নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
নরসিংদী: জেলার শিবপুরে বাসের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জন হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নবুয়ারচর এলাকার সুবল বর্মণের মেয়ে প্রান্তিকা (০৬), চাঁদপুরের মতলব উপজেলার সাইটনল এলাকার সুজন বর্মণ (৩৫), তার মেয়ে ¯সিগ্ধা (৫) এবং একই এলাকা ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দুপতারা এলাকার বৃষ্টি (৫), সৌরভ (১০), শুভ (২৫), সজল (২৩)।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় শিবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনাইমুড়ির টেক (কুন্দারপাড়া) নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, রায়পুরা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। সোনাইমুড়ির টেক এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চাকা ফেটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বাসটির চাপায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৩ জন। পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় আরও ১ জন। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায় আরও ৩ জন।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরার মো. আমজাদ হোসেন (৩৮), রুমা বর্মণ (২৫), সুমা (২৫), সায়ন্তিকা (৩), ডেমরার দেলোয়ার হোসেন (২৪), আড়াই হাজারের শামসুজ্জামান (৩৫), মতলবের নিলতা বর্মণ (৩২), অনিক চন্দ্র বর্মণ (১২), বিক্রম চন্দ্র বর্মণ (৪০), রাজু বর্মণ (২৫), মুন্সীগঞ্জের সোহাগ (২৮), কিশোরগঞ্জের জমশেদ (৩০)।
নিহত মিতালী বর্মণের বোন শুভা বলেন, ‘চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমরা মোট ৬০ জন বরযাত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সকালে ফেরার পথে প্রথমে ৩টি মাইক্রোবাস ও পরে বর কনেকে নিয়ে আরও একটি মাইক্রোবাসযোগে রায়পুরা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। আর শেষের মাইক্রোবাসটিই দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. একরামুল হক শামীম বলেন, ৪ জনকে নিহত এবং ১৭ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এরমধ্যে ১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে কেউ মারা গেছে কিনা না সে বিষয়ে পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মিতালী পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।’