আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে অনিয়ম, তবে ইউএনও’র চ্যালেঞ্জ



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একটি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ ব্যয় এক লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও যেনতেন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে এসব ঘর। ডিজাইন প্রাক্কলন মোতাবেক কাজের গুণগত মানও ঠিক রাখা হয়নি। এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দুই ও তিন নাম্বারের ইট। ব্যবহৃত কাঠ, টিনও নিম্নমানের।

এমন সব অভিযোগ নিয়েই শেষ করা হয়েছে গৃহহীন ২২০টি পরিবারের ঘর ও টয়লেট নির্মাণ কাজ। আর এ কারণে নির্মাণের পর একমাস না যেতেই ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে ঘরের ভেতরে। এছাড়া অধিকাংশ পরিবারেরই টয়লেট নির্মাণ কাজ এখনো শেষ করা হয়নি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টা ভালো কাজ করেছেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রাহাত মান্নান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534154733343.jpg

জানা গেছে, যাদের জমি আছে অথচ ঘর নাই এমন গৃহহীন মানুষদের কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে তাদের জন্য গৃহনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ৭৫টি, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ১৪৫টি ও সবশেষ ৯ মে ৪৬০টি পরিবারকে গৃহ ও টয়লেট নির্মাণ বাবদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেন সরকার।

প্রকল্পের কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী আলমডাঙ্গা উপজেলাতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ আসা গৃহনির্মাণ কাজের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। একই সঙ্গে তৃতীয় দফায় বরাদ্দ আসা আরও ৪৬০টি পরিবারকে গৃহনির্মাণের সময়সীমা বেধে দেয়া হয় ৩০ জুন পর্যন্ত।

কিন্তু দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আসা গৃহনির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে নামকাওয়াস্তে। অধিকাংশ ঘর নির্মাণে রয়েছে ত্রুটি। ২৭৫ বর্গফুটের ঘর নির্মাণে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দুই নাম্বার ইট। দশমিক ৩৬ এমএমের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দশমিক ৩২ এমএমের ঢেউটিন। নকশায় ফাউন্ডেশন ঢালাইয়ের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মেঝে ও পিলারে ব্যবহার হয়েছে একেবারেই নিম্নমানের খোয়া। মাত্র তিনটি রডে বানানো হয়েছে পিলার। ছয়টির বদলে জানালা হয়েছে দুটি।

ঘরের বরাদ্দ পাওয়া আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের টুটুল মিয়ার অভিযোগ, ঘর নির্মাণে সরকার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও ঘরের কাজ করা হয়েছে খুব নিম্নমানের। টিন দেয়া হয়েছে কম, ছাউনির বাতাও দেয়া হয়েছে খুব দুর্বল। ঘরের মেজের কাজও দায়সারা ভাবে করা হয়েছে। টয়লেটের কাজও শেষ করে দিয়ে যায়নি শ্রমিকরা।

জামজামি ইউনিয়নের ভোদুয়া গ্রামের আনজিরা বেগমের অভিযোগ, ঘরের বেড়া ও চালে শাল, গর্জন, জারুল, কড়াই, শিশু, তাল, দেবদার বা আকাশমনি কাঠ ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র দেবদার আর নিম্মমানের মেহগনি ব্যবহার করা হয়েছে। আর তারকাঁটা, পেরেক, কব্জা, ছিটকানি, স্ক্রু, মেঝের রঙ এসব কিছুই নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। মালামাল আনা-নেয়ার জন্যও তাদেরকে টাকা গুনতে হয়েছে।

নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামের তাবিদা খাতুন বলেন,‘ঘরের সমস্ত মালামাল সরকারের দেয়ার কথা থাকলেও আমাদের গুনতে হয়েছে টাকা। এছাড়া ঘরের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের খাওয়ার টাকাও গুনতে হয়েছে আমাদেরকে। সব মিলিয়ে এই ঘর নির্মাণে আমাদেরও খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534154762423.jpg

আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আন্না খাতুন বলেন, ‘নতুন ঘর পেলাম। কিন্তু টয়লেটের পিলার ছাড়া আর কিছুই পায়নি। এছাড়া ঘরের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভেতরে পানি জমছে।’

অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে ‘পিআইসি’ দ্বারা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ ঘরগুলো নির্মাণের কথা। কিন্তু প্রকল্পের নকশা ডিজাইন ও প্রাক্কলনের তোয়াক্কা না করে গৃহহীন মানুষের বাড়ি নির্মাণে নিজেদের ইচ্ছা মতো নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। কাগজ কলমে পিআইসি থাকলেও আহ্বায়ক (নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা জানেন না কোথায় কোন কাজ হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গরীবের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগটি শেষ পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালকসহ গড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্তও। এমন অবস্থায় বেশ কিছু এলাকায় তড়িঘড়ি করে নিম্মমানের টিন বদল করে পুনরায় নতুন টিনও লাগানো হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাগজে কলমে আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। কোথায় কী কাজ হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে তা আমার জানা নাই। এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।’

আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গৃহহীনদের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরও ক্ষোভের শেষ নেই। তাদের দাবি, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রকল্পের আহ্বায়ক ইউএনওকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যানরা কিছুই জানেন না।

তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান দাবি করেন শতভাগ কাজ ভালো হয়েছে। তিনি সংবাদকর্মীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘অন্য এলাকার তুলনায় আমার এলাকায় কাজ অনেক ভালো হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম তুলে ধরতে পারলে আমি আলমডাঙ্গা থেকে বিদায় নেব।’

প্রকল্পের কাজে এমন দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন জানান, আলমডাঙ্গায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;