সেন্টমার্টিনে ‘রাতযাপন’ পুনর্বিবেচনা হতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
আগামী চার মাসের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের রাত্রী যাপন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে হিল ডাউন সার্কিট হাউজে সেন্টমার্টির দ্বীপের বিরল জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত আমরা দেখবো আপনারা দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রী যাপন কতটুকু কমিয়ে আনতে পারেন। যদি দেখি, আমরা যেভাবে চাচ্ছি সেভাবে নিয়ন্ত্রণে এবং শৃঙ্খলায় চলে আসছে তাহলে মার্চের শুরুতে রাত্রী যাপনের নিষেধ আরোপের বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, কোরালের কারণে সেন্টমার্টিন টিকে আছে এবং পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারণ। এখন এই কোরাল ধ্বংস হয়ে গেলে দ্বীপও থাকবে না, পর্যটকও আসবে না। তাই দ্বীপকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে দ্বীপের মানুষকে সরিয়ে আনা হবে এই খবর সঠিক নয়। আমরা চিন্তা করছি, কিভাবে দ্বীপের মানুষের জন্য স্থায়ী আয়ের উৎস সৃষ্টি করা যায়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ড. নুরুল কাদির, অতিরিক্ত সচিব মো. মোজাহেদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন।
উল্লেখ্য যে, মানুষের অবাধ বিচরণ, মাত্রাতিরিক্ত অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়া কারণে চরম অস্থিত্ব সংকটে দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপ রক্ষায় সম্প্রতি সেখানে পর্যটকদের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ এবং রাতযাপনে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আন্তঃমন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।