'কে বলেরে মুজিব নাই, মুজিব সারা বাংলায়'
ঢাকা: ‘কে বলেরে মুজিব নাই, মুজিব সারা বাংলায়; ‘এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে; ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পরে’।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আ.লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এমন নানা স্লোগান দিতে দিতে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এসেছেন ১৫ আগস্টের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরপরেই সর্বস্তরের জনসাধারণের ঢল নামে বনানী কবরস্থানে।
সকাল ৮ টা থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হাতে ফুল ও বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে স্লোগান দিতে দিতে বনানী কবরস্থান এলাকায় প্রবেশ করেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলী ও শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ১৫ আগস্টের নিহতদের। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে লম্বা লাইনের সৃষ্টি হয়েছে বনানী কবরস্থানের মূলফটকে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ১৫ আগস্টের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নেতাকর্মীদের চোখেমুখে ছিল প্রশান্তির ছাপ।
নেতাকর্মীরা জানায়, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্যমে তাকে যে বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে পারেনি আজ তার প্রমাণ। মুজিব বাংলার মাটিতে সব সময় ছিল সব সময় থাকবে। ১৫ আগস্টের শোককে দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগ শক্তিতে রুপান্তর করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যমেই প্রমাণিত হয় ১৫ আগস্টের ঘাতক ও তাদের দোসরেরা আজ পরাজিত শক্তি।
১৫ আগস্ট ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বনানী আওয়ালীগের নেতা ফজলে রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুখের স্লোগানেই সীমাবদ্ধ নয়। বাঙালি জাতির সকল ক্ষেত্রে মুজিবের বিচরণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন৷ এর মাধ্যমেই মুজিব এখনও সারা বাংলায় বিরাজ করছে।
শ্রমিকলীগের নেতা আফজাল বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেন করতে এসে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘাতকরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে তার আদর্শ ও তাকে বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু তারা তা পারেনি আ.লীগ তাদের এই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। আজ মুজিব বাংলার মানুষের মনে চির অমলিন, অমর।
সায়মন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বলেন, সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধে হাত রেখে এসেছেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। নিজেদের নেতার মৃত্যুর শোককে আজ শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ।
১৫ আগস্ট উপলক্ষে বনানী কবরস্থানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় নিশ্চিত করতে ভোর সকাল থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দুই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নেতাকর্মীদের কবরস্থানে প্রবেশ করতে হচ্ছে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
উল্লেখ, বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবর রয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে।