পাঠাও-উবারেও মিলছে না সমাধান



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যানবাহন প্রাপ্তিতে বেশ সাড়া মিলেছে। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ। কিন্তু জনদুর্ভোগের মধ্যে এই অ্যাপে মিলছে না সমস্যার সমাধান। যানবাহন সংকটের মধ্যে উবার, পাঠাওসহ রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর যানবাহনও পাওয়া যাচ্ছে না। আর গাড়ি মিললেও অনেক সময় বাড়তি ভাড়া চাইছেন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারগুলোতে।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাজধানীসহ সারা দেশে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের খুব একটা দেখা মিলছে না। তাই সমাধান হিসেবে উবার-পাঠাওয়ে অনুসন্ধান করা হলেও সহজে মিলছে না মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। ফলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শিমুল বিশ্বাস নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, টানা এক ঘন্টা যাত্রাবাড়িতে অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোন যানবাহন পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে উবারে বাইক কল করলাম। কিন্তু তেমন রেসপন্স পাচ্ছি না। আবার অনেক সময় সফটওয়্যারে চেষ্টা করেও কোন চালকের সঙ্গে কানেক্ট হওয়া যাচ্ছে না।

মো: বিল্লাল নামে এক পাঠাও প্রাইভেটকার চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই ধরনের সমস্যার সময় অনেকে গাড়ি বের করতে চায় না। আমরা কেউ কেউ বের করলেও সাবধানতার সঙ্গেই চালাতে হয়। ঝুঁকি তো থেকেই যায়। তাই অনেক সময় যাত্রীরা চেষ্টা করেও গাড়ি পায় না।

এদিকে পাঠাও মোটরসাইকেলের রাইডার সৃজন দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি নিজে সকালে চেয়েছিলাম আজকে বাইক বের করব না। তাই পাঠাওয়ে রিকোয়েস্ট দিলাম। যিনি রিসিভ করলেন, তিনি জানালেন ভাড়ার চেয়ে তাকে ৫০ টাকা বেশি দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে নিজের বাইকটা নিয়েই বের হলাম।

   

টাকা দিয়ে কেনা সনদের তালিকা পেয়েছি: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশীট বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা এসব সনদগুলো কিভাবে শনাক্ত করা যায় সেই তথ্য শামসুজ্জামান আমাদের দিয়েছেন। আমরা সেই তথ্য বোর্ডের কাছে দিবো তারা সেগুলো বাতিলের ব্যবস্থা নেবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বোর্ডের বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িত রয়েছেন। শামসুজ্জামান রিমান্ডে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা সনদ বাতিলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে বাতিল করা যাবে। তাই আমরা এই তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবো। পাশাপাশি বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদিক ও দুদক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে শামসুজ্জামান সনদ বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন গত ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। তখন রমজান মাসের শেষের দিকে। শামসুজ্জামান আমাদের কাছে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অনেক সাংবাদিক ফোন দিয়ে ঈদের বোনাস চেয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে খোলামেলাভাবে জানিয়েছে, আমার পদে থাকতে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। সে কারণেই ম্যানেজ করে চলতে হয়েছে। তাকে দ্বিতীয় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে কোন সাংবাদিক কখন, কিভাবে, কত টাকা দিয়েছে। আমাদের ডিবির কর্মকর্তারা যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কোনো সংবাদিক যদি চায় শামসুজ্জামানের মুখোমুখি বসে কথা বলতে চায় আমরা তাকে সেই সুযোগ দিব। আমরা মনে করি আমরা অন্যায়ভাবে কেউ হয়রানির শিকার হোক সেটা আমরা চাই না। পাশাপাশি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা তাদেরকেও বলেছি, দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যে তথ্য দিয়েছে। চাইলে আপনারাও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। যাদের নাম বলেছে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিবো।

দুদক কর্মকর্তারা শামসুজ্জামানের সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন জানতে চাইলে হারুন বলেন, শামসুজ্জামান মনে করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল প্রকৃতির লোক থাকে। পাশাপাশি সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের অনিয়ম তদন্ত করে। তারাও যদি তার পাশে থাকে তাহলে তার যে সনদ বাণিজ্যটা বড় আকারে করতে পারে। সে কারণেই সে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ফলে শামসুজ্জামানের সহযোগী ফয়সালকে নিয়ে একটি আলাদা বাসায় বসে সনদ তৈরি করত। যার কারণে বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর গত ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পরে চেয়ারম্যান আলী আকবরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;

দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

  • Font increase
  • Font Decrease

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির ঠিক এক মাসের মাথায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে। আগামী সোমবার (১২ মে) বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে দুদিন কিছু পণ্য খালাসের পর বাকি পণ্য খালাস করতে জাহাজটি আসবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে।

জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে জানিয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আশা করছি সোমবার বিকেলেই জাহাজটি ১৩ নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম আসবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা।

নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাই পৌঁছে। এরপর সেখানে পণ্য খালাস শেষে একই দেশের মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে যায় নতুন করে পণ্য নিতে। পরে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে জাহাজটি পরে দেশের পথে রওনা হয়।

;

‘উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

শনিবার (১১ মে) বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রনয়ণের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজি’র সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্লাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এখন সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরনো পদ্ধতি বদলে দিয়ে ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয় প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন পেনশনের টাকা পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এই সময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদফতর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিন দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা উপলক্ষে ঢাকায় সিএজি কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আগামীকাল ১২ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

;

বন্ধুর সঙ্গে বাইকে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আফসানা (২২) নামের এক তরুণী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে মোটরসাইকেল চালক এক যুবক।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে বগুড়া সদরের পীরগাছা- মহাস্থান আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, পীরগাছা বন্দর থেকে মহাস্থানের দিকে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। পথিমধ্যে দোবাড়িয়া গ্রামের সুরখোলা ব্রীজে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পার্শ্বে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই আফসানা নিহত হন। গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ নিহত যুবতীর মরদেহ হেফাজতে নিয়ে মর্গে পাঠিয়েছেন।

এস আই আব্দুর রহিম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, নিহত আফসানার বাড়ি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উপশহরে। বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।

;