ইভিএম কিনতে উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে ১১০ কোটি টাকা নিচ্ছে ইসি



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম)-বার্তা২৪

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম)-বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে পরিকল্পনা কমিশনের ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে ১১০ কোটি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটে (আরএডিপি) চার কিস্তিতে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অর্থ বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে শর্ত জুড়ে দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বরাদ্দ করা অর্থ প্রকল্পের অনুমোদিত বিস্তারিত প্রকল্প পরিকল্পনার (ডিপিপি) অঙ্গভিত্তিক ব্যয় বিভাজন অনুসারে সব বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ব্যয় করতে হবে এবং উক্ত বরাদ্দ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের আরএডিপিতে প্রতিফলন করতে হবে।

গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন এক লটারির দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসন নির্ধারণ করে। এই ছয়টি আসনে সোয়া ২১ লাখ ভোটার ইভিএম ব্যবহার করে ভোট দেবেন। ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো হলো, ঢাকা-৬, ১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।

এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দাবি, আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম কোনোভাবেই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ সিস্টেমটাই ত্রুটিপূর্ণ। এই পদ্ধতি দিয়ে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তারা (নির্বাচন কমিশন) পুরোপুরি সরকারের তল্পিবাহক হয়ে গেছে। সরকার যা চাইছে তারা সেটাই করছে।

তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, তিন ধাপে মোট দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে এবং চলতি অর্থবছরে ৫০ হাজার মেশিন কেনা হতে পারে। এসব মেশিনের ওয়ারেন্টি ১০ বছর। এগুলো আগামী নির্বাচনে সীমিত আকারে ব্যবহারের জন্যই কেনা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের সচিবালয় এক চিঠিতে পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছে, বরাদ্দের ১১০ কোটি টাকার মধ্যে ১০৫ কোটি টাকা মূলধন খাতের অর্থ। বাকি ৫ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে নেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ অর্থ উন্নয়ন বাজেটের বিভাজন হচ্ছে ইভিএম ব্যবহার শীর্ষক প্রকল্পের অফিসারদের বেতন বাবদ ১০ লাখ টাকা, ভাতা ৩০ লাখ টাকা এবং রাজস্ব খাতে ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা। এছাড়া  প্রকল্পের জন্য মোটরযান, ইভিএম এবং যন্ত্রপাতি আমদানি ও সরাঞ্জমাদি কম্পিউটার সফটওয়্যার, আসবাবপত্র কিনতে খরচ হবে ১০৫ কোটি টাকা। যা মূলধন ব্যয় হিসেবে দেখাতে হবে।

শর্ত অনুসারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের উন্নয়ন বাজেটের অধীনে ব্যয় করতে হবে। চলতি অর্থ বছরে ইভিএম কেনার জন্য প্রকল্পের ডিপিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে এক হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এর আগে ইভিএম কিনতে জটিলতা নিরসনে এবং নিয়মনীতি মেনে অর্থবিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুদল মুহিত। কিন্তু নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো ইভিএম ক্রয় সম্পন্ন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। কেননা অর্থের সংস্থান হয়নি। এমনকি ক্রয় কমিটিতেও এ ধরনের  কোনো প্রস্তাব পাস হয়নি। এ নিয়ে ইসি ও পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। যার কিছু নথিপত্র অর্থবিভাগেও পাঠানো হয়েছে। ফলে এ নিয়ে অর্থবিভাগকে দ্রুত অর্থের সংস্থান ও নিয়মনীতি মেনেই প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ের নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন গত অক্টোবরে ইভিএম কিনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়েছিল। হঠাৎ এই চাহিদা আসায় অর্থ মন্ত্রণালয় সে সময় কোনো জবাব দেয়নি। কেননা বাজেটে এ প্রকল্পের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা নেই বললেও এখন অর্থের ব্যবস্থা করছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাজেট থেকেই অর্থ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশোধিত বাজেটে ইভিএম প্রকল্পকে যুক্ত করা যায় কি-না সে ব্যাপারেও আলোচনা হচ্ছে। এ জন্য নীতিমালা ও আইনগত ভিত্তিগুলো বিশ্লেষণ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনু বিভাগ।

এদিকে এ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইভিএম কেনার কথা বলা হয়েছে। এ জন্য টাকা বরাদ্দ ছাড়াই চীন ও হংকং থেকে ইভিএমের মূল যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানির কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই ইভিএম আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদনও দিয়েছে ইতোমধ্যে। এর আগে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এতে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় গত ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। ওই প্রকল্পে পুরো অর্থায়নের উৎস ধরা হয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

অর্থবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ খাতে বরাদ্দ থাকা ৫৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইভিএম মেশিন পরিচালনার জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট ৩ হাজার ১১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। শুধু তাই নয়, এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইভিএম মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

   

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

ডোমার উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান সুমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অতর্কিত হামলা চালান আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডন। তার নেতৃত্বে এ সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সে সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থীসহ সাংবাদিকেরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফল ঘোষণা।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ফল ঘোষণা করেন। এই ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোল করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং কল্যাণ ও পুনর্বাসন পদে রয়েছেন। অপরদিকে তোফায়েল আহমেদ সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ডোমারকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গঠনের পর থেকে কোনো নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেননি। সুমি প্রথম নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ৭৫টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এ উপজেলায় তিন পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও পাটগ্রামে রুহুল আমিন বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে তাদের বেসরকারি বিজয়ী ঘোষণা করে উপজেলা পরিষদ।

লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির সরকার বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ৩৪ হাজার ৯ শত ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪ শত ৮১ ভোট।

পাটগ্রাম উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল ৫৬ হাজার ১ শত ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম মাত্র ৯ শত ৩৫ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলাউদ্দিন মিয়া ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন সুলতানা সাথী, পাটগ্রাম উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজওয়ানা পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।

;