রংপুরই হোক এরশাদের শেষ ঠিকানা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রংপুর মুন্সিপাড়া করবস্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর মুন্সিপাড়া করবস্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘হামার ছাওয়া মরি গেইচে, আল্লায় তার ভালো করুক। সারা জীবন তায় হামার ঘরের ছাওয়া হিসেবে কাছোত আছিলো। ভোট করছে। সোগ সময় লাঙ্গল নিয়্যা জিতিছে। এ্যালা জীবনের শেষ সময় ক্যানে তায় হামার বাইরোত থাকপে।  রংপুর যেমন তার ঠিকানা আছিলো, মরিয়াও যেন শেষ ঠিকানাটা রংপুরই হয়।’ বার্তা২৪.কম’র কাছে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন এরশাদভক্ত তফেল উদ্দিন।

রোববার (১৪ জুলাই) সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এরশাদভক্ত তফেল। গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিএমইচে ভর্তির পর থেকে শতবর্ষী এই বৃদ্ধ কখনো টেলিভিশনের পর্দায় নতুবা পত্রিকা দেখে এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেন। তার চাওয়া প্রিয় নেতা এরশাদের কবর রংপুরেই হোক।

আরও পড়ুন: জাতীয় ফ্রন্ট থেকে এরশাদের জাপা

মৃত্যুর পর সাবেক এই রাষ্ট্রপতির সমাধি কোথায় হবে?-এ নিয়ে দলে- দলের বাইরে বিভিন্ন স্থানে হয়েছে নানা আলোচনা। তবে রংপুরবাসীর দাবি, রংপুরের এ সন্তানের কবর রংপুরেই হোক।

বৃদ্ধ তফেল উদ্দিনের মতই আরেক এরশাদভক্ত সাজ্জাদ হোসেন। পেশায় তিনি রিকশাচালক। সাজ্জাদ হোসেন আক্ষেপ নিয়ে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সারা জীবন এরশাদ সাইবোক ভোট দিনো। দুনিয়ার মানুষ জানে এরশাদ সাইব রংপুরের ছাওয়া।এ্যালা শোনোছি তায় মরি গেইলে নাকি রংপুরের বাইরোত তার কবর হইবে। মুই চাও রংপুরের মাটিতে তার জাগা হোউক।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563081959218.jpg

এরশাদ ভক্তদের মতো জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরাও চাইছেন রংপুরেই তাদের নেতার সমাধি করা হোক। জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন সুমন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এরশাদ স্যারের পরিবারের বেশির ভাগই রংপুরে শায়িত আছেন। তার প্রতি রংপুরের মানুষের আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। যা কোনদিনই শোধ করা যাবে না। তাই আমি মনে করি, স্যারের সমাধি রংপুরে করা হোক। রংপুরের মানুষ যেন তার সমাধিতে ফুল দিতে পারে।’

আরও পড়ুন: এরশাদ মারা গেছেন

মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নব্বইয়ে সরকার পতনের পর এরশাদ স্যার জেলে বন্দি হয়েছিলেন। রংপুর থেকেই তার মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়েছিল। রংপুরের মানুষই তাকে ভোট দিয়ে জেল থেকে মুক্ত করেছেন। জাতীয় পার্টির জন্য এরশাদ স্যারের জন্য এ অঞ্চলের মানুষের কোন ঘাটতি নেই। তাই দলের সুন্দর ভবিষ্যৎতের জন্য রংপুরের মাটিতেই এরশাদ স্যারের সমাধি করা উচিত।’

জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে হলে এরশাদের সমাধি রংপুরে করাটা বেশি জরুরি বলে মানছেন রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের সমাধি তার গ্রাম টুঙ্গিপাড়াতে। সেখানকার মানুষরা বঙ্গবন্ধুকে যেমন আগলে রেখেছেন, আমরাও আমাদের নেতাকে আগলে রাখব। এরশাদ স্যারের সমাধি তার মা-বাবার পাশে হোক এটা রংপুরের মানুষের দাবি।’ 

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি স্যারের সমাধি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য রংপুরে ২ একর জমি দিতে চেয়েছি। দলীয় সভায় তা উপস্থাপনও করেছি। জাতীয় পার্টির অনেকেই স্যারের সমাধির জায়গার জন্য জমি দিতে চেয়েছেন।’

এদিকে রংপুরে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের দাবি, ঢাকায় নয় রংপুরে মা-বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮ টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

আরও পড়ুন:  এরশাদের দাফন ঢাকায়!

