আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে প্রার্থিতা পেলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তৃতীয় দিনে ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আপিল আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শতাধিক আবেদন বাতিল ও ৮৪ জনের আবেদন বৈধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদের মধ্যে বিএনপির ২১ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, গণফোরামের চারজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, জেএসডির তিনজন, খেলাফত মজলিশের একজন, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের একজন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দুইজন, মুসলিম লীগের চারজন, জাকের পার্টির ছয়জন, বিএনএফের তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাতজন, এনপিপির দুইজন, জাগপার একজন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একজন, জাসদের দুইজন, বিকল্পধারার দুইজন, খেলাফত আন্দোলনের একজন ও ১৫জন স্বতন্ত্র জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। চলে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোঃ. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করেছেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বিএনপির চাঁদপুর-৪ আসনে জেড খান মো. রিয়াজউদ্দিন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা মা ম চিং, চট্টগ্রাম-৮ এম মোরশেদ খান, রাজশাহী-৫ মোঃ. আবু বকর সিদ্দিক, রাজশাহী-৬ মোঃ. আবু সাঈদ চাঁদ, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-২০ সুলতান আহমেদ, চট্টগ্রাম-৮ এরশাদ উল্লাহ, টাঙ্গাইল-১ ফকীর মাহবুব আনাম স্বপন, ঢাকা-১৭ শওকত আজিজ, চট্টগ্রাম-৪ আসনের মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী, ঢাকা-১৯ মোঃ. কাফিল উদ্দিন, রাজশাহী-৫ আবু বকর সিদ্দিকী, নীলফামারী-১ আসনের এ আহম্মেদ বাকের বিল্লাহ (মুন), রাজশাহী-৫ মোঃ: নাদিম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ-৩ মো: আয়নুল হক, বান্দরবান উম্মে কুলসুম সুলতানা লীনা, কুমিল্লা-৫ সৈয়দ গোলাম মহিউদ্দিন, গোপালগঞ্জ-৩ এস.এম জিলানী, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৬ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ শওকত আজিজ।

জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ- ৩ আসনের লিয়াকত হোসেন খোকা, যশোর-২ মোঃ: ফিরোজ শাহ, কিশোরগঞ্জ-১ মো: মোস্তাইন বিল্লাহ, কক্সবাজার-২ মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ। গণফোরামের ঢাকা-৩ মোস্তফা মহসীন মন্টু, জামালপুর-৩ আসনে নঈম জাহাঙ্গীর, কুমিল্লা-৩ মোহাম্মদ আকবর আমিন বাবুল। জেএসডির ময়মনসিংহ-৬ আসনে চৌধুরী মুহাম্মদ ইসহাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এ কে এম জাবির, যশোর-৩ আসনের সৈয়দ বিপ্লব আজাদ। খেলাফত মজলিশের নেত্রকোনা-১ আসনে আব্দুল কাঈয়ুম খান। জাতীয় পার্টি (জেপি) চট্টগ্রাম- ৯ মোঃ. মোরশেদ সিদ্দিকী। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোঃ. মহিউদ্দিন মোল্লা।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চুয়াডাঙ্গা-১ মোছা. মেরিনা আক্তার, সিলেট-১ আসনের মোঃ: আনোয়ার উদ্দিন বোরহান, মুসলিম লীগের সিলেট-১ আসনের মোঃ: আনোয়ার উদ্দিন বোরহান, কুষ্টিয়া-১ মো: আব্দুল খালেক সরকার, রংপুর-৫ আসনের মোছাঃ মওদুদা আখতার, কিশোরগঞ্জ-২ মীর আবু তৈয়ব মো: রেজাউল করিম।

জাকের পার্টির যশোর-৫ রবিউল ইসলাম, যশোর-৪ লিটন মোল্লাহ, ঝিনাইদহ-২ আবু তালেব সেলিম, যশোর-১ মোঃ. সাজেদুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ আসনের মোঃ আনসারুল হক, নারায়ণগঞ্জ-১ মোধ মাহফুজুর রহমান, বিএনএফের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম ১৩ নারায়ণ রক্ষিত, ঝিনাইদহ-৩ ইসমাঈল হোসাইন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর-৫ মোঃ. ইবাদুল খালাসি, সিলেট ৫ আসনের মোঃ: নুরুল আমিন, রংপুর-৪ মোঃ বেলাল হোসেন, রাজশাহী-৫ মো: রুহুল আমিন, মাদারীপুর-১ মো: জাফর আহমেদ, ফরিদপুর-৪ আ: হামিদ মিয়া, চট্টগ্রাম-৪ সামসুর আলম হাসেম।

