শিগগিরই কাজ শুরু হচ্ছে নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়কে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: খুব শিগগিরই কাজ শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ও বহুল প্রতীক্ষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর-আশুগঞ্জ ২০ কিলোমিটার সড়কের।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়কের অনুমোদন করা হয়। সড়কটি নির্মিত হলে জেলা সদরের সঙ্গে নবীনগরের মানুষের যোগাযোগের জন্য রাস্তা কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। আর এতে করে এই এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ কমবে।
নবীনগরের এলাকাবাসী জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সঙ্গে নবীনগরের সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। ফলে বর্তমানে নবীনগর একটি বিচ্ছিন্ন জনপদ। নবীনগর উপজেলা থেকে রাজধানী বা অন্য কোনো শহরে যেতে হলে পাশের জেলা কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর উপজেলা হয়ে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার ঘুরে কিংবা বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন আঁকাবাঁকা ৫৪ কিলোমিটার সড়ক হয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা ধনবাড়িয়া আসতে হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় যেতে হয়। পাশাপাশি জেলা সদরে আসতে হলেও পাশের জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আসতে হয়। এতে করে এই এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তাই অনেকদিন যাবৎ এই এলাকার লোকজনের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল প্রধানমন্ত্রীর কাছে সড়কটির দাবি করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি পাশ করা হয়। এই প্রকল্পটি একনেকে পাশ হওয়ায় নবীনগরবাসী উচ্ছ্বাসিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ক্ষতিপূরণসহ এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আর সড়কটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক বাঁধ প্রশস্ত করা হবে। পাগলা ও তিতাস নদীর উপর দুটি বড় ব্রিজসহ সড়কটিতে ৯টি ছোট সেতু ও ৯টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ধরা হয়েছে কার্পেটিংসহ ২৪ ফিট। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যার পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের প্রধান প্রকৌশলী আবু এহতেশাম মোহাম্মদ রাশেদ বলেন,‘প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তবে প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেই আমরা আমাদের কাজ শুরু করে দেব। যদি স্থানীয় লোকজন আমাদের জমি আগে দেয় তাহলে পাগলা ও তিতাস নদীতে বড় দুটি ব্রিজ টেন্ডার করে কাজ শুরু করে দিতে পারব। পাশাপাশি এই রাস্তার জমি সম্পূর্ণ নতুনভাবে অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নবীনগরবাসীর দুর্ভোগ কমবে।’