বগুড়ার ৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী অপরিবর্তিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বগুড়ার ৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী অপরিবর্তিত। ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়ার ৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী অপরিবর্তিত। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার ৭টি নির্বাচনী আসনের ৫টিতে বিএনপি নতুন মুখ আনলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ দুইটি আসন রেখে অপর ৫টির মধ্যে ৪টি জাতীয় পার্টি এবং ১টি জাসদকে ছেড়ে দিয়েছে। মহাজোটের প্রার্থীরা সকলেই বর্তমান সাংসদ।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে বর্তমান সাংসদ আব্দুল মান্নান এবং বগুড়া-০৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনে বর্তমান সাংসদ হাবিবুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়। অপর ৫টিতে জাতীয় পার্টি এবং জাসদ তাদের দলের প্রার্থী অপরিবর্তিত রেখে মনোনয়ন ঘোষণা করে।

মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে বগুড়া-১ এবং বগুড়া-৫ আসন ছাড়া, অন্যগুলিতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ স্বতন্ত্র, আবার কেউ দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাই পর্বে বঞ্চিত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। কারো দলীয় মনোনয়ন না থাকা, আবার কেউ শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর দেয়নি, কেউ আবার জনপ্রতিনিধির পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে ৫টি আসন শরিক দলকে ছেড়ে দেয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মনে প্রকাশ্যে এবং ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে। ফলে এই ৫টি আসনে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা নিষ্ক্রিয়। তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। আর এ কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে গত বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই সভার কারণ ব্যাখ্যা করেন মমতাজ উদ্দিন। সে সময় কয়েকজন নেতা বগুড়ার মাত্র দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। কারণ ইতোপূর্বে দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও মঞ্জুরুল আলম মোহন বগুড়া-৬ (সদর) আসনে, সহ-সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করেন। কিন্তু বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে বর্তমান সাংসদ আব্দুল মান্নান এবং বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বর্তমান সাংসদ হাবিবুর রহমান ছাড়া অন্য ৫টি আসন মহাজোটকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নেতাদের হতাশার কথা শোনার পর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কে কোথায় মনোনয়ন পেল অথবা বঞ্চিত হল তা নিয়ে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দল করতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’

এরপর আর কেউ কথা বলেননি। পরে সর্বসম্মতভাবে প্রতিটি আসনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমন্বয়ে মহাজোটের নির্বাচনী টিম গঠন করে কাজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক টিজামান নিকেতা জানান, ক্ষোভ, হতাশা, অসন্তোষ থাকতেই পারে। সেটা নেতাদের ব্যক্তিগত বিষয়। দলীয়ভাবে ক্ষোভ প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। নেত্রী যাকে প্রয়োজন মনে করেছেন সেই আসনে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন। মহাজোটের প্রার্থীই এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাদেরকে জয়লাভ করানোর জন্য নির্বাচনী মাঠে সবাইকে কাজ করতে হবে।

   

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, প্রথম ধাপ

মসজিদের ইমাম, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট জাল ভোট দিয়েছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

৮ মে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, শিক্ষক এবং মসজিদের ইমামকে দিয়ে জাল ভোট দেওয়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাস করে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুরো প্রশাসন নির্লজ্জভাবে বিজয়ী এলিম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছেন।

এ সব অভিযোগ করে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে এ উপজেলায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।

পরাজিত তিন প্রার্থী হলেন- ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লবিবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৮ মে গোলাপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নামে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই প্রহসনের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিমের কর্মী-সমর্থকেরা।

শাহিদুর রহমান অভিযোগ করেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বরায়া, হিলালপুর, হাজিপুর, মোল্লাগ্রাম ও কালিদাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে দোয়াত-কলম মার্কায় ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়।

এমনকী এসব কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টরাও জাল ভোট দিয়েছেন। মসজিদের ইমামকে দিয়েও দোয়াত-কলমের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ানো হয়েছে। এলিমের ‘গুণ্ডা বাহিনী’ ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শেখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ছোরা, চাকু, দা নিয়ে আনারস প্রতীকের তিনজন কর্মীর ওপর হামলা করলে মারাত্মক আহত অবস্থায় এখনো মৃত্যু শয্যায় লড়ছেন তারা।

তিনি বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় কায়স্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে এলিম চৌধুরীর ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিকেল ৩টার দিকে আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীকে অবরোধ করে রাখে।

এসময় তারা ওই কেন্দ্রসহ আশেপাশের কেন্দ্রগুলোতে ‘টেবিল কাস্ট’ করে। সকাল থেকে বারবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও গোলাপগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেও আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি।

তাছাড়া মীরগঞ্জ, শেখপুর, নিয়াগুলসহ আরো কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ফুরিয়ে গেছে বা আসতে দেরি হচ্ছে, এমন হাস্যকর কারণ দেখিয়ে ভোটগ্রহণের গতি একেবারেই স্লো করে দেওয়া হয়। এতে আমাদের অনেক ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।

পুলিশ আমাদের সহযোগিতা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধের পরিবর্তে শেখপুরে মানুষের বাড়িবাড়ি গিয়ে হামলা করেছে। এতে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে আর কেন্দ্রমুখী হননি। এমন কী ভোট গণনাতেও ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের অনেক ভোট ইচ্ছাকৃতভাবে বিনা কারণে বাতিল করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই এলিম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছেন। তারা তাকে নির্বাচিত করার নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন।

স্কুলের শিক্ষক, মসিজদের ইমামকে দিয়েও জাল ভোট দিয়ে আমার জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমন প্রহসনে গোলাপগঞ্জবাসী হতাশ! তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা গোলাপগঞ্জ থানার ওসি, এসআই লুৎফুর এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের নামে এমন প্রহসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে তিন প্রার্থীই গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ৮ মে নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তারা এ ব্যাপারে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

;

চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৭৩৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের শেষধাপে অর্থাৎ চতুর্থ ধাপের ৫৬ উপজেলা নির্বাচনে ৭৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, শেষ ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে, চারটি উপজেলায় চারটি পদে চারজন একক প্রার্থী রয়েছে৷ চেয়ারম্যান পদে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় একজন করে প্রার্থী রয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের প্রার্থিতা যাচাই-বাচাই শেষে সব ঠিক থাকলে এই চার উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন।

চতুর্থ ধাপে ৫৬টি উপজেলার মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬-১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। আর নির্বাচন ৫ জুন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় বুধবার (৮ মে) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;