ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে: ইসি সচিব
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণ ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এই সব আসনের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈবচয়নের মাধ্যমে এইসব আসন নির্ধারণ করা হবে। ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে দৈবচয়নের মাধ্যমে এই ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হবে বলে সচিব জানান।
এ সময় সচিব বলেন, ‘৩০০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এই ছয়টি আসনে পূর্ণ ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এটি দৈবচয়নের ভিত্তিতে এগুলো সিটি করপোরেশন, আরবান এলাকায় ব্যবহার করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর সাংবাদিকদের সামনে এই ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হবে।
৩৫ টি রাজনৈতিক দল ও অংশীজনরা এই ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করা সত্ত্বেও কেন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, মানুষ অনেক শিক্ষিত হয়েছে। সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনাও আছে। বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। সবদিক বিবেচনা করে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ থেকে আর সরে আসার সুযোগ নেই।
এর আগে কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন। আজকের বৈঠকে তার ভূমিকা কি ছিল। তিনি কি সম্মতি দিয়েছেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর বিরোধীতা করেননি। তাই ধরে নিতে হবে উনার সম্মতি দিয়েছেন।
এত প্রস্তুতি, এত বাজেট, এত প্রশিক্ষণ থাকা ‘সত্ত্বেও কেন ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয়টি আসন কিন্তু কম নয়। গড়ে যদি প্রত্যেকটি আসনে ১৫০টি কেন্দ্র হয়, তাহলে প্রায় ৯শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
এই ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য কত জনবল লাগবে-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যে সমস্ত আসন নির্ধারণ করা হবে, সেসব আসনে কতগুলো কেন্দ্র আছে, সব কিছু বিবেচনা করেই জনবল নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, এই ছয় আসনে ইভিএম এর পাশাপাশি ব্যালট বাক্স ও পেপার রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামীকাল রোববার কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যে বিষয়গুলো আসছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে অভিযোগগুলো কমিশনে লিখিতভাবে করা হয়েছে তা ইসির সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে। কমিশন মনে করে আগামীকালের বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।