বাঘাবাড়ি ‘ঘি’কে ২২ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অমিত ঘোষের বাঘাবাড়ি ও অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া ঘি কে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪

অমিত ঘোষের বাঘাবাড়ি ও অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া ঘি কে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়ামে ঘিয়ের বদলে ডালডা দিয়ে পূর্ণ করে ক্রেতাদের ঠকানোর দায়ে 'অমিত ঘোষের বাঘাবাড়ি' ঘিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব-৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় আদালত নিজস্ব পরীক্ষাগার ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া' ঘিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোরান এলাকায় প্রতিষ্ঠান দুইটির কারখানায় অভিযান চালায় র‍্যাব-৩। অভিযান শেষে র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম নেতৃত্বে আদালত বসিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558269263342.jpg

অভিযান শেষে সারওয়ার আলম বলেন, আবাসিক ভবনের ভেতরে অবৈধভাবে 'অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া' ঘি বয়ামে ভরে বাজারজাত করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। খোলা হাতে, কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ঘি প্যাকেট করা হচ্ছিল। মান নিয়ন্ত্রণের জন্যও তাদের নিজস্ব কোনো পরীক্ষাগার ছিল না।

এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মানহীন ৫২ টি পণ্যের মধ্যে 'বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া' ঘি ছিল। এসব অপরাধের ভিত্তিতে 'অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া' ঘিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও কারখানাটিকে সিলগালা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পূর্ব গোরান এলাকায় 'অমিত ঘোষের বাঘাবাড়ি' ঘি নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঘিয়ের বদলে ডালডা দিয়ে বাজারজাত কারার দায়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা এবং কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

   

বরিশালে পেনশন মেলার উদ্ধোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে দিনব্যাপী সর্বজনীন পেনশন মেলা উদ্বোধন করা হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মো. শওকত আলী ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহ সাজেদা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

শুরুতে প্রধান অতিথি বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিরা ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সর্বজনীন পেনশনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। মেলায় ১৩টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

;

পরীক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ: রিজওয়ানা হাসান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পরীক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

প্রকৃতির কাছ থেকে আমাদের এবং কৃষকের কাছ থেকে কৃষিকে সরাতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেনেটিক্যালি মডিফাইড বেগুন ৩টি দেশে অনুমোদন চেয়েছিল বহুজাতিক কোম্পানি। দেশগুলো হলো- ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ। ভারত অনুমোদন দেয়নি কিন্তু বাংলাদেশ অনুমোদন দিয়েছে। এখন বহুজাতিক কোম্পানি গোল্ডেন রাইসের অনুমতি চাচ্ছে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক চিন্তা করে প্রকৃতির প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জি এম শস্য গোল্ডেন রাইস এবং বিটি বেগুন: বাংলাদেশে প্রবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশ্নের নিরসন জরুরি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, জিএম ফসল হিসেবে গোল্ডেন রাইসের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত ঝুঁকি, কার্যকারিতা এবং এই ধানের আদৌ কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি না এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা সময় নিয়ে এর নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করছেন এবং এখনও অনুমোদন দেননি। কিন্তু কোম্পানি এবং উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তাড়া দেওয়া হচ্ছে। তারা সরাসরি সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন।

তিনি আরও বলেন, গোল্ডেন রাইস সারা বিশ্বে বিতর্কিত। ফিলিপাইনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলা হলেও এখন তা বাতিল করা হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ফিলিপিনো কৃষকরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। কাজেই ফিলিপাইনের উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়ার কোন অর্থ নাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক ব্রি ২৯ চাষ করেন। সেখানে কোন পেটেন্ট নাই। কৃষক এর বীজ নিজেই রাখে কিংবা বাজার থেকে কিনে নেয়। স্বাধীনভাবে তারা এই ধান চাষ করতে পারে। তাহলে এই ধানের স্বত্ত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে চলে গেলে বাংলাদেশের লাখ কোটি কৃষকের ভাগ্যে কি ঘটবে? এই প্রশ্নের জবাব কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই দিতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজ বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের স্বার্থ দেখা, কোম্পানির স্বার্থ নয়।

;

চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইন, টাকা বিতরণের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রার্থীর বেয়াইকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় নুরুল আলমের বাড়িতে এ অভিযান চালান মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমানের পক্ষে বেয়াই নুরুল আলমের বাড়িতে সকালে শতাধিক নারী-পুরুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান।

পরে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী নুরুল আলমকে জরিমানা করা হয়। তবে টাকা বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান।

মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, শান্তিরহাট এলাকার একটি বাড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। এটা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন। অভিযুক্ত নুরুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

;

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে উচ্চবিত্তদের দাঁড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ এপ্রিল) খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ পরবর্তী সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ইতিমধ্যে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকদের মাঝে একটি করে ছাতা ও ১২টি খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির পট বিতরণ করেন মেয়র আতিক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র তিনি।

রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে মেয়র আতিক বলেন, তাপদাহ যতই তীব্র হোক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা বিশেষ করে রিকশাচালকরা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে না। তীব্র এই তাপদাহ তারা যে কষ্ট করছে তা অসহনীয়। আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।

চীনা অ্যাম্বেসি রিকশাচালকদের জন্য ১৫০০ ছাতা ডিএনসিসিকে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত রিকশা আছে ৩০ হাজার। অন্যান্য মিলিয়ে আমরা মাত্র ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। শহরে আরও হাজার হাজার রিকশাচালক রয়েছে যারা একই কষ্ট করছে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সবার পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু সমাজের উচ্চবিত্তরা চাইলেই সম্ভব। তাই আমি উচ্চবিত্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আপনারা এগিয়ে আসুন।


মেয়রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একজন রিকশাচালক মো. শামিম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কে কি কইবো জানি না, কিন্তু মেয়র সাহেব যে আমগো লাইগা চিন্তা করছে এইটাই অনেক। যেই রোইদ পরে শইলডা জ্বলে। এই ছাতা দিয়াতো আর রিকশা চালাতে পারুম না। যাত্রী নামাইয়া দিয়া অন্তত ছাতার নিচে একটু খাড়াইতে পারুম। এইডাই আলহামদুলিল্লাহ।’

রিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘এমন তাপে কোনো জায়গায় যে একটু ছায়ায় খারামু ওই অবস্থাও নাই। শহরে কোনো গাছ আছে, মাইনষের দোকানপাটেও বেশিক্ষণ খারান যায় না। অনেকক্ষণ গাড়ি চালাইয়া হেই রোইদের মধ্যেই জিরাইতে হয়। ছাতাটা কামে লাগবো।’

ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির পট পেয়ে খুশি অন্যান্য রিকশাচালকরাও।

রিকশা চালকদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

;