‘গাবতলী হাটে চাঁদাবাজি হয় না’
'গাবতলী পশুর হাটে চাঁদাবাজির জন্য মাংসের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে' ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে গরুর হাটে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গাবতলী গরুর হাটে কোন চাঁদাবাজি হয়না।
তাদের দাবি, গাবতলী হাটে ১০টি টাকাও বেশি নেয়া হয় না। গাবতলী হাটে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ফি ছাগল প্রতি ৩৫ টাকা, গরু ১০০ টাকা এবং মহিষে ১৫০ টাকা নেয়া হয়।
রোববার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গাবতলী পশুরহাট কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার আবুল হাসেম।
মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র গাবতলী গরুর হাট থেকেই গরু কিনেন না। তারা আরিচা, আশুলিয়া, কালামপুর, পাড়াগ্রাম, বাথুলি, করটিয়া হাট থেকে গরু ছাগল ক্রয় করে থাকেন। এসব হাটে ইচ্ছেমতো হাসিল/ফি আদায় করা হয়। যার কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কোরবানির ঈদের পর থেকে ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের যোগসাজশে কিছু গরু অবৈধভাবে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে এক জোড়া গরু সীমান্ত পার করতে ৫২ হাজার রুপি দিতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া গরু প্রতি ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সব হিসেব ধরে মাংস বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাংসের মূল্য বাড়তি। সীমান্ত উন্মুক্ত না হলে মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।’
হাসেম বলেন, ‘কথিত মাংস ব্যবসায়ী রবিউল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছে। এতে গাবতলী গরুর হাটের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের হাট গাবতলী গরুর হাট নিয়ে এমন অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করায় ইজারাদার ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।’
সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘গাবতলী হাটে যদি চাঁদাবাজি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করুন। প্রয়োজনে জেল জরিমানা করুন। তবে অসত্য তথ্য দিবেন না। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষের সভাপতি মজিবুর রহমান, ম্যানেজার আবুল হাসেম, সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন, কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ রুবেল প্রমুখ।