৪ স্থানে এরশাদের জানাজা

এরশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

 

   

তিন লাখ টাকা জরিমানা, সংসদে গ্রাম আদালত বিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলটির উপর আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদে পাস হওয়া গ্রাম আদালত বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোন নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চার জন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো, কোনো চুক্তি রশিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়। কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা। স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা। কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল, বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা। গবাদি পশু অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা। কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।

;

বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩

বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্থানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এরপর কাজের নামে সেসব মানুষকে পাচার করে দিতো চক্রটি। এমনই মানবপাচার চক্রের সাথে জড়িত ট্রাভেল এজেন্সির মালিকসহ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

মঙ্গলবার (০৭ মে ) সিআইডির মুখপাত্র পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদ (৩৫), শারমিন হোসেন লাবনী (৩৬) ও আরিফুর রহমান সাদী (২৪)।

এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ১টি আইফোনসহ ৫টি স্মার্ট ফোন এবং ১টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়।

আজাদ রহমান বলেন, একটু ভালো জীবনযাপনের আশায়, পরিবারের সদস্যদের সুখে রাখতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে পৃথিবীর উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এদেশের বহু মানুষ। একটা সুন্দর জীবনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো এ সকল মানুষের অনেকেই মানব পাচারকারী দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে হয়েছে এখন সর্বসান্ত ও নিঃস্ব। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে সিআইডি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিআইডির একটি চৌকস টিম সোমবার (০৬ মে) মানব পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত 'জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল' নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদসহ চক্রের ৩ সদস্যকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রিকশা চালক মোহাম্মদ সোনা মিয়া ইউটিউবে "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" নামক প্রতিষ্ঠানের প্রচারিত বিজ্ঞাপনে দেখতে পান, ৫ লাখ টাকায় কার ওয়াশের ওয়ার্কিং ভিসায় কিরগিজস্তানে লোক নেওয়া হবে। যেখানে বেতন হবে ৬০ হতে ৬৫ হাজার টাকা এবং খাওয়া নিজের, থাকা কোম্পানির। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তিনি "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" এর নয়াপল্টন ঢাকাস্থ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং কিরগিজস্তানে যাওয়ার জন্য গরু, রিকশা, ঘর বিক্রি করে উক্ত টাকা প্রদান করেন। তার সাথে ফরিদপুরের মো. আকাশ শেখ (২১) ও মো. আকতার সরদার (২৩) ও কিরগিজস্তানে যাওয়ার জন্য টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠান হতে তাদেরকে কিরগিজস্থানের ভিসা ও বিমান টিকিট প্রদান করা হয়। তারা ভিসার কপি ও বিমান টিকিট নিয়ে গত ৭ এপ্রিল কিরগিজাস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন পুলিশ অনলাইনে তাদের ভিসার তথ্য না পেলে তাদের যাত্রা স্থগিত করে।

পরে তারা "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" এর সাথে যোগাযোগ করে সদুত্তর না পেয়ে পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে। সিআইডি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করার পর আসামি "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদ এবং চক্রের অন্য ২ সদস্যদের গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন, মামলা তদন্তকালে জানা যায় আসামিরা ইতঃপূর্বে যাদের অভিবাসী কর্মী হিসেবে কিরগিজস্তান প্রেরণ করেছে তাদের অধিকাংশই সেখানে মানব পাচারের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;

রাত পোহালেই ১৩৯ উপজেলায় ভোট, ইসির যত প্রস্তুতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি'র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা

নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যান চলাচলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

মোট ভোট কেন্দ্র

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি।

সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কিছু উপজেলায় তফসিল ঘোষণার মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

চট্টগ্রামে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ

বাংলাদেশ-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছায়। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাজটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবে বলে নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তুরস্কের জাহাজটি বন্দরের জেটিতে পৌঁছানোর পর নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান রীতি অনুযায়ী নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ব্যান্ড পরিবেশন করে স্বাগত জানায়। তুরস্ক হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানায়, তুরস্কের জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ মোট ১৫২ জন সদস্য আছেন। সফরকালে তারা নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিনায়ক, বন্দর চেয়ারম্যানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবে।

তুরস্ক নৌবাহিনী জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়।

;