কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরে একটি পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল মালেক (৩০) নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাপলাপুরের একটি পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ৪০ লিটার চোলাই মদ ও ৫শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত আব্দুল মালেক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাপলাপুরের একটি পাহাড়ে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের অবস্থান বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তা থেমে গেলে ঘটনাস্থলে আব্দুল মালেকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা২৪.কমকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে।
তীব্র শীতে কাঁপছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তীব্র শীত আর কনকনে হিমশীতল ঠান্ডায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে নেমেছে গেছে । ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা এই জেলায় শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়৷ এর আগে তেঁতুলিয়ায় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
এদিকে, হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান নছিমন উল্টে আজিজ (৪২) নামের এক চালক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বামন্দী বাজারের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজ মুজিবনগর উপজেলার রামনগর গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মাথায় হেলমেট পরে নছিমন চালক আজিজ কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। সড়কটি সংস্কার পর্যায়ে থাকায় বিভিন্ন স্থানে উঁচু নীচু বাক রয়েছে। দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় বামন্দী বাজারের অদূরে ফিলিং স্টেশনের কাছে আকস্মিক তিনি সড়কের পরে আছড়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাইগারপাসের সমাবেশ থেকে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ভুলে যায়নি আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছিল। আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়ে ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে ইসকন। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হয় আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিবো।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ভাইয়েরা মন্দিরগুলো পাহারা দিয়েছে। তারা রাস্তার মধ্যে জামায়াতে নামাজ আদায় করেছে। আমাদের দ্বারা কোনো হিন্দু ভাইয়ের সম্পত্তি উচ্ছেদ হয় নাই, আমাদের দ্বারা কোনো সংখ্যালঘুর সম্পদ লুণ্ঠন হয় নাই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি বিদেশে বসে বাংলাদেশে অশান্তি করতে বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, ভারতে বসে আওয়ামী যত প্ল্যান আছে এগুলোর বাস্তবায়ন কখনও এই বাংলাদেশে হবে না, হবে না, হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সুশীল সমাজ একটা বিষয় এড়িয়ে যায়। এই বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদ রয়েছে। আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে, যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে, যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ভারতের দোহাই দিয়ে ধর্মের নামে যেসব উগ্রবাদী সংগঠন এসব কর্মকাণ্ড করবে তাদেরকে বাংলাদেশে একহাত জায়গাও দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি বলেন, এই ইসকন একটা জঙ্গি, তারা হলো স্বৈরাচারের সঙ্গী। তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা। যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে সকল প্রেত্মাতাদের বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটোখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।
এসময় ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদেরকে ছেড়ে দিবো? আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দিবো? আমরা আমাদের সাইফুল ভাইয়ের খুনিদের বিচার দেখতে চাই কিনা। এই বীর চট্টলায় খুনি ইস্কনের জায়গা হবে কিনা? এসময় সমস্বরে সবাই বলেন ‘না’।
এসময় সারজিস আলম বলেন, বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।
এর আগে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এসময় আরও অংশ নেন সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর জামায়াতের আমির শাহাজাহান চৌধুরী, বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
এদিকে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে চট্টগ্রাম। বেলা এগারোটা থেকে চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ শুরু করে আইনজীবীরা। এসময় সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ সেখানে আনা হলে সেটি জড়িয়ে ধরে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাসনাত আব্দুল্লাহকেও কাঁদতে দেখা যায় সেখানে। পরে আদালতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন আইনজীবীরা। নিউ মার্কেট চত্বরেও আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। শহরের অলিতে-গলিতে মিছিল হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ করছে। বিকাল তিনটায় বহদ্দারহাটে শিবির মহানগরী উত্তর শাখা এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের উপজেলায়। গতকাল বাঁশখালী, সীতাকুণ্ডসহ কয়েকটি উপজেলায় আইনজীবী সমিতি ও রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ হয়। আজ সীতাকুণ্ড, মিরসরাইসহ কয়েকটি উপজেলায় মিছিল হয়। এছাড়াও নগরে গতকাল রাতভর মিছিল চলে ইসকনের বিরুদ্ধে। সকালে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নগরবাসী।
এদিকে বেলা সাড়ে এগোরোটায় শহরের টাইগারপাসে সংহতি সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিবির, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমননা ছাত্র সংগঠনগুলো। জানাজা শেষে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে নগরের টাইগারপাসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
ছাত্র-জনতা স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে। টাইগারপাসে জড়ো হলে ওই এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। এসময় সবার হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও কালেমা খচিত পতাকা। পরে সেখানে সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যায় ছাত্র-জনতা।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল দশটায় সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে প্রথমে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিল নিয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এর আগে গতকাল ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সীতাকুণ্ডে বড় ধরনের মিছিল ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা।
জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি মুরাদপুর-দুই নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. ওসামা রাইয়ান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বলা হয়, অভ্যুত্থানের তিনমাস পার হলেও আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনো তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমান সকল ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারে দোসর ও দিল্লি ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
বক্তরা হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) হুংকার দিচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই। আপনার কাপুরুষের দল। আপনারা ছাত্রলীগ দিয়ে ও পেটুয়া পুলিশ দিয়ে আমাদের দমন করতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল শক্তি দিয়ে আমাদের দমন করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা ছাত্রসমাজ বলে দিয়েছিলাম কোনো ফ্যাসিবাদকে এই বাংলার মাটিতে আমরা টিকতে দেব না।