বহুতল ভবনে বহির্গমন পথ রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মন্ত্রিপরিষদ সভা / ফাইল ফটো

মন্ত্রিপরিষদ সভা / ফাইল ফটো

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুতল ভবনে একাধিক বহির্গমন পথ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, `পানির অভাব পূরণে রাজধানীর খালগুলো উদ্ধার ও খনন করা এবং হাসপাতাল ও স্কুলগুলোতে বারান্দা বা খোলা জায়গা রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসকে প্রতি বছর সরেজমিনে ভবনে গিয়ে পরিদর্শন ও নিয়মিত অগ্নি মহড়া করার নির্দেশসহ ধোঁয়া নির্গমনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’

শফিউল আলম বলেন, ‘২৮ মার্চ বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত ও অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনায় মন্ত্রিসভা গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে। হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যাতে না হয় এজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নিদের্শনাগুলো হলো

১. ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা এড়ানোর পরামর্শগুলো মানা হচ্ছে কিনা সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
২. ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক সব ভবনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
৩. বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করতে হবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।
৪. বিভিন্ন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৫. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আগুনে পোড়ার চেয়ে ধোঁয়ার কারণেই বেশি নিহতের ঘটনা ঘটে।
৬. রাজধানীতে প্রায়ই পানির অভাবে আগুন ঠিকমতো নেভানো যায় না। এজন্য আগুনের কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে পর্যাপ্ত জলাশয় ও জলাধার তৈরি করতে হবে।
৭. রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।
৮. অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩ তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী লেডার/লম্বা সিঁড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৯. বাসাবাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে চারপাশে দরজা-জানালাসহ এবং শতভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করতে হবে।
১০. বৈদ্যুতিক দরজা পরিত্যাগ করে অন্য দরজা লাগাতে হবে যাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বা দুর্ঘটনার সময় তা খোলা যায়।
১১. ভবনের চারপাশে জাল লাগানো সিস্টেম থাকতে হবে। কেউ যাতে ওপর থেকে পড়ে মারা না যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১২. হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে যেন কোনো দুর্ঘটনার সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।
১৩. ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করে। এরকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না। মানুষ যেন অবাধে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১৪. দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সেজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।
১৫. যে কোনো ভবনে আশা-যাওয়ার জন্য একাধিক দরজা রাখতে হবে। ভবনে প্রবেশের একটা দরজার সিস্টেম পরিহার করতে হবে।

   

‘রবীন্দ্রনাথ সমাজের বৈষম্য ‍দূর করে বাঙালিকে আলোর পথ দেখায়’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন সমাজের বৈষম্য ও কুসংস্কার ‍দূর করে বাঙ্গালীকে আলোর পথ দেখায়।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে নওগাঁর পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল পরিচয় স্বনির্ভর দেশ গড়বার কারিগর নয়, তার পরিচয় তিনি একজন কবি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, সাহিত্য দিয়ে সকলের মনের অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন। সেই আলোয় আমরা আলোকিত হবো।

পরে দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা, সাহিত্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন।

আলোচনা সভায় 'সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা এবং রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে স্মারক আলোচনা করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম মোজাফফর হোসেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানার সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান বক্তব্য রাখেন।

এদিকে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে কবির গবেষক, ভক্ত ও অনুরাগী ঢল নামে।

 

;

তীব্র গরমের পর এবার কালবৈশাখীর সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে তীব্র গরমে নাকাল ছিল জনজীবন। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে। এবার কালবৈশাখীর সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (৮ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।

এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।

;

ঢাকার পাশে কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এর সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, মো. মহিউদ্দীন মহারাজ এবং লায়লা পারভীন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে প্রথম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। এ সময় বৈঠকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া কমিটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলাওয়ারী বরাদ্দকৃত ক্রীড়া সামগ্রী বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেন।

বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

দেশে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে সংসদে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (০৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন গম আছে। তারমধ্যে বর্তমানে ধানের কোনো মজুত নাই। চলতি মাস থেকে ধান সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ পুরোধমে শুরু হলে মজুতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

বিভাগ অনুযায়ী খাদ্য মজুতের তথ্য অনুযায়ী দেশে চট্টগ্রাম বিভাগের খাদ্য গুদামে বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। মন্ত্রণায়লে হিসেব মতে, চট্টগ্রাম বিভাগে খাদ্য মজুত রয়েছে-দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন। ঢাকা বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৭ মেট্রিক টন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিকটন, রাজশাহী বিভাগে রয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৮৮ মেট্রিকটন, রংপুর বিভাগে রয়েছে দুই লাখ সাত ৯৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট ৫০ হাজার ৬২১ মেট্রিকটন, খুলনায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৭ মেট্রিকটন ও বরিশাল বিভাগে মজুত রয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৪ মেট্রিকটন।

;