এনপিপি কুষ্টিয়া-৪ মোঃ. তাছির উদ্দিন, যশোর-৪ আসনের মোঃ আলী জিন্নাহ। জাগপা যশোর-৫ আসনের মোঃ: নিজাম উদ্দিন অমিত। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম চট্টগ্রাম-৫ নাসির উদ্দিন। জাসদ: কুষ্টিয়া-৮ মো: রেমাকনুজ্জামান, রাজশাহী-১ মো: আলফাজ হোসেন। বিকল্পধারার যশোর-৩ মারুফ হাসান কাজল, যশোর-৪ আসনের এম নাজিম উদ্দিন, ঢাকা-৪ মোঃ কবীর হোসেন।

খেলাফত আন্দোলনের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ মাওলানা মুজিবুর রহমান। তৃণমূল বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম-৫ আসনে মাসুদুল আলম বাবলু।

স্বতন্ত্র ঢাকা- ১৭ আসনের নাজমুল হুদা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় নতুন কুমার চাকমা, জয়পুরহাট- ১ আলেয়া বেগম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আলী আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের কাজী নাজমুল হোসেন, রাজশাহী-৩ আসনের মোঃ: মেরাজ উদ্দিন উদ্দিন মোল্লা,নওগাঁ-৪ মো: আব্দুর রাকিব, গাইবান্ধা-১ মো: এমদাদুল হক, সিরাজগঞ্জ-৩ মো: আহসান হাবিব, সিরাজগঞ্জ-৬ মো: মাসুদুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন, লক্ষ্মীপুর-২ এস.ইউ.এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া।

অন্যদিকে যাদের আপিল খারিজ হয়েছে তারা হলেন: আওয়ামী লীগ নেত্রকোনা-১ মোঃ. এরশাদুর রহমান, ময়মনসিংহ-৪ কামরুল ইসলাম মোঃ. ওয়ালিদ, ময়মনসিংহ-৯ আলমগীর কবির, ময়মনসিংহ-৭ এম. এ. রাজ্জাক, নেত্রকোনা- মোঃ. জাকির হোসেন, নেত্রকোনা- ৪ শফি আহমেদ, জামালপুর-৩ মোঃ. মাসুম বিল্লাহ্, ময়মনসিংহ-১১ এস এম আসরাফুল হক, ময়মনসিংহ-৩ মোঃ. সামিউল আলম, কুমিল্লা-৩ আহসানুল আলম কিশোর, কুমিল্লা-১০ মোঃ. রুহুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ মাওলানা আবু সাইদ, ফেনী-৩ আনোয়ারুল কবির, নোয়াখালী-৩ আফতাব উদ্দিন, কুমিল্লা-৪ ইরফানুল হক সরকার, নোয়াখালী-৩ মোঃ. আবু বকর ছিদ্দিক, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ মোঃ. ওমর ইউসুফ, যশোর-২ মুহাদ্দিস শহিদুল ইসলাম ইনসাফি, যশোর-২ এবিএম আহসানুল হক, ঢাকা-৭ মোঃ. মাসুদুর রহমান (খোকন), ঢাকা-৪ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-১ মোঃ. হারুনার রশিদ, ঢাকা-২ সৈয়দ মঈন উদ্দিন রিপন, ফরিদপুর-১ মোঃ. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ মোঃ. আব্দুর রহিম, চট্টগ্রাম-১২ এম এয়াকুব আলী, চাঁদপুর-২ মোঃ. খায়রুল হাসান এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ জামাল রানা।

   

চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৭৩৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের শেষধাপে অর্থাৎ চতুর্থ ধাপের ৫৬ উপজেলা নির্বাচনে ৭৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, শেষ ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে, চারটি উপজেলায় চারটি পদে চারজন একক প্রার্থী রয়েছে৷ চেয়ারম্যান পদে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় একজন করে প্রার্থী রয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের প্রার্থিতা যাচাই-বাচাই শেষে সব ঠিক থাকলে এই চার উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন।

চতুর্থ ধাপে ৫৬টি উপজেলার মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬-১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। আর নির্বাচন ৫ জুন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় বুধবার (৮ মে) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

ডোমার উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান সুমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অতর্কিত হামলা চালান আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডন। তার নেতৃত্বে এ সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সে সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থীসহ সাংবাদিকেরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফল ঘোষণা।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ফল ঘোষণা করেন। এই ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোল করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং কল্যাণ ও পুনর্বাসন পদে রয়েছেন। অপরদিকে তোফায়েল আহমেদ সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ডোমারকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গঠনের পর থেকে কোনো নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেননি। সুমি প্রথম নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ৭৫টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এ উপজেলায় তিন পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

;