রিহ্যাব মেলা: ফ্ল্যাট বিক্রিতে চলছে নানা অফার
ক্রেতাদের স্বপ্নের একটি ফ্ল্যাট ও আপন ঠিকানার জন্য বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রিহ্যাব মেলায় চলছে নানা অফার। মেলায় সব ধরনের ফ্ল্যাটের দাম গড়ে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। পাশাপাশি স্পট ক্রয়ে ফ্ল্যাট ভেদে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ও চলছে। রয়েছে কিস্তি সুবিধাও। একই সঙ্গে ফ্ল্যাট কেনায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সুযোগ-সুবিধার অফার নিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আবাসনশিল্প মালিকদের সংগঠন রিয়েলএস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চার দিনব্যাপী আবাসন মেলাচলছে। এতে অংশ নিয়েছে আবাসন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
‘স্বপ্নিল আবাসন সবুজ দেশ, লাল-সবুজের বাংলাদেশ’ এ স্লোগান নিয়ে রিহ্যাবের উদ্যোগে চট্টগ্রামের হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে চলছে ‘রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৯’। ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর মেলা প্রাঙ্গণ।
এবারের মেলায় আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাক স্টলেই ক্রেতা আকর্ষণে রকমারি উপহার ও অফার নিয়ে হাজির হয়েছে। ক্রেতা আকর্ষণে নানা আয়োজন নিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো।
কথা হয় বেশ কয়েকটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘এক দশক আগে ফ্ল্যাটের দাম ছিল বেশি, কিন্তু এরপর মন্দা দেখা দেয়। এতে বাড়েনি দাম, বরং কমেছে। ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে। অথচ এ সময়ে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে সব মিলিয়ে এখন সঠিক সময় ফ্ল্যাট কেনার। কারণ সামনে আমাদের জন্য আরও সুসময় আসছে।’
এপিক ডেভেলপম্যান্ট কোম্পানির পরিচালক আবদুল হান্নান বার্তা২৪কে বলেন, ‘মেলায় বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছে। ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড় তো আছে। মেলায় আবাসন নিয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী বার্তা২৪কে বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবারে বেশি প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রি হবে। কেননা এখন ক্রেতাদের মাঝে আস্থা ফিরে এসেছে। বাজারও ক্রেতাদের অনুকূলে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন দেশ, যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কানাডায় ‘সেকেন্ড হোম’ গ্রহণের সুযোগ থাকায় দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। এসব দেশে ফ্ল্যাট কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার অর্থের উৎসের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না। অপ্রদর্শিত অর্থ কোনো জরিমানা ছাড়া দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে ওইসব বিনিয়োগকারী ট্যাক্স-নেটের আওতায় চলে আসবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।’
রাজধানীর পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্টগ্রাম। এবারের মেলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান,বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও লিংকেজ প্রতিষ্ঠানসহ ৫৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস সাতটি, ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারীপ্রতিষ্ঠান ১১টি।