জুলহাস ও তনয়কে হত্যার নির্দেশদাতা পলাতক মেজর জিয়া

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও জেএমবির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক পলাতক মেজর জিয়ার নির্দেশেই হত্যা করা হয় জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয়কে।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যার অন্যতম আসামি ফখরুলকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে টঙ্গীতে অভিযান করে জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফখরুল ওরফে ফয়সাল ওরফে জাকিরকে গ্রেফতারের করে কাউন্টার টেরোরিজমের একটি দল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যার নির্দেশ দাতা ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত পলাতক আসামি মেজর জিয়া।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মোট ১৩ জন সদস্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

দুইটি গ্রুপের সমন্বয়ে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়। একটি কিলিং গ্রুপ অন্যটি ইনটেল গ্রুপ। কিলিং গ্রুপের পাঁচ সদস্যের চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ফখরুল।

পুলিশের এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সমকামিদের অধিকার বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’ এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে সমকামিতায় সমর্থন দেওয়ার জের ধরেই তাদেরকে হত্যা করা হয়।

অন্যদিকে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ২০১৬ সালে ডিবির ইন্সপেক্টর বাহার উদ্দিনকে আঘাত করে বৈধ সরকারি পিস্তল ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল কলাবাগান লেক সার্কাস লাল ফকিরের মাজার এলাকায় ৩৫ নম্বর আছিয়া নিবাসের দ্বিতীয় তলায় ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জুলহাস শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই।