নোয়াখালীতে প্রচারে এগিয়ে আ’লীগ, গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিজের নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের / ছবি: বার্তা২৪

নিজের নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচারণা শুরুর দুদিন আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় চলে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন বাধার মুখে পড়েছেন। মাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও বিএনপির প্রচার মিছিলে হামলার পর পথসভায় যোগ দিতে পারেননি মওদুদ।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ি) আসনেও একই অভিযোগ। বিএনপির প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন সমর্থকদের গণগ্রেফতার করছে পুলিশ। নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনেও বিএনপি প্রার্থী প্রচারণার একদিন পর নির্বাচনী এলাকায় গেছেন। এর মধ্যে তার একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর সব আসনে চলছে উৎসবমুখর প্রচারণা। তবে উৎসবমুখরতায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ।

নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর ও নোয়াখালী সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর সমর্থকরা উজ্জীবিত। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি প্রচার মিছিল সমাবেশে তিনি নিজেই যাচ্ছেন।

একরামুল করিমের ছেলে শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘নোয়াখালীর মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায়। এ কারণে প্রতিটি প্রচার মিছিল সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ যোগ দিচ্ছেন। নৌকার গণজোয়ার শুরু হয়েছে নোয়াখালীতে।’

এদিকে এ এলাকায় বিএনপির প্রার্থী বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় যুবদলের এক নেতা। শহর যুবদ‌লের যুগ্ম-আহবায়ক হান্নান স‌জিব জানান, পুলিশের গ্রেফতার হয়রানির ভয়ে তারা প্রচারাভিযান চালাতে পারছেন না। তবে সাধারণ মানুষ প্রস্তুত আছে ধানের শীষে ভোট দিতে। এখনো সুষ্ঠু ভোট দানের পরিবেশ তৈরি হয়নি। নৌকার কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বিভিন্ন উপায়ে বাধার সৃষ্টি করছেন।

জেলা বিএন‌পির অ‌ভি‌যোগ, নোয়াখালী‌তে ও‌সি নিজাম উদ্দিন স্থানীয় এম‌পির ছে‌লের বৈঠ‌কে বক্তব্য দি‌য়ে‌ছেন। এছাড়া ও‌সির গা‌ড়ি‌তে বর্তমান এম‌পির নির্বাচনী স্টিকার লাগা‌নো দেখা যা‌চ্ছে। সদ‌রের ও‌সি আ‌নোয়ার হো‌সেন ৪ বছর থে‌কে থানায় র‌য়ে‌ছেন। পুলিশ স্থানীয় এম‌পির নি‌র্দে‌শে একতরফাভা‌বে গ্রেফতার কর‌ছেন।

সদর ও সুধারামপুর দুই থানার ও‌সির বিরু‌দ্ধে নির্বাচ‌নে সরকার দলীয়দের সু‌বিধা দেওয়ার অ‌ভি‌যোগ তু‌লেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/11/1544535546474.jpg

তিনি আরও জানান, নোয়াখালী সুধারাম থানার পুলিশ ভ্যানে একরামুল করিম চৌধুরীর প্রচার স্ট্রিকার নিয়ে ঘুরছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তার পৈতৃক বাড়িও এ এলাকায়। গত ৪ বছর থেকে তিনি এ থানায় থেকে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন।

তবে সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের পক্ষে আশাবাদী এ আসনের বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।

নোয়াখালী- ১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রচার চালাচ্ছে। তবে এখানেও গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি। এ আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকজন বলেন, ‘তার নির্বাচনী এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে পুলিশ। অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে মহড়া দিচ্ছে। প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই চাটখিল সোনাইমুড়ি তার নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।’

এসব অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

নোয়াখালী-৬ আসনটি বড় অংশ দ্বীপ এলাকা। হাতিয়ায় এখনো বিএনপি প্রচারে নামতে পারেনি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ এ আসনে প্রতিদিন প্রচার মিছিল সমাবেশ করছে। বিএনপির এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল আজিম এখনো হাতিয়া দ্বীপে যেতে পারেননি।

২০০৮ সালে স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী হওয়া এই সংসদ সদস্য দাবি করেন, হাতিয়ার মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা চায় বলে তাকে আবারও ভোট দিতে প্রস্তুত আছে।

হাতিয়ার সাবেক এ এমপি অভিযোগ করেন, প্রচারণা শুরুর আগ থেকেই গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তার দলের বেশ কয়েকজনকে ‍পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখছেন না তিনি। বিষয়গুলো স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন তিনি।

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌস প্রচারণা শুরুর আগে থেকে উঠান বৈঠক শুরু করেছিলেন। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর প্রতিদিন হাতিয়ায় মিছিল সমাবেশ চলছে নৌকার।

নোয়াখালী হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট) আসনে মুখোমুখি ওবায়দুল কাদের ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন সকাল বিকেল প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন। তার জনসভায় ও প্রচারে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে।

বিপরীতে প্রচারণার প্রথম দিনে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রচারে ব্যবহৃত মাইক গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি ও গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। প্রচারের দ্বিতয় দিন মঙ্গলবারও (১১ ডিসেম্বর) সকালে দফায় দফায় মওদুদের প্রচার মিছিলে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। ভাঙচুর হয়েছে দলীয় কার্যালয়, বাড়িঘর দোকানপাট। এতে বিএনপির ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে ওই পথসভায় যেতে পারেননি মওদুদ আহমেদ।

   

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য চাঁদপুরের মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

;

উপজেলা ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের অবৈধ চাপ না মানার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজনৈতিক দলের কোনো সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি মন্ত্রী যেই হোক না কোনো অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয় এসব কোনো কিছু আমলে নেওয়া হবে না। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সবার প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণ বিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কমিশন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরণের নির্বাচন চাই সেটা ওখানে থাকবে। চিঠিও সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো মন্ত্রী, এমপিদের আত্মীয় স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তাব করতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;

প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে প্রমাণ ছাড়াই বাদ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী অভিযোগ করলেই প্রমাণ ছাড়াই তাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

মাঠ ঘুরে আসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভাল। উৎসবমুখর। আইন-শৃঙ্খলা কোনো থ্রেড নাই, সমস্যা নাই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেড নাই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশে জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অতো নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেশার দিলে সে যেই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কি, থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;