সাহান আরা বেগমের চোখে ১৫ আগস্টের ভয়াল রাত  



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সূর্যের আলো তখনও ফুটে ওঠেনি। এমনই এক সময় অতর্কিত হামলায় কেঁপে উঠলো ঢাকার ২৭নং মিন্টো রোডের বাড়িটি। 

চোখের সামনেই হারিয়েছেন চার বছরের সন্তান সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাতসহ পরিবারের ছয়জন সদস্যকে। ঘাতকদের গুলিতে তিনিসহ আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাইতো আগস্ট মাস আসলেই তার বুকের ভেতরে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই দিনের ভয়াল চিত্র। 

অশ্রু সজল নয়নে সেইদিনের লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহান আরা বেগম।

ঘটনার বর্ণনায় প্রথমে শুরু করেন, ‘সেদিন (১৫ আগস্ট) ফজরের আজানের পর আমরা প্রচণ্ড গুলির শব্দ পাচ্ছিলাম। শব্দ আমাদের বাসার দিকেই আসছিল। গুলির শব্দে হঠাৎ করে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। আমার শাশুড়ি (বঙ্গবন্ধুর বোন আমেনা বেগম) বলেন, বাড়িতে ডাকাত পড়েছে, ডাকাত পড়েছে, আমার ভাইকে (বঙ্গবন্ধু) ফোন দাও। 

আমার শ্বশুর আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বঙ্গবন্ধুকে একটা ফোনও করেছিলেন। কিন্তু কী কথা হয়েছে তা বলতে পারবো না। এরই মধ্যে আমি শেখ ফজলুল হক মনি ভাইকে ফোন করলাম। ফোনে তাকে বললাম, আমাদের বাড়ির দিকে কারা যেন গুলি করতে করতে আসছে, বুঝতে পারছিনা। 

মনি ভাই বলেন, কারা গুলি করছে দেখো। ওরা কী কোনো ড্রেস পড়ে আছে। আমি বললাম, বৃষ্টির মতো গুলি হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে না। মনি ভাই বলেন, তারপরেও দেখো, কারা আসছে। এরমধ্যে ফোনটি হাত থেকে টেনে নিয়ে আমার শাশুড়ি মনি ভাইকে বলেন, বাবা বাড়িতে ডাকাত পড়েছে, আমাদের বাঁচাও। এই কথা বলেই ফোন রেখে দিয়ে আমার শাশুড়ি শ্বশুরকে বললেন, কী ব্যাপার তুমি আমার ভাইকে (বঙ্গবন্ধু) ফোন দিলে না? 

শ্বশুর বলেন, তোমার ভাইও মনে হয় রেহাই পায়নি। ওনার সঙ্গে কী কথা হয়েছে আমরা সেটা শুনিনি। আমাদের দরজা ভাঙার শব্দ পাচ্ছিলাম। এমন সময় একটা চিৎকার শুনলাম, তোমরা সামনে এগোবে না, ভালো হবে না। ওরা (ঘাতকরা) থমকে দাঁড়ায়। ওই চিৎকারটি দিয়েছিলেন আমার স্বামী (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ)। এরপর উনি দোতলায় চলে যান। বাসার কাজের বুয়া দরজাটা বন্ধ করে দেয়। দরজা বন্ধ করে দেয়ার পর উনি আমাদের ঘরে না ঢুকে ডান পাশের রুমে ঢুকে যান। এ সময় একটা ফোন আসে (ফোনটি রিসিভ করে হাসানাত) মনি ভাই মারা গেছেন।’

এর মধ্যে ঘাতকরা বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা রুমে রুমে ঢুকে হ্যান্ডস আপ হ্যান্ডস আপ বলে আমাদের সবাইকে কর্ডন করে নিচতলার ড্রইংরুমে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে রাখে। তবে সিঁড়ির অর্ধেক নেমেই বাবু (সুকান্ত বাবু) বলে, মা আমি তোমার কোলে উঠবো। আমি ওকে কোলে নিতে পারলাম না। পাশে আমার ভাসুর (শহিদ সেরনিয়াবাত) ওকে কোলে নিল। নিচে নামার পর ভারি অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে উপরে আর কে কে আছে? এমন সময় আমার শ্বশুর আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন তার চোখের ইশারায় আমি বললাম, ওপরে আর কেউ নেই। যে কারণে উপরের রুমগুলো তল্লাশি না হওয়ায় আমার স্বামী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে ওরা খুঁজে পায়নি। 

