বগুড়ায় ২৭ মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার ৭টি নির্বাচনী আসনে দাখিলকৃত ৮৩টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ২৭টি মনোনয়ন।

রোববার (২ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ২৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টিপু সুলতান ও আব্দুল মান্নান মিয়া। বগুড়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান, স্বতন্ত্র হিসেবে জমা দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কাশেম ফকির ও শফিকুল ইসলামের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

বগুড়া-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মুহিত তালুকদার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজ উদ্দিন মণ্ডলের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না থাকায় কামাল উদ্দিন কবিরাজের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা তায়েব আলীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহিদুর রহমান, আশরাফুল আলম ও ইউনুছ আলী মণ্ডলের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় মনোনয়ন বাতিল হয়।

বগুড়া-৫ আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দবিবুর রহমান এবং তহমিনা জামান হিমিকা, আব্দুর রউফও মাহবুব আলির এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়ন বাতিল হয়।

বগুড়া-৬ আসনে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া, মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় বিএনপি প্রার্থী একেএম মাহবুবর রহমান ও ঋন খেলাপি হওয়ায় জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিকের মনোনয়ন বাতিল হয়।

বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ পত্র গৃহীত না হওয়ায় মোরশেদ মিলটন ও শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল পদ থেকে পদত্যাগ না করায় মনোনয়ন বাতিল হয়।

এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলু, ফেরদৌসী আরা খান, ডাঃ মোস্তফা আলীর ভোটারদের স্বাক্ষর না থাকায় এবং জাসদ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ব্যাংকের চাকরিতে পিআর এল এ থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়।

   

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নিহত সফুর আলম।

পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিন এর ছেলে সফুর আলম।

দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকেরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব।

;

সিলেটে ভোট কেন্দ্রে অসুস্থ ভোটার, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোট দিতে গিয়ে মফিজ মিয়া নামের এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে তেলিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত মফিজ মিয়া (৫৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতল পাড়ের বেলাজুর গ্রামের সাবেক মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।

তিনি বলেন, ভোটের মাঠে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।

;