বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার কমেছে ৮ শতাংশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৮ শতাংশ কমেছে। ২০০৯ সালে তামাক ব্যবহারের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) এর ফলাফলে এই হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'গ্যাটস ২০১৭' এর প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী তিন কোটি ৭৮ লাখ মানুষ সার্বিকভাবে তামাক ব্যবহার করে। এদের মধ্যে ধূমপান করেন এক কোটি ৯২ লাখ মানুষ। সার্বিকভাবে ধোঁয়াহীন তামাক গ্রহণ করেন দুুই কোটি ২০ লাখ মানুষ।

ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৭ সালে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। যার মধ্যে ৫৮ থেকে ৪৬ শতাংশ পুরুষ ও ২৮ দশমিক ৭ থেকে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী তামাক গ্রহণ করে। এছাড়াও বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩৯ শতাংশ মানুষ, যা গত পাঁচ বছর আগে ছিল ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধুমপানের শিকার হন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছর আগে ছিল ৬৩ শতাংশ। আর গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ, যা গত পাঁচ বছর আগে ছিল ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ, যা গত পাঁচ বছর আগে ছিল ৫ দশমিক শূন্য।

বিজ্ঞাপন

ফলাফলে আরও বলা হয়, তামাকের ব্যবহার কমার তুলনামূলক হার প্রায় ১৮ শতাংশ। ধোঁয়াহীন তামাক ব্যবহারের হার ২৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো গ্যাটস ২০১৭ পরিচালনা করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ কারিগরি বিষয় তত্ত্বাবধান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস এর অর্থায়নে গ্যাটস ২০১৭ পরিচালনা করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ঘোষণা রয়েছে, তা অর্জনে এ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সহজ তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে এবং যথাযথভাবে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করা অারোপ করা হলে তামাকের ব্যবহার আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো: সিরাজুল হক খান, বালুমবার্গ ফিলানথ্রপিস'র হেড অব প্রোগ্রামস্ মিজ কে্ররি হেনিং, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা প্রমুখ।