বস্তিবাসীদের ফ্ল্যাট গড়ে দেওয়ার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার বস্তিবাসীর জন্য সরকারিভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি ঢাকায় বস্তিবাসী রয়েছে। এই বস্তিবাসীরা মানবেতর জীবন-যাপন করেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে যে অবস্থায় তারা বসবাস করে সে অবস্থা থাকবে না। তারা যাতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে পারে বহুতল ভবন করে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে, আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের জন্য আমরা সেই ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেব। অন্তত সেই ফ্ল্যাটগুলি কেউ যদি দৈনিক হারে ভাড়া দিতে চায় দৈনিক হারে ভাড়া দিতে পারবে, সাপ্তাহিক হারে ভাড়া দিতে পারবে, মাসিক হারে ভাড়া দিতে পারবে, যে যেভাবে চাইবে সেভাবে ব্যবস্থা করব।’

শুক্রবার (২১ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহর সভাপতিত্ব বেলা পৌনে ৩টায় জনসভা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী আসেন পৌনে ৪টার দিকে। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ইয়ুথ ক্লাব মাঠে জড়ো হন। তারা নৌকার প্রতিকৃতি নিয়ে, নেচে-গেয়ে উল্লাস করেন। প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানার হাতেও বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্প নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামীতে সরকারে আসতে পারলে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে প্রত্যেকটা মানুষ স্বল্প আয়ের মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেব্যবস্থা আমরা করে দেব।

ঢাকাবাসীর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমরা পানির সমস্যা সমাধান করেছি। এখন আর কোন পানির সমস্যা নেই। তবে আমি অনুরোধ করব এই এক লিটার পানি পরিশোধন করতে অনেক টাকা খরচ হয়, তাই পানির যাতে অপচয় না হয় সেদিকে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আগে যেখানে  ৭/৮ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়, এমন একটা অবস্থা ছিল । আজকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। আল্লহর রহমতে কোন লোড শেডিং নাই। তবে এক্ষেত্রে অনুরোধ করব বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয় সেখানে আমরা ভর্তুকি দেই। খরচের টাকাও আপনাদের কাছ থেকে নেই না। কিন্তু আপনারা দেখবেন বিদ্যুতের যেন অপচয় না হয়। সকলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন।’

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে আমরা মেট্রোরেল করছি। আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে পাতাল রেল চালু করব। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য আমরা সারা ঢাকা শহরে সার্ভে শুরু করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে মেট্রো রেল করা হচ্ছে। পাতাল রেল স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়নগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা সিটিকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকার আশপাশে ছোট ছোট শহর গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক-বীমা বেসরকারি করণ করা হয়েছে। ১০০টি শিল্পাঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হয়। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৩৩টি চালু আছে। সেগুলোতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ১৬০০ থেকে ৮ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী পালন করব। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। আমি আপনাদের কাছে এই নিবেদন করব, ২০২০-২১ থেকে আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চাই। সেই সুবর্ণজয়ন্তী আমরা তখনই পালন করতে পারব যখন নৌকা মার্কায় ভোট পেয়ে আমরা আবারো সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে পারব তখনি।

সভায় শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।

সভায় আরো বক্তব্য দেন শেখ সেলিম,আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাহারা খাতুন, ফারুক, আতিকুল ইসলাম আতিক, সাঈদ খোকন, সাদেক খান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইলিয়াস আলী মোল্লা প্রমুখ।

   

'ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলেই আইনগত ব্যবস্থা'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে জনসচেতনতামূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ। এসময় ট্রেন ভ্রমণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে সতর্ক থাকা, রেলক্রসিং ও রেললাইন পারাপারে সতর্কতার বিষয়েও সচেতন করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া রেলস্টেশনে এই বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রেলওয়ে এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সহযোগিতা কামনা করেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

রেল এলাকায় কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন হাছান চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনগুলোতে সিসিটিভি বসিয়েছে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য। ইদানিং এই এলাকাগুলোতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'

রেলওয়ে আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, 'এ দেশ আমার আপনার। আপনাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।'

সমাবেশ শুরুর আগে প্লাটফর্মের ফুটওভারব্রীজে ঝুকিপূর্ণভাবে চালানোর অভিযোগে সাতকানিয়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে আটটি সাইকেল আটক করা হয়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সাতকানিয়া রেলস্টেশন মাস্টার রতন দাশ, স্টেশন সংলগ্ন এলাকার মানুষ, রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্থানীয় দোকানি ও স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ না করার পাশাপাশি রেললাইন ও রেলক্রসিং দেখে শুনে পারাপার, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার এবং মাদকদ্রব্য চোরাচালান, চেইন পুলিং ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করতে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

;

‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু রেলওয়ের এক নম্বর অগ্রাধিকার’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
রেলওয়ের ডিজি সরদার সাহাদাত আলী

রেলওয়ের ডিজি সরদার সাহাদাত আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর বিষয়টি রেলওয়ের এক নম্বর অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেছেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর প্রশ্নে আমাদের কোনো না নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন রেলের মহাপরিচালক।

মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার চট্টগ্রাম সফরে এসেছেন সরদার সাহাদাত আলী। এ সময় তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি-এসব। আমরা জানি এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।

রেলওয়ের সংকট তুলে ধরে সরদার সাহাদাত আলী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারব। সেক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে- আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু চালক নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি-কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবুও সহজে সমাধান মিলছে না।

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু নিয়ে গত কয়েক বছরে কম কথা হয়নি। তবে সেতুটি শিগগির হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেতুর জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে। সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) থেকে আসবে ৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা দেবে দাতা সংস্থা। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়। এটি হয়ে গেলে আমরা কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করব।

পরিকল্পনা আর কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে রেলওয়ের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নানা কারণে সমন্বয়টা অনেক ক্ষেত্রে হয়নি। এর কারণ হচ্ছে-আমরা অবকাঠামো এবং রোলিং স্টক নিয়ে কাজ করি। দুটো কাজ যখন সমান্তরালভাবে হয় না, দুটোর মধ্যে যখন গ্যাপ থেকে যায়, তখন সমস্যা হয়। দেখা যায়-আমার লাইনগুলো চালাতে পারছি না।

তবে এই সমস্যার জন্য রেলওয়ের কোনো দোষ নেই বলে দাবি করেন সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলো কিন্তু প্রায় বিদেশি দাতা সংস্থার ফান্ডিংয়ে হয়। দেখা গেল- অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ফান্ডিং পেলাম-কিন্তু রোলিং স্টকে পেলাম না। তখন সমস্যাটা হয়। তবে আমরা কাজ করছি। রানিং প্রজেক্টগুলো শেষ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

;

উপজেলা ভোট: নিরাপত্তায় ৫ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন তথ্য ইসিকে জানানো হয়। এসময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার ধাপের নির্বাচনে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী থাকায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন, ঝুঁকিপূর্ণ্য কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাঁচদিন মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভার সংখ্যা, আয়তন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী ২ দিন মোট ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে তা সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট করবে এবং জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে।

পাশাপাশি ভোটের মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। চার ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চারধাপে ৪৭৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথমধাপে ১৪৮টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

;

গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আহবান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ু কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃণমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স বক্তব্য প্রদান করেন।

;