নির্বাচনের আগেই ১ হাজার ফার্মাসিস্ট নিয়োগ
ঢাকা: নির্বাচনের আগেই ১ হাজার ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা হবে৷ দেশের হাসপাতালগুলোতে এই ফার্মাসিস্টরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, দেশে লাইসেন্স বিহীন অনেক কোম্পানি ওষুধ তৈরি করছে। বড় বড় অাইনজীবী ধরে কোর্টে স্টে নিয়ে তারা কাজ চালু রাখছে। অথচ এরা নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে৷ কম মূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় বলে মানুষ এগুলো কিনছেন।
ওষুধ প্রশাসনে জনবলের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২২৬ জনকে ওষুধ প্রশাসনে নিয়োগ করা হলে কাজে গতি বাড়বে। এক সময় দেশে ওষুধ আমদানি হত, এখন ইউরোপ-অামেরিকায় ওষুধ রপ্তানি হয়৷
মন্ত্রী বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের স্থায়ীত্ব রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে ওষুধ শিল্প সমিতিসহ সকলের সহযোগিতা চান তিনি৷ ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য বর্তমানে ৫০ টি হাসপাতাল ও ৫০ টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় ৬০০ চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্টদের ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রম ও রিপোর্টিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ওষুধের নিরাপদ এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালু হলো ফার্মাকোভিজিল্যান্স এবং প্রণয়ন করা হয়েছে ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ফার্মাকোভিজিল্যান্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ বলে জানান তিনি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জে. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্টর উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ফারুক বলেন, শুধু ফার্মাকোভিজিল্যান্স নয়, এর সঙ্গে ওষুধ তৈরিতে মানের দিকটিও বজায় রাখতে হবে৷
সভায় উপস্থিত বক্তারা এই গাইড লাইন মেনে ওষুধ তৈরি, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেন।