উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পটুয়াখালী, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালী। ছবি: বার্তা২৪.কম

উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালী। ছবি: বার্তা২৪.কম

১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ১ জানুয়ারিকে পটুয়াখালী জেলা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর পটুয়াখালী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এ বছর জাতীয় নির্বাচনের কারণে তেমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, দেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা হচ্ছে পটুয়াখালী। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই জেলায় ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী জেলায় প্রথম পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করেছিল।

বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৫৭,১৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৮৮,৯৮৭ এবং নারী ৭,৬৮,১৫০ জন। জেলার মোট আয়তন ৩২২০.১৫ বর্গ কিলোমিটার। জেলার মোট উপজেলার সংখা ৮টি এবং মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৭৪টি। এছাড়া পৌরসভা রয়েছে ৫টি। থানার সংখ্যা ৯টি। জেলার সংসদীয় আসনের সংখ্যা ৪টি।

বিজ্ঞাপন

এ জেলাতে রয়েছে পর্যটন নগরী সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এছাড়া তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২য় সাব মেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, মহিপুর আলিপুর মৎস্য বন্দর, কোস্ট গার্ড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিজি বেইস অগ্রযাত্রাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই জেলার দুমকিতে আছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষিতেও সমৃদ্ধ পটুয়াখালী জেলা। দশমিনা উপজেলায় রয়েছে বিএডিসির বীজ বর্ধন খামার। এছাড়া মুগডাল উৎপাদনে পটুয়াখালী জেলা দেশে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

এক সময়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের জেলা হিসেবে পরিচিত কৃষি ও মৎস্য নির্ভর পটুয়াখালী এখন শিল্প ও বাণিজ্যিক নগরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে বিগত ১০ বছরে এই জেলায় সব থেকে বেশি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আগামীতেও এই জেলার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।