। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে স্রেফ ১২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন হায়দরাবাদ পেসার ভুবনেশ্বর।

আইপিএলে এবার প্রায় ম্যাচেই রানের ফোয়ারা ছুটছে ঠিক, তবে ১৬৫ রানের সংগ্রহ একেবারে মামুলি নয়। ভালো বোলিং আক্রমণ থাকলে এই গোছের লক্ষ্য দিয়ে সফল হওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। তবে 'ভালো বোলিং'টা আর করতে পারলেন কই লক্ষ্ণৌয়ের বোলাররা!

১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার হেড এবং অভিষেকের ব্যাট হয়ে উঠল খাপখোলা তলোয়ার। ৩০ বলে সমান আটটি করে চার-ছয়ে ৮৯ রান করলেন হেড। অভিষেক সমান সংখ্যক চারের সঙ্গে দুটি ছয় কম হাঁকিয়ে ২৮ বলে ৭৫।

তাদের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের বড় জয়ে হায়দরাবাদ প্লে-অফের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল। এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট এখন ১৪, টেবিলে অবস্থান তৃতীয়।

;

ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে ঘরে ফিরছেন সিলভা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে ইউরোপীয় ফুটবলে পাড়ি জমিয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা। ইউরোপে পনেরোটি সফল বছর কাটিয়ে আবার সেই ‘ঘরে’ ফিরে যাচ্ছেন ব্রাজিলের সাবেক অধিনায়ক। চলতি মাসেই পেশাদার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেবেন তিনি।

চেলসির সঙ্গে চলতি মৌসুমের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে সিলভার। ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লুমিনেন্সে নাম লেখাবেন তিনি। তবে ১৯ মে চেলসির জার্সিতে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলার পরপরই তাকে ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি।

বিবিসি স্পোর্ট জানিয়েছে, ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে সিলভার। পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর আগে থেকেই ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে সম্পর্ক তার। একসময় ক্লাবটির যুব দলে খেলেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমে ২০০৬ সালে ডায়নামো মস্কো থেকে ধারে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ফ্লুমিনেন্সে কেটেছে তার।

এরপর ইউরোপের তিন দেশের তিন জায়ান্ট ইতালির এসি মিলান, ফ্রান্সের পিএসজি এবং ইংল্যান্ডের চেলসির জার্সিতে দীর্ঘ দেড় দশক মাঠ মাতিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

;

বায়ার্নের ‘ভয়ে’ শিরোপা উৎসব স্থগিত রেখেছে রিয়াল!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা জয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবু এখনো শিরোপা উৎসব করছে না ক্লাবটি। কারণ? চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখ যে তাদের চোখ রাঙাচ্ছে। বায়ার্নের মাঠে প্রথম লেগ ২-২ ড্র হওয়ায় সব হিসাব-নিকাশ দ্বিতীয় লেগের জন্য তোলা। তাই তো নিজেদের লিগ শিরোপা উৎসবকে আপাতত স্থগিত রেখে বায়ার্ন ম্যাচ নিয়ে ভাবছে রিয়াল।

এই তথ্যটি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। লিগ শিরোপা জয়োৎসব পিছিয়ে দেয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘(লিগ শিরোপা) উদযাপন না করাটাই ঠিক কাজ ছিল। সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। সপ্তাহান্তে আনন্দ-উৎসব করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই।’

আজ (বুধবার) দিবাগত রাতে বায়ার্নকে হারিয়ে দিতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে যাবে রিয়াল। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটিকে হারাতে পারলে রেকর্ড ১৫তম বারের মতো ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবে তারা।

তবে ফাইনাল এখনো দূরের ভাবনা। সেখানে যেতে আজ বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে হবে তাদের। বুন্দেসলিগার শিরোপা হাতছাড়া বায়ার্ন এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই পাখির চোখ করেছে। তবে বায়ার্নের এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই শিরোপার স্বপ্নে বুঁদ রিয়ালের স্প্যানিশ ফুলব্যাক কারভাহাল, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে আমরা মুখিয়ে আছি। আবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরা থেকে আমরা স্রেফ দুই ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে।’

আজ রাত একটায় সান্তিয়াগো বের্নাবিউতে ফাইনালের টিকিট কাটতে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।

;

বল ব্যাটে লেগেছে তাতেই খুশি লিটন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসকে অদ্ভুত এক নেশায় পেয়ে বসে। স্কুপের নেশা! ব্লেসিং মুজারাবানির করা এক ওভারে টানা তিনবার এই শট খেলার চেষ্টা করেন। প্রথমবার বল ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল ব্যাটে লাগলেও আঘাত হানে স্টাম্পে গিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন লিটন এমন স্কুপ খেলা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তখন লিটন বল ব্যাটে লাগাতে পেরেই সন্তুষ্টির কথা জানালেন।

দীর্ঘ সময় ধরে ফর্মে নেই লিটন দাস। ‘বিকল্পের অভাবে’ তবু জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তিন ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্কুপ নিয়ে তার ‘পাগলামি’তে খেপেছেন ভক্তরা। তবে লিটন সেসব গায়ে মাখছেন না, ‘আমি উদ্বিগ্ন না। দেখেন (বল) ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লেগেছে। এটা যদি ওদিক দিয়ে চলে যেত তাহলে বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম।’

লিটন ইতিবাচক তার ফর্মে ফেরা নিয়েও, ‘দেখা যাক (জিম্বাবুয়ে সিরিজে) আরও দুটো ম্যাচ আছে। আশা করি সামনেই আমার ব্যাট হাসবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩ বলে ১ রান আসে লিটনের ব্যাটে। পরের ম্যাচে ২৩ রান করতে খরচ করেন ২৫ বল। আর সবশেষ ম্যাচে ১৫ বলে ১২ রান করে স্কুপ খেলতে গিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হন। এমন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে টিকে গেছেন লিটন। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে মেলে ধরার এই সুযোগ লুফে নিতে পারবেন এই ব্যাটার?

;