টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীকে খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীকে খুন। ছবি: সংগৃহীত

টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীকে খুন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের শার্শায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার নাভারন কাজীরবেড় গ্রামের কলাবাগান থেকে পুলিশ তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।

নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বেনাপোল বন্দর থানার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জাহিদুল ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য ৭ লাখ টাকা দেন নাভারন কাজীর বেড় গ্রামের ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। কিন্তু বিদেশ না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে বিউটি। গতকাল বুধবার টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে বিউটি তাকে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর জাহিদকে ঘরে আটকে রেখে ভাড়াটে কিলার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেন।

এদিকে জাহিদের বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজ করতে করতে একপর্যায়ে বিউটির বাসায় আসে। তবে বিউটির বাসা থেকে বলা হয় জাহিদ সেখানে যাননি। পরে বিষয়টি শার্শা থানা পুলিশকে জানানো হলে বিউটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারে জাহিদকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান জানান, জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

   

প্রধানমন্ত্রীর কাছে 'রেডি টু কুক ফিশ' হস্তান্তর করলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নের্তৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম বিশেষত ‘রেডি টু কুক ফিস’ কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন।

তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

;

রো‌হিঙ্গাদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আরও ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্প‌তিবার (৯ মে) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থে‌কে পাঠা‌নো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার, ভাসানচর এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, বিশুদ্ধ পানি এবং আশ্রয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমাতে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার উদ্যোগ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অ্যাম্বাসেডর জেফরি প্রেসকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশে সফরকালে নতুন এই সহায়তা তহবিলের ঘোষণা দেন।

অ্যাম্বাসেডর প্রেসকট বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তার একক বৃহত্তম দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট অর্থায়ন আগস্ট ২০১৭ থেকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১.৯ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে শরণার্থী এবং আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে।

 

;

বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার’ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিজ্ঞানমনস্কতা।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞানী হওয়ার কারণে শেখ হাসিনাও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠেছেন। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী সব সময় গবেষণার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার। শেখ হাসিনার বিজ্ঞানমনস্ক এবং এই পরিবার বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল। সে কারণেই সজীব ওয়াজেদ জয় আজকে আইসিটি বিশেষজ্ঞ। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণাতেই বাংলাদেশ আজকে আইসিটিতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও সাপ্তাহিক গণবাংলা।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত! ’৭৫ এর পরে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনাকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় অসীম সাহস এবং ধৈর্য না থাকলে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে আগলে রাখা এত সহজ হতো না!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, তারা তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া যখন পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন, তার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। এরপর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মনোবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করেছেন। ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা তাদের সন্তানেরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণেই এতকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

আলোচনা সভায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব মেধাবী। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কমিশনের বীজ বপন করেছেন ওয়াজেদ মিয়া। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা! তাঁর চিন্তা-চেতনা সারাদেশকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্মসম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

;

‘গ্যাস ট্যাবলেট’ খেয়ে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বামী- স্ত্রী ঝগড়া করে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে একসাথে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে স্ত্রী মারা গেলেও স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নান্দুরা গ্রামের রাজমিস্ত্রী আবু হাসান (৩২) ছয় মাস আগে একই গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা বেগমকে দ্বিতীয় (২৮) বিয়ে করেন। আবু হাসান তার দুই স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, দুই স্ত্রী এক বাড়িতে বসবাস করায় প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। বুধবার রাতে আবু হাসান তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করেন। পরে দুই জন একসাথে গ্যাস ট্যাবলেট (বিষাক্ত ট্যাবলেট) সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার আগেই নাজমা বেগম মারা যান। স্বামী আবু হাসানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়।

শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আবু হাসান রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে নাজমার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য কলহ নিয়েই দু'জনেই গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। নাজমা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আবু হাসানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

;