ময়মনসিংহ-৪: আ.লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে রওশন!



উবায়দুল হক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ময়মনসিংহ-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে এবারো ময়মনসিংহ-৪ আসনটি ছেড়ে দিতে চাইছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে চাইলেও এবার সেখানে নিজ দলের প্রার্থী চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে কেন্দ্রীয় ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির গাঁটছড়া অব্যাহত থাকায় সেই প্রত্যাশা হয়ত পূরণ হচ্ছে না।

গুরুত্বপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও এরশাদ পত্নী বেগম রওশন এরশাদকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানাবে আওয়ামী লীগ এমটাই গুঞ্জন চলছে। এমন সমীকরণের বিপরীতে এই আসনে বিএনপিতে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনাও প্রবল।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে পরাজিত হয়ে বিএনপি সরকারের সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন এবার ফিরে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে। আর তার আসনটিতে স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জানা যায়, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনটিতে দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন বেগম রওশন এরশাদ। এরমধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেওয়ায় এ আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই সময় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। পরে টেকনোক্র্যাট কোটায় তাকে ধর্মমন্ত্রী করা হয়।

এদিকে রাজনীতি করার মতো শারীরিক অবস্থান হারিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। তিনি চান বিকল্প হিসেবে মনোনয়ন পাক তার ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। তবে এ আসনে শান্ত ছাড়াও একাধিক প্রার্থী রয়েছে মনোনয়ন লড়াইয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, এফবিসিসিআই’র টানা তিনবারের পরিচালক আমিনুল হক শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) মহাসচিব ডা. এম.এ আজিজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ হিসেবে পরিচিত অ্যাড. জহিরুল হক খোকা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের বাবা। তিনি ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু ও দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের এ ঘনিষ্ঠ সহচর এবার নৌকার মাঝি হতে চান।

দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ পরিবহন মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব ছিলেন আমিনুল হক শামীম। বর্তমানে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তিনি। আবার পরপর তিনবার ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত এফবিসিসিআই’র পরিচালক হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। কক্সবাজারে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে অন্যতম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সুনাম রয়েছে শামীমের। ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও রয়েছে তার অবদান।

তার ছোট ভাই ইকরামুল হক টিটু প্রায় দশ বছর ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক। ভদ্র, বিনয়ী ও পরিশ্রমী ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে ‘সুন্দর শহর ময়মনসিংহ’ এই থিমে শহরকে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। উন্নয়নের রূপকার হিসেবে টিটুর সুনাম থাকায় ‘মনোনয়ন রাজনীতিতে’ এ বিষয়টি শামীমের পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করবে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ছিলেন অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। তিনি জেলা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এ রাজনৈতিক নেতার ভাগ্যে এবার মনোনয়ন জুটবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এদিকে, পুনরুদ্ধারের স্বার্থে এবার আসনটিতে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে চায় বিএনপির কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড। এক্ষেত্রে তিনজন প্রার্থীর নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। তারা হলেন- ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ৯০’র মাঠ কাঁপানো ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দিনাজপুর-৬ আসন থেকেও মনোনয়ন কিনেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকেই প্রার্থী হতে চান এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহজেই তিনি পরাজিত করতে পারবেন বলে বিশ্বাস তার।

এ আসনটি থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু ওয়াহাব আকন্দকে এখানকার মাঠ রাজনীতির প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আপদে-বিপদে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা, কারাবরণসহ নানা কারণে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সর্বাগ্রে উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম।

ওয়াহাব আকন্দ পরিবারের প্রায় সবাই বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বড় ভাই আব্দুর রশিদ আকন্দ ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ময়মনসিংহ ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠের দখল নিয়েছিলেন ওয়াহাব আকন্দ। এখনো হামলা-মামলা রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন তিনি। দলের প্রতি ত্যাগ স্বীকারের পুরস্কারস্বরূপ আসনটিতে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা তার।

এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চান নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্র সংসদের টানা দুই বারের সাবেক ভিপি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ। তিনি কোতোয়ালি বিএনপির সভাপতি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ওয়ালিদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনিও।

   

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য চাঁদপুরের মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

;

উপজেলা ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের অবৈধ চাপ না মানার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজনৈতিক দলের কোনো সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি মন্ত্রী যেই হোক না কোনো অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয় এসব কোনো কিছু আমলে নেওয়া হবে না। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সবার প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণ বিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কমিশন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরণের নির্বাচন চাই সেটা ওখানে থাকবে। চিঠিও সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো মন্ত্রী, এমপিদের আত্মীয় স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তাব করতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;

প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে প্রমাণ ছাড়াই বাদ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী অভিযোগ করলেই প্রমাণ ছাড়াই তাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

মাঠ ঘুরে আসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভাল। উৎসবমুখর। আইন-শৃঙ্খলা কোনো থ্রেড নাই, সমস্যা নাই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেড নাই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেশার দিলে সে যেই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কি, থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

গাংনী উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর রুম্মন আহমেদ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

চেয়ারম্যান পদে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো- ‘কই মাছ’, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ খালেক- ‘আনারস’, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম- ‘কাপ-পিরিচ’, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল- ‘হেলিকপ্টার’, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লায়লা আরজমান বানু- ‘দোয়াত-কলম’, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জুয়েল- ‘ঘোড়া’, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন- ‘মোটরসাইকেল’ ও আওয়ামী লীগ কর্মী মুকুল আহমেদ-‘শালিক পাখি’।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিঠু- ‘তালা’, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন- ‘টিউবওয়েল’ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম- ‘চশমা’ প্রতীক পেয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারহানা ইয়াসমিন- ‘হাঁস’, নাসিমা খাতুন-‘ফুটবল’ এবং জাকিয়া আক্তার আলপনা- ‘কলস’ প্রতীক পেয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে একই প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ মোট ১৪ প্রার্থী প্রতীক নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে লড়বেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে শুধুমাত্র জুলফিকার আলী ভুট্টো বিএনপি নেতা। বাকি ১৩ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

আগামী ২১ মে সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

 

;