তাজুল চৌধুরী ও আমাদের রাজনীতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত বারের নির্বাচিত এমপি, ছিলেন এরশাদ সরকারের ভূমিমন্ত্রী। অথচ ঢাকায় শেষ দিন পর্যন্ত থেকেছেন ভাড়া বাসায়। এখানেই শেষ নয়, তার ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের জন্য কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। শুধু সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানীর জন্য একটিমাত্র ব্যাংক হিসাব রয়েছে তার।

গ্রামে কোনো বাড়ি করেননি, কেনেননি জমি-জমা। ঢাকাতেও তার নামে এক শতাংশ জমি নেই। এমন অবাক করার মতোই তথ্য পাওয়া গেছে প্রয়াত তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সম্পর্কে। অনেকেই এই কথা বিশ্বাস করতে চান না। কেনইবা করবেন, এখন তো একবার এমপি হলেই কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন অনেকে, সেখানে এমন জীবন কল্পনা করা যায়!

 

একসময় যারা রিকশা অটোতে চলতো, তারা এমপি নির্বাচিত হয়ে কোটি টাকার গাড়ি হাঁকান। অনেকের বাসার গ্যারেজে শোভা পায় একাধিক গাড়ি। গ্রামে ও ঢাকা গড়েন অট্টালিকাসম বাড়ি। এমন চিত্র কিন্তু দুর্লভ নয়, অহরহই চোখে পড়ে।

আর তিনি সাত-সাতবার এমপি হয়েছেন, প্রথমে কৃষি প্রতিমন্ত্রী, এরপর যথাক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সর্বশেষ ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তখনকার রাজধানী ঢাকার কথা একবার ভেবে দেখেন। কতজমি তার হাতে!

চাইলে দু’চার একর নামে-বেনামে নিজের নামে করে নিতে পারতেন। কিন্তু না তিনি তা করেননি। ইস্কাটন এলাকার ইস্কাটন প্লাজায় ভাড়ায় কাঁটিয়ে দিয়েছেন ২২টি বসন্ত। এখান থেকেই বিদায় নিয়েছেন অনন্তের পথে।

নতুন এমপিরা যখন প্রাডো হাকিয়ে সংসদে যান, তাজুল ইসলাম তখন সেই পুরোনো মডেলের নিসান এক্সটেল গাড়ি নিয়ে সংসদে যেতেন। কখনও দামী গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেননি। অথচ তার সম-সাময়িক অনেক এমপি প্রত্যেকবার নির্বাচিত হওয়ার পর, নতুন ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন শুল্কমুক্ত সুবিধায়।

১৯৭৯ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কুড়িগ্রাম-২ (সদর) আসনের প্রতিবারেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এভাবে এই আসনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছিলেন। এরপর প্রত্যেকবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ ছাড়া প্রত্যেকবার জয়ী হয়েছেন।

কুড়িগ্রামের ভোটের মাঠে হয়ে উঠেছিলেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ভোটের মাঠে না থেকেও ব্যাপক আলোচনায় প্রয়াত তাজুল ইসলাম। কুড়িগ্রামের শপিং মল থেকে ফুটপাতের চায়ের দোকান সর্বত্র তারই আলোচনা। কুড়িগ্রামের লোকজন এতোদিন বাক্স ভরে ভোট দিয়েছে। তারা এখন তার জীবনালেখ্য আলোচনার পূর্বে স্যালুট ঠুকছে।

চা দোকানী সোহেল রানা বলেন, তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাজুল ইসলামের মতো এমন সৎ রাজনীতিবিদ, এদেশে খুব কমই আছে। শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তুলনা চলে, আর কারও সঙ্গে চলে না। এই যুগে অচল তাজুল ইসলাম তুমি চলে গিয়ে ভালোই করেছো। তা না হলে তোমাকে অন্যরা দূষিত করার চেষ্টা করতো।

তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সহধর্মিনী সামছুন্নাহার চৌধুরীর মুখোমুখি হয়েছিলো বার্তা২৪.কম। ইস্কাটনের ভাড়া বাসাতেই থাকেন তিনি। তাজুল ইসলাম তাকে যেখানে রেখে চলে গেছেন। বলেন, এমনভাবে চলে গেলেন, কিছুই বলে গেলেন না। হাসাপাতালে যাওয়ার সময়ও কিছু বলে গেলেন না। আমাদেরকে সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলেন।

বারডেমে ছিলেন, ডাক্তাররা তাকে ইউনাইটেডে নিতে পরামর্শ দিল। ইউনাইটেডের ইমার্জেন্সিতে রাত ৯টায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। তিনি চলে গেলেন রাত ১১টায়। আমি এখন কি করবো, কোথায় যাবো। তিনি কখনও নিজের কথা ভাবেননি। সবসময় দেশ ও এলাকার লোকের কথা ভাবতেন।

আক্ষেপ করে বলেন, কেউ একদিনের জন্য খবর নিলো না আমার। অথচ তাজুল ইসলাম বেঁচে থাকার সময় কতজন বাসায় আসতেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাজুল ইসলামের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদে যেভাবে সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এতে আমার শূন্য বুকটা ভরে গেছে। রওশন এরশাদও আমাকে বেঁচে থাকার সাহস দিয়েছেন।

   

আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে শিক্ষাকার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ, সার্বিক কার্যক্রম ও বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন।

এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো বৃদ্ধের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো বৃদ্ধের

গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো বৃদ্ধের

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে করম আলী (৬৭) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) উপজেলার ছৈলাখেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত করম আলী উপজেলার ছৈলাখেল এলাকার মৃত আফসর উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পাশে মাঠ থেকে করম আলী পালিত গরু আনতে যান। এসময় হঠাৎ করে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ওই বৃদ্ধ মারা যান।

;

সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

;

সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ

সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে লালনের গান উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্টোরিতে দেওয়ায় সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামে এক যুবককে আটকের প্রতিবাদে গানে গানে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

'আমরা লালনের গান গাঁই গান এ-ই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা' স্লোগানে রোববার (০৫ মে) বিকাল ৫ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ করা হয়।

আমরা লালন প্রেমী ব্যানারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের সমন্বয় করেন সংস্কৃতি কর্মী পল্লব ভট্টাচার্য্য, মৃণাল কান্তি দাশ, নয়ন সরকার নিমু, রেজা রুবেল, জয়ন্ত কুমার দাশ। এতে লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রদ্যুত লিটন, সায়েম আহমদ, কনক আচার্য।

এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক অনুপ কুমার দেব, নাট্য সংগঠক নিরঞ্জন দে যাদু, কথাকলি সিলেটের নিলাঞ্জন দাশ টুকু, পাঠশালার পরিচালক হুমায়ুন কবির জুয়েল, থিয়েটার বাংলা সিলেটের সভাপতি তাজুদ মিয়া কামালি, ডিবিসি নিউজের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সাংস্কৃতিক কর্মী প্রত্যুষ তালুকদার, খোয়াজ রহিম সবুজ, রজন চক্রবর্তী, সুব্রত দাস, যমুনা টিভির সিলেট’র স্টাফ রিপোর্টার নাবিল হোসেন, আজমল আলী, মিঠু দাস জয়, রিপেশ দাস, রাহুল সরকার, নিবেন্দু তালুকদার, রাজ দেবনাথ, দ্বীপ দাস, জুবায়ের আহমেদ, বিজয় সিং, চিন্ময় দেব, বিশাল দে বৃত্ত, পৃথম দাস, নোমান আহমদ, আলী হায়দার মিদুল, আফজল হোসেন, জনি কান্ত শর্মা, সোহেল আহমেদ, আব্দুল মতিন লাল, নির্জর তালুকদার প্রমুখ।

;