মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু/ ছবি: বার্তা২৪.কম

জেলেদের পর এবার মাছ বিক্রেতা ও বোট মালিকরাও সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর সামনে অবস্থান নেন ব্যবসায়ীরা। কর্মসূচি থেকে তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। ফলে এ সময় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক ছেড়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে ফিশারীঘাটের ব্রাদার্স সি ফুড এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এইচএম বাহার উদ্দীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ছোট ছোট নৌযানে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এর সাথে অনেক পরিবার নিঃস্ব হতে বসেছে। ছোট নৌযানগুলো গভীর সাগর যায় না, উপকূলে থেকে মাছ আহরণ করে। তাই আমরা নিশেধাজ্ঞা তুলে নিতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছি।’

এদিকে ব্যবসায়ীদের কর্মসূচির কারণে ব্যস্ততম ঐ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধের কিছুক্ষণ পরে তারা চলে যান। পরে যান চলাচল স্বাভাকি হয়ে আসে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে গতকাল সোমবার (১০ জুন) সীতাকুণ্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জেলেরা। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ১০ দিনের সময় চান।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে থেকে সাগরে সকল ধরনের নৌযানে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় সরকার। ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এর আগে চট্টগ্রামে জেলে, মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।