লৌহজং থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জেলার লৌহজং থানার ওসিকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আরও কয়েকজন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইসির একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পুলিশ ও প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন মহলের অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনে। এর মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অভিযোগ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লৌহজংয়ের থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে সেখানে এক কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে ইসি। এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখছে কমিশন।
এদিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগে আরো রদবদল করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে ইসির আদেশ জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে চায় কমিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনারদের অনুমোদনের জন্য এ বিষয়ে একটি ফাইল উত্থাপন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে শীঘ্রই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে। ওই আদেশেই প্রশাসনে রদবদলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে আইন অনুযায়ী প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। গত ১১ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বদলি বা ছুটি না দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি। চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা দেওয়া সব নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়ার পরে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি না করার বিধান রয়েছে।