তখনও আমরা বুঝতে পারছিলাম না ওরা আমাদেরকে মারতে এসেছে, না গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। আমার শ্বশুর ওদেরকে বলল, তোমরা কী চাও? তোমাদের কমান্ডিং অফিসার কে? ওদের মধ্যে থেকে একজন বলে, আমরা কিছুই চাই না, আমাদের কোনো কমান্ডিং অফিসার নেই। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ঘাতকেরা ব্রাশ ফায়ার করে। আমরা মাটিতে পরে যাই। 

শহিদ ভাইকে বন্দুক ঠেকিয়ে ওরা গুলি করে। উনি সঙ্গে সঙ্গে উপুর হয়ে পরে যান। আমার শ্বশুরের শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। আমার শরীরের পেছনের অংশে হাত দিয়ে দেখি রক্ত বের হচ্ছে। ওরা চলে যেতে লাগল। তখনও আমার জ্ঞান ছিল। 

এর মধ্যেই কে যেন কান্না করে ওঠে। এরপর ঘাতকরা আবার দৌঁড়ে এসে ব্রাশ ফায়ার করে। আমার শ্বশুর সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। আমি আমার শ্বশুরের পেছনে ছিলাম, আমার কোমরে গুলি লাগে। ব্রাশ ফায়ারে ছয়জন মারা যায়। আমরা গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নয়জন কাতরাচ্ছিলাম। 

এরমধ্যে আবার একদল লোক গাড়ি নিয়ে আসে। তখন ভাবলাম এই বুঝি শেষ। কিন্তু পরে দেখি রমনা থানার পুলিশ এসেছে। তারা আমার শ্বশুরের পালস দেখে বলে, বাড়ির কেউ আহত আর কেউ মারা গেছে। 

এর মধ্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ উপর থেকে নিচে নেমে আসলেন। কিছুক্ষণ আগেও আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম, এখন অনেকেই লাশ হয়ে পড়ে আছে।  

হাসানাত এসে তার বাবার হাতের পালস দেখে ছেড়ে দিল। আর আমি বললাম সুকান্ত বাবুকে একটু দেখো। শহীদ ভাইকে একটা টান দিয়ে বাবুর শরীর থেকে সরিয়ে দিল হাসানাত। তখন শহীদ ভাইয়ের বুকের ভেতর থেকে শব্দ বের হল। তার নিঃশ্বাসটা বের হয়ে গেল। বাবুর নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে, আরিফ সেরনিয়াবাত পাশে পড়ে আছে। তখন তো জানতাম না আরিফের মাথার মগজ গুলি লেগে বের হয়ে গেছে। সবাই ওখানে আহত ও নিহত ।

পুলিশ জিপে করে আমাদের উঠিয়ে দিল। আর ওসি ভদ্রলোক বার বার বলল স্যার (হাসানাত) আপনি এখানে থাকবেন না। ওরা আবার এসে আপনাকে মেরে ফেলবে। 

তারপরে ওরা আমাদের মেডিকেলে নিয়ে গেল। মেডিকেলে আমাদের যখন নামাচ্ছিল, তখন আরেকটি জিপে করে মনি ভাই ও আরজু ভাবিকে নিয়ে এসে নামানো হচ্ছে। সবাই  জরুরি বিভাগে ভর্তি হল। ওখানে আমরা চারজন জীবিত ছিলাম। আমি, আমার শাশুরি, চার নাম্বার ননদ আর ছোট ননদ। 

আমাদেরকে ইমার্জেন্সি বেডে নিয়ে গেল। তখন বঙ্গবন্ধুর বাসায় কাজ করে একটা ছেলে, নাম মনে নেই, সে আমার পাশ দিয়ে হাঁটছে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, তবে ও কিছু বলল না।  চুপ করে চলে গেল। পরে খুকির মা (শেখ কামালের শাশুরি) এসে আমাকে খুঁজে। তখন তার কাছে জানতে পারলাম আমাদের সবই শেষ। 

