'রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে হাতি ও প্রাণবৈচিত্র্যের চরম ক্ষতি হচ্ছে'

  • মায়াবতী মৃন্ময়ী, অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কারণে মানবিক সমস্যার পাশাপাশি 'হাতি ও প্রাণবৈচিত্র্যের চরম ক্ষতি হচ্ছে' বলে দাবি করেছেন হস্তী বিষয়ক গবেষক ড. এ এইচ এম রায়হান সরকার। বার্তা২৪.কমের সাথে বিশ্ব হাতি দিবসের (১২ আগস্ট) পরদিন সোমবার (১৩ আগস্ট) এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি দাবি করেন, 'টেকনাফের ৭০/৮০টি হাতির মধ্যে এখন মাত্র ২০টিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।'

নরওয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'হিউম্যান-এলিফ্যান্ট কনফ্লিক্ট' বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত ড. সরকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরর বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক। তিনি জানান, 'মায়নমান সরকার সীমান্তে কাঁটা তারের ঘেরাও এবং  মাইল পুঁতে রাখায় হাতির পাল আটকা পড়েছে। নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে একটি হাতি সেখানে বিস্ফোরণে মারাও গেছে। হাতি চলাচলের প্রাকৃতিক করিডোর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরা বিছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জঙ্গলে হারিয়ে গেছে।'

বিজ্ঞাপন

ড. সরকার বলেন, 'খাদ্য, আশ্রয় ও প্রজননের জন্য হাতি লং ডিসটেন্স মুভমেন্ট করে। মায়ানমার সরকারের নীতির কারণে হাতির অবাধ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক হাতি নিজস্ব সঙ্গী ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সীমান্তের কাঁটা তার ও মাইনের ফলে তাদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।'

গবেষক ড. সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে হাতি ছাড়াও প্রাণ এবং উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতির বিবরণ দিয়ে বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষে মায়ানমারের বিরুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি হাতি এবং বিভিন্ন জীব ও উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষতি ও পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টির কারণে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করা উচিত। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও মানবিক, প্রাকৃতিক, প্রাণি ও উদ্ভিদ বিষয়ক ব্যাপক ক্ষতির যথাযথ পরিমাপ তুলে ধরে মায়ানমানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করা দরকার।'

বিজ্ঞাপন