কওমি সনদের স্বীকৃতি ঐতিহাসিক মাইলফলক: আল্লামা শফী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কওমি সনদের স্বীকৃতি ঐতিহাসিক মাইলফলক: আল্লামা শফী, ছবি: সংগৃহীত

কওমি সনদের স্বীকৃতি ঐতিহাসিক মাইলফলক: আল্লামা শফী, ছবি: সংগৃহীত

কওমি সনদের স্বীকৃতি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক এবং সম্মানের বিষয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

সোমবার ( ১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মিলনায়তনে ২০১৮ সালের চট্টগ্রাম বিভাগের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মুমতাজ (জিপিএ-৫) প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

হেফাজতের আমীর আল্লামা শফী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে আমাকে সম্মান দেখিয়েছেন। তোমরা (ছাত্ররা) এটার মূল্যায়ন করো। তোমরা অনেক বড় ডিগ্রি পেয়েছ। এক সময় তোমরা সরকারি মাদরাসায় (আলিয়া) গোপনে পরিক্ষা দিতে। এখন সরকারি মাদরাসার ছাত্ররা এখানে এসে পরীক্ষা দেবে। সরকারি সনদ দিয়ে কওমি আলেমদের সম্মানিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশবাসীর জন্য দোয়াও করেন আল্লামা শফী।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি আলেমসমাজকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছেন। আল্লামা শাহ আহমদ শফী যেভাবে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি আমাদের সবার মুরুব্বি। আল্লাহতায়ালা তাকে দীর্ঘায়ু করুন।

বিজ্ঞাপন

হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে। বাতিলের দাঁতভাঙা নয় মাড়িভাঙা জবাব দিতে হবে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আসনের এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভি বলেন, কওমি সনদের এমন স্বীকৃতি বিশ্বে নজির। বিশ্বের কোথাও সরকারিভাবে স্বতন্ত্র স্বীকৃতির নজির নেই। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সনদ দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারিভাবে স্বতন্ত্র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বে যত মাদরাসা আছে সবগুলোর মূল হলো- কওমি মাদরাসা।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সহকারি মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, হাটহাজারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মীর কফিল উদ্দিন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বেফাক কর্তৃক চট্টগ্রাম বিভাগের জিপিএ-৫ পাওয়া ১৫০ জন ছাত্রকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।