বয়াম ঝুলিয়ে খেজুর রসের জন্য অপেক্ষা

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বয়াম ঝুলিয়ে খেজুর রসের জন্য অপেক্ষা। ছবি: বার্তা২৪.কম

বয়াম ঝুলিয়ে খেজুর রসের জন্য অপেক্ষা। ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে খেজুরের রস ছোট-বড় সব মানুষেরই পছন্দ। কেউ গাছ থেকে নিয়ে সরাসরি পান করে। আবার অনেকে জ্বাল দিয়ে গুড় বানিয়ে খায়। এছাড়াও খেজুর রসের পায়েস জিবে পানি এনে দেবে।

লক্ষ্মীপুর মানুষের মনে গেঁথে আছে, মৌসুমে একবার হলেও রসের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এখন শীত বাড়ায় এ এলাকায় রসও বেশি পাওয়া যাচ্ছে।  তবে গাছি রসের হাঁড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পরে ১০-১২ বছরের শিশুরা গাছে প্লাস্টিকের বয়াম (বোতল) ঝুলিয়ে দেয়। গাছির চোখের আড়াল হয়ে তারা ওই বয়ামে রস ভরাটের জন্য অপেক্ষা করে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তেরবেকী এলাকায়। পাশেই তারা ব্যাডমিন্টন খেলছে আর অপেক্ষা করছে বয়ামে রস ভরাটের জন্য। একটু জমা হলে পরে তারা কাঁচা রস খাবে বলে জানা গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1546007521043.jpg

এখানকার খেজুর রস বেশ মিষ্টি হয়। দিন দিন খেজুর গাছ কমে গেলেও কমে না রসের চাহিদা। রস কেনার জন্য মাঝে মাঝে খুব ভোরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঘরের কর্তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকে আবার গাছির (রস বিক্রেতা) মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাখেন প্রয়োজনে তাকে পাবার জন্য। আবার অনেকে দু-একদিন আগেই রসের অর্ডার দিয়ে রাখেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, দেশের উপকূলীয় পূর্বাঞ্চলের জেলা লক্ষ্মীপুর। এ জেলার ৪টি উপজেলার তিনটিই মেঘনা নদী ঘিরে রেখেছে। তাই এই অঞ্চলে শীতের প্রকোপ রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে মেঘনা থেকে ভেসে আসা দক্ষিণা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে।

এদিকে এ অঞ্চলে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে। এখানকার খেজুরের রসও বেশ মিষ্টি। আর এর পায়েসও সবার লোভনীয় খাবার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1546007539907.jpg

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক হাঁড়ি রস পেতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই অনেক গাছি মধ্যরাতে গাছে হাঁড়ি ঝুলিয়ে দেয়, আবার অনেকে সন্ধ্যায়। তীব্র শীত হলে বেশি রস পাওয়া যায়। শীতের তীব্রতা বাড়লে রসও মিষ্টি হয়।

ব্যাডমিন্টন খেলতে আসা স্কুলছাত্র হাবিব উল্যাসহ কয়েকজন জানায়, এবার ৬-৭ দিন তারা গাছে বয়াম ঝুলিয়েছে। সময় বেশি লাগায় একদিনও পুরো বয়াম রস পাওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই কাঁচা রসই ভাগ করে খেয়েছে।