মেহেরপুরে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
মেহেরপুরে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক দিন ধরে চলা মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এখন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে শীতের কারণে আজ ভোর থেকেই মেহেরপুরে রাস্তাঘাট ছিল প্রায় মানুষ শূন্য। প্রতিদিনের মতো সকালে হাঁটতে বের হওয়া মানুষের সংখ্যাও ছিল একেবারে কম। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। আবার যারা বের হচ্ছে তাদের অনেকেই চায়ের দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে রাস্তাঘাটের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষ।
মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা দোকানি বাবু মিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ফজরের আজানের পর সাড়ে ৫টার দিকে দোকানে আসি। প্রচণ্ড শীতের কারণে আজ ৭টার দিকে এসেছি। কিন্তু তারপরেও দোকানে তেমন কেউ চা খেতে আসছে না। রাস্তাঘাটে তেমন কোনো লোকজন নেই।’
মেহেরপুর শহরের নৈশ প্রহরী আরোজ আলী বলেন, ‘সারা রাত শীতে কী কষ্ট করে যে পাহারা দিয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না। যেমন শীত তেমন ঠান্ডা বাতাস। এমন হলে রাতে পাহারা দেয়া সম্ভব হবে না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি এবং আজ তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ ভোর ৬টায় এ অঞ্চলে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ৬ দশমিক ২ এবং বৃহস্পতিবার ছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, গরিব-দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় তাদের কাছে সরবরাহ অনেক কম। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে শীত বস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানান তিনি।