উন্নয়নে প্রতিবেশীর সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

উন্নয়নের সহযোগী হতে প্রতিবেশী দেশ ভারত ভুটান ও নেপালের  সহযোগিতা দরকার। ২০৪১ সালের মধ্য উন্নত দেশ হওয়া অসম্ভব নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন  মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সম্ভাবনা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, উন্নত দেশ হতে প্রতিবেশী দেশের সহযোগী চাই।  যোগাযোগ এবং জ্বালানি সহযোগিতা হবে সবচেয়ে অগ্রাধিকার।

অনুষ্ঠানে  আরো বক্তব্য রাখেন, নাট্যব্যক্তিত্ব পীষুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত একেএম আতিকুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার বিশ্ব বড় একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলো। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া না হলে তার মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হতো।

ভাষনচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের বিরোধীতা প্রশ্নের উত্তরে আবদুল মোমেন বলেন, সেখানে বসবাসের উপযোগী করতে সকল ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। ওখানের পরিবেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কোনো ধারণা নেই বলেই তারা এর বিরোধিতা করছে। সময় এলে তাদের ভাষানচর নিয়ে যাওয়া হবে। তখন তারা বুঝতে পারবেন। এনিয়ে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি। আমরা পৃথিবীকে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। আমাদের রাষ্ট্র নায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীকে বড় গণহত্যার ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছেন। এ জন্য তিনি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান সংকট সমাধানে জাতিসংঘকে পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে যতদিন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হয়, ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা। সমস্যা দূর হলে তারা মিয়ানমারে ফেরৎ যাবে। কফি আনান কমিশনের পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে জাতিসংঘকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখা।

এছাড়া সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের মহাসচিবের সভাপতিত্বে বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে কোন দেশ কতজন নিতে পারবে আলোচনায় তা নিয়ে আসা।