দলীয় কোন্দল পাত্তা পাবে না: শম্ভু এমপি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা থেকে: এবার নির্বাচিত হতে পারলে বরগুনা-১ আসনকে দারিদ্রমুক্ত ঘোষণা করতে চান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ। এবারের নির্বাচনেও জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তবে তার জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে দলীয় কোন্দল। জেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের সঙ্গে তার দা-কুমড়া সম্পর্ক। কিছুদিন আগে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার ঘটনাও ঘটে। তবে এসব বিষয়কে পাত্তা দিচ্ছেন না উপকূলীয় আসনের নির্বাচিত এই এমপি।

আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন শম্ভু। আমতলী, তালতলী ও বরগুনা সদরে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। অন্যদিকে কৃষকরা সোনালী ধান সংগ্রহে মাঠে নামতে শুরু করেছে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে তার নিজ বাসভবনে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ করেন তারা কখনই নৌকার বাইরে যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগ বড় দল এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক থাকবে এটাও যেমন স্বাভাবিক। আবার একজন নির্বাচন করবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটের মাঠে তার প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। নেত্রী বলে দিয়েছেন সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য। এখন আর আমাদের মাঝে ভেদাভেদ নেই। আবার বিচ্ছিন্নভাবে দু’একজন যদি অভিমান করেও থাকে তাতে ভোটের ফলে খুব একটা তারতম্য হবে না।

এই আসনের লোকের ভালোবাসাই আমার শক্তি। তারা যেমন আমাকে ভালো জানে, তেমনি আমিও তাদের ভালোবাসি। এখানে দলমত আলাদা থাকতে পারে কিন্তু কেউ আমার সম্পর্কে খারাপ বলতে পারবে না। বিএনপি করা লোকটি হয়তো আমাকে ভোট দেবে না তার দলীয় আদর্শের কারণে। কিন্তু সেও আমার সম্পর্কে খারাপ বলতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হ্যাঁ কেউ কেউ আড়ালে-আবডালে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করে। মনে রাখবেন, তাদের অনৈতিক আবদার গ্রহণ করিনি জন্য তারা আমার ওপর অসন্তুষ্ট। অসৎ লোক সব সময় ব্যর্থতাই দেখবে।

টিআর কাবিখা-কাবিটা নিয়ে অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, যারা এসব প্রশ্ন তুলছে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন তারা এটার সুবিধা নিয়েছে কি-না! দলের লোকজন একটু-আধটু সুবিধা নিয়েই থাকেন। আমি কিন্তু ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছি সৎসাহস আছে বলে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি কেউ একটি অনিয়ম দেখাক।

তিনি বলেন, আমি এই অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ১৯৯১ সালে এখানে ৬১ শতাংশ লোক ছিলো দারিদ্রসীমার নিচে। এখন কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নীচে বাস করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে আমার হাত ধরে। এই অঞ্চলকে শিল্পসমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণতি করতে অনেকগুলো কাজ শুরু করেছি। আগামীতে এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা হবে। তালতলীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, থাই ফিটিংসের কারখানা স্থাপিত হচ্ছে। শিল্প কারখানার চালিকা শক্তি বিদ্যুতের কেন্দ্র স্থাপনের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। পোর্ট টু পোর্ট (মংলা-ভোমরা- পায়রা-বেনাপোল-চট্টগ্রাম) কানেকটিভিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের দেশে পুর্ব-পশ্চিমে কোনো সড়ক নেই। উপকূলীয় মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো সেতু নির্মিত হয়েছে। ভোলা পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ভোলার তেতুলীয়া নদীতে ব্রীজ নির্মাণ করা গেলেই চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই সড়ক হয়ে গেলে এই অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে।

এই অঞ্চল এখন কৃষিতে সারপ্লাস। আমরা নতুন করে খালখনন কর্মসূচি নিয়েছি। এতে অনেক জমি সেচের আওতায় চলে আসবে। এতে কৃষির সার্বিক উন্নতি হবে। আমার বিশ্বাস এই অঞ্চলের লোক নৌকাকে ভালোবাসে। তারা আমার সঙ্গেই থাকবে। আমার এলাকার লোকজন অনেক ভালো, তাদেরকে ভুল বোঝানো কঠিন। তার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সময়। এই আসনের আরেকটি বিউটি হচ্ছে এখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের মতিন তালুকদার প্রসঙ্গে বলেন, তিনিও শক্তিশালী প্রার্থী। তার কিছু এলাকায় ভোট রয়েছে। তবে আমার কাছে টিকতে পারবেন না।

বরগুনা সদর-আমতলী ও তালতলী থানা নিয়ে গঠিত বরগুনা-১ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নানা রকম মত। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি এবার সে অর্থে তেমন উন্নয়ন করেননি। তবে দিমু কই। অর্থাৎ বিএনপি যাকে দিয়েছে তাকেও তারা পছন্দ করতে পারছেন না।

কি নিয়ে দলীয় কোন্দল?
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দোষই দিয়েছেন অনেক কর্মীরা। তারা বলেছেন, ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে বরগুনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম মহারাজ। তখন গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন শম্ভু। ভোটের দিনে মহারাজকে লক্ষ্যকরে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় শম্ভুকেই দায়ী করা হয়। এই কারণে মুখ দেখা দেখিও বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এই অঞ্চলের অবিসংবাদিত নেতা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গেও নানা কারণে টানাপোড়েন চলছে। জেলা পরিষদের নির্বাচিত এই চেয়ারম্যানকে এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ কর্মীরা অভিভাবক মনে করেন। তিনি বরগুনার একমাত্র নেতা যিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলে বিএনপি তাকে দলে টানার জন্য অনেক প্রলোভন দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি অগাধ ভালোবাসার টানে তিনি দল ছাড়েননি। সৎ ও নির্ভিক এই নেতার সঙ্গে ব্যবধান সৃষ্টিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ভালোচোখে দেখছেন না।

   

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

ডোমার উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান সুমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অতর্কিত হামলা চালান আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডন। তার নেতৃত্বে এ সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সে সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থীসহ সাংবাদিকেরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফল ঘোষণা।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ফল ঘোষণা করেন। এই ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোল করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং কল্যাণ ও পুনর্বাসন পদে রয়েছেন। অপরদিকে তোফায়েল আহমেদ সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ডোমারকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গঠনের পর থেকে কোনো নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেননি। সুমি প্রথম নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ৭৫টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এ উপজেলায় তিন পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও পাটগ্রামে রুহুল আমিন বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে তাদের বেসরকারি বিজয়ী ঘোষণা করে উপজেলা পরিষদ।

লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির সরকার বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ৩৪ হাজার ৯ শত ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪ শত ৮১ ভোট।

পাটগ্রাম উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল ৫৬ হাজার ১ শত ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম মাত্র ৯ শত ৩৫ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলাউদ্দিন মিয়া ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন সুলতানা সাথী, পাটগ্রাম উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজওয়ানা পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।

;