তারপর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আলাদা করে রাখলেন। কাউকে কথা বলতে দিলেন না। তাছাড়া আমি ছাড়া কথা বলার মতো অবস্থায় কেউ ছিলও না। আমার দুই ননদ এবং শাশুরি সবাই অজ্ঞান ছিল। একদিন কি দুইদিন আমাদের ওইখানে রাখল। কারণ তখন অনেক লোক আসতেছিল গোপনে দেখা করার জন্য। তখন ওরা বাধ্য হয়ে দরজায় পুলিশ পাহারা দিয়ে আমাদের আলাদা একটা রুমের মধ্যে রাখলো।

মেডিকেলে ডিরেক্টর ছিলেন একজন আর্মি অফিসার। এখানে কোনো কমতি ছিল না। আমাদের সবাইকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তবে একদিন পরেই আমার বাবা দেখতে গেল। আমাদের কারো শরীরে তেমন কাপড় ছিল না। দুইদিন আমার গায়ে ব্লাউজ ছিল এবং একটা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। কারণ বুলেটে আমার পরনের পেটিকোট আর ব্লাউজ ঝাঁঝরা হয়ে গেছে এবং রক্তে সব নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য চাদর দিয়েই ঢেকে রাখা হল। তখন বাবা কিছু কাপড় কিনে এনে দেয়। আমার জীবিত থাকা ছেলে মেয়ে কান্তা ও সাদেককে নিয়ে বাবা বরিশাল চলে আসে। 

বরিশালে এসেও আমার বাবা শান্তিতে থাকতে পারে নাই। বরিশালের বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ ঘেরাও দিত। আমার বাবাকে জেলে নিয়ে গেল, ১৫ আগস্টের ঘটনায় তিনি আড়াই বছর জেল খেটেছে।’ 

সেই ভয়াল কালরাতে তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ঢাকার মিন্টো রোডের বাসায় বরিশালের ছয়জন নারী-পুরুষ নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন। 

তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর বোনের জামাই আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ভাইয়ের ছেলে সাংবাদিক শহিদ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতী সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাত এবং বরিশালের ক্রিডেন্স শিল্পগোষ্ঠীর সদস্য আব্দুর নঈম খান রিন্টু। 

আহত হয়েছিলেন নয়জন। তারা হলেন- আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সহধর্মিনী আমেনা বেগম, বেগম সাহান আরা বেগম, বিউটি সেরনিয়াবাত, হেনা সেরনিয়াবাত, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, খ.ম জিল্লুর রহমান, ললিত দাস ও সৈয়দ মাহমুদ প্রমুখ।

সাহান আরা বেগম আরও বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্টের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা দিয়েছিলাম। কারণ ১৫ আগস্টের সেই ট্রাজেডির ঘটনায় পরিবারের মধ্যে একমাত্র আমিই ছিলাম এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তখন একজন আসামিও ধরা পড়েছিল। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার মামলাও চলতেছিল। যার ফলে ওই মামলাটি কিছুদিন স্থগিত ছিল। পরে আর রি-ওপেন করা হয়নি। তারপরে ঝড়-যুদ্ধ, ওয়ান ইলেভেন, ক্লিন হার্ট, বিভিন্ন কারণে সেটা আর হয়নি। তবে আমাদের ওই মামলার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে বলেছি, ওই মামলাটা আবার চালু করার জন্য।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলার পাশাপাশি তার বোনজামাতা ও তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭নং মিন্টো রোডের বাড়িতেও হামলা করে ঘাতকরা। সেই বাড়িটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদরদপ্তর হিসেবে পরিচিত।

   

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরে ঢাকা ষষ্ঠ, শীর্ষে সিউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বায়ু মানের সূচক ৩৪৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন, পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের চিয়াংমাই ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৭, ১৮৭, ১৭৯ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।

;

ঝোড়ো হাওয়াসহ ৫ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের মোংলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

;

পাঁচ অঞ্চলের নদী বন্দরে সতর্কতা সংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলা হচ্ছে। এছাড়াও এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

;

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন শাখা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার, জারা জাবীন মাহবুব অংশ নেন।

 

;