খুলনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচন ২০ সেপ্টেম্বর
খুলনা: খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) উপ-নির্বাচন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) এ বিষয়ে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীকে। গত ২৬ জুলাই রাতে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী (৬৫) সিঙ্গাপুরের মাউন্টএলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। তার অসমাপ্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে চারজন প্রভাবশালী নেতা।
রিটার্নিং অফিসার খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, খুলনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২৬ আগস্ট। যাচাই-বাছাই ২৮ আগস্ট। প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ সেপ্টেম্বর। এর পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যেহেতু এ বছরের শেষেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সে জন্য সংক্ষিপ্ত রুটিনের উপ-নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে হচ্ছে তাদের।
দলীয় সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- প্রয়াত সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার একমাত্র ছেলে জেলা পরিষদ সদস্য খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল ও সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
দলীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়াবাসী সুজা ভাইজানের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল। এ জন্য এলাকায় তার উত্তরসূরীকেই দেখতে চায় সাধারণ নেতাকর্মীরা। মোস্তফা রশিদী সুজার একমাত্র ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য খালেদীন রশিদী সুকর্ণও বাবার মতো জনসেবা করতে চাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘প্রয়াত মোস্তফা রশিদী সুজার সাংগঠনিক ও জনপ্রতিনিধিত্বের দক্ষতা অতুলনীয়। তার শূন্য স্থান পূরণ হবার নয়। তিনি থাকলে তার আসনে দ্বিতীয় কাউকে প্রয়োজন হতো না। এলাকায় তার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে কিছুটা সাংগঠনিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে খুলনা-৪ আসনের দায়িত্ব দিলে দলের ঐক্যের ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল বলেন, ‘সুজা ভাইজানের তুলনা তিনি নিজেই। তার শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব। তবে দীর্ঘদিন রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়াবাসীর সঙ্গে মিশে যা জেনেছি-বুঝেছি তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি সর্বস্ব বিলিয়ে এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব। এলাকাবাসীও আমাকে গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রয়েছে।’