কোরবানির পশুর আবাসিক হোটেল!
টাঙ্গাইল: ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাটগুলোর আশপাশের এলাকার আবাসিক হোটেলেগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। কেননা দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা ব্যাপারীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হয় এই আবাসিক হোটেলগুলো।
কিন্তু টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ব্যাপারীদের জন্য নয় পশুর হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পশুর ‘আবাসিক হোটেল’। কথাটি জেনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠবেন।
হে সবাইকে চমক দিয়ে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী পশুর হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শতাধিক পশুর আবাসিক হোটেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ এই হোটেলগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা পশু রেখে নিশ্চিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে অনেক বছর ধরে।
এদিকে পশুর হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা এই সব আবাসিক হোটেলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এলাকার শতাধিক পরিবার। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ আসলেই পশুর হোটেল ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে হাটে আসা ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই পশুর হোটেলগুলোর জন্যই হাটটিতে নিরাপদে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অল্প সময়েই গোবিন্দাসী হাট পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম পশুর হাটে। আর এই হোটেল গুলোতে পশু রেখে ব্যবসা করতে পেরে খুশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে এ বিষয়ে একাধিক হোটেল মালিকরা জানান, হোটেলে প্রতিটি গরুর জন্য প্রতি রাতে ১০-১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। গরু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে এখানে গরু রাখেন। হোটেলের ভাড়া দিয়ে সংসার ভালই চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বার্তা২৪.কমকে জানান, হাটের কিছু সমস্যা আছে এগুলোর সমাধান করতে পারলে ব্যবসায়ীরা আরও ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। আর হোটেল মালিকরাও তাদের ব্যবসা করে ভালভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বার্তা২৪.কমকে জানান, এই আবাসিক হোটেলগুলোর কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে গরু রাখতে পারছেন। ফলে হাটকে কেন্দ্র করে যেমন আরও বেশি গরুর হোটেল তৈরি হবে অন্যদিকে হোটেল ভাড়া দিয়ে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ হবে।