পাবনায় ৫ আসনে অন্যরা পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আ.লীগ



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা
পাবনা ৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা: বাম দিক থেকে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স,মকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, শামসুর রহমান শরীফ, আহমেদ ফিরোজ কবির।

পাবনা ৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা: বাম দিক থেকে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স,মকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, শামসুর রহমান শরীফ, আহমেদ ফিরোজ কবির।

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পাবনার ৫ টি আসনে প্রচারপ্রচারণা, গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, যান্ত্রিক প্রচারণা, পোস্টার টাঙানোতে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার, আতঙ্ক, ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ নানা কারণেই প্রচারপ্রচারণা এবং সভা-সমাবেশে পিছিয়ে রয়েছেন বিএনপি, ঐক্যফ্রন্টসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সদ্য গণফোরামে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। স্থানীয়ভাবে এই দুজনেরই নিজস্ব সমর্থকগোষ্ঠী থাকলেও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ।

এ আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অভিযোগ, প্রচারের শুরু থেকেই তিনি বাধার মুখে পড়ছেন। তাঁর গাড়িতে হামলা হয়েছে। কোথাও কর্মসূচি দিলেই পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে প্রতিপক্ষের প্রার্থী। একের পর এক মামলা দিয়ে তাঁর সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে তিনি ঠিকঠাক প্রচার চালাতে পারছেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, জামায়াতকে টপকিয়ে গণফোরামে যোগদিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ায় খোদ জামায়াত-বিএনপি তার দিকে বাঁকা চোখে দেখছে। তারা ক্ষুব্ধও হয়েছে। আর ক্ষুব্ধরাই তার উপর বারবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই আসনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল মতিন, জাতীয় পার্টির সরদার শাহজাহান, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুলহাস নাইন ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান ওরফে নাজিব মোমেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নতুন প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবির। তিনি এ আসনের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় প্রবীণ নেতা প্রয়াত আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছেন। ফলে প্রচারের শুরু থেকেই মাঠ গরম করে রেখেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নতুন মুখ আহমেদ ফিরোজ কবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও এই আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। প্রচার-প্রচারণায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে পিছিয়ে। ধানের শীষের প্রার্থী একেএম সেলিম রেজার অভিযোগ, শুরু থেকেই প্রচারণায় বাধা আসছে। পোস্টার ঝুলালেই ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মারপিট করা হচ্ছে। মামলা দিয়ে ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। ফলে প্রচার চালানো দূরের কথা, তিনি বেরই হতে পারছেন না এমন দাবী তার। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, সেলিম রেজা দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন না। ফলে দলীয় বিশৃঙ্খলাতেই তিনি পিছিয়ে পড়েছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনুস আলী ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের শামসুর রহমান নিরুত্তাপ প্রচারপ্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মকবুল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। এই দুজনের প্রচার প্রচারণাও চলছে সমানতালে। তবে গত বুধবার রাতে ও শুক্রবার রাতে দু’দফায় চাটমোহরের পৃথক স্থানে যুবলীগের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, তিনটি বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর এবং নৌকার সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে ধানের শীষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁরা নৌকার পক্ষে মিছিল করছিলেন। মিছিলটি বিএনপির প্রার্থীর বাড়ি পার হওয়ার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে পরপর চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পাল্টা অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বলেন, তাঁরা (যুবলীগ) নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে বিএনপির ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। ককটেল বিস্ফোরণের অজুহাতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাতেও উপজেলার দুটি স্থানে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসানুল ইসলাম রাজা। তিনি দলের কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আবদুল মোত্তালিব ও গণতন্ত্রী পার্টির খায়রুল আলম।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। শুরু থেকেই প্রচার প্রচারণা জমিয়ে রেখেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিপরীতে ঝিমিয়ে প্রচারণা চলছে বিএনপির। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, প্রচারে বাধা আসছে। রাতে পোস্টার ঝুলানো হলে দিনে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।

তারা বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। ফলে তাঁরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুর রশিদ শেখ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল জলিল।

পাবনা-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু থেকেই এ আসনে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রিন্স। দৃশ্যমানে পুরো মাঠ আওয়ামী লীগের দখলে। সবদিক থেকেই এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। প্রচারের পাশাপাশি প্রতিদিন উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশে ব্যস্ত সময় কাটছে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্সের।

অন্যদিকে দলীয় প্রার্থী না পেয়ে ঝিমিয়ে আছে বিএনপি। ফলে মাঠ জমাতে পারেননি জামায়াতে ইসলামীর নেতা ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল হোসাইন। দু’এক স্থানে যান্ত্রিক প্রচার আর সীমিত পোস্টার চোখে পড়ছে। জামায়াতে এই নেতা ধানের শীষের প্রতীকে ভোট চাওয়ায় দলীয় ভোটারদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন আর সংশয়।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস হবেন ধানের শীষের দলীয় প্রার্থী। সেই আশায় দেখা দিয়েছে রক্তক্ষরণ। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে বুঁকে কষ্ট চাপা রেখেই ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি’র সিংহভাগ নেতাকর্মী বা সমর্থক জামায়াতে ইসলামীর নেতা ইকবাল হোসাইনের সাথে নেই বা নির্বাচন নিয়ে কাজ থেকে বিরত রয়েছে।

 

   

কালীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ভোটার উপস্থিতির হিসাবে গড় মিল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি ফলাফল শিটে।

কোনো ফলাফল শিটে ২১.১৬ শতাংশ, কোনো শিটে ২১.১৩ শতাংশ আবার কোনো ফলাফল শিটে ২১ শতাংশ ও ২১.১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ওই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উপস্থিতির হিসাবের এ গড়মিল তথ্য উঠে আসে।

ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

চেয়ারম্যান পদের ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৭৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৬ শতাংশ। প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবির হোসেন চৌধুরীকে বিজয়ী করে এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬শ ৬৬টি, যা মোট ভোটের ২১ শতাংশ।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল, ছবি- বার্তা২৪.কম

পরে দেবদাস কুমার রায়কে বিজয়ী করে অপর এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৩ শতাংশ।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলী রানী রায়কে বিজয়ী করে ফলাফল শিটে দেখানো হয় মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১শ ৭৩টি, যা মোট ভোটের ২১.১১ শতাংশ।

বুধবার (২২ মে) এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে একটি টিম এসেছে, আমি তাদের সঙ্গে আছি। নির্বাচন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;

চুয়াডাঙ্গায় জামানাত হারাচ্ছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন দুই মুখ নির্বাচিত হয়েছে। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেনের। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ দুই উপজেলার মোট ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাতে বসেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ৮০২টি। শর্ত অনুসারে কোনো প্রার্থীকে জামানত টিকাতে হলে ভোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাইপো নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। আর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭১৪টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৯৯৪টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৮০টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন। নির্বাচনে জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু।

অপর দিকে, এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৬ হাজার ৫৮২টি বৈধ ভোট পড়েছে। এখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭২টি ভোট। তবে এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন মো. মামুন-অর রশীদ, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো. মিরাজুল ইসলাম (কাবা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫ ভোট এবং মাইক প্রতীক নিয়ে মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৫ ভোট। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৯৫৪টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯টি ভোট। তবে বই প্রতীক নিয়ে মো. মামুনার রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৪ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে আরেক আজিজুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৯ ভোট এবং পালকি প্রতীক নিয়ে মো. সোহেল রানা (শাহীন) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

